শেষের পাতা
‘বন্দুকযুদ্ধে’ পা হারানো সেই ছাত্রদল নেতা এবার নাশকতার প্রস্তুতির অভিযোগে আটক
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
২৯ জুন ২০২২, বুধবার
গত বছরের জুনে চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হন মহানগর ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম। এই ঘটনার পর কেটে ফেলা হয় তার একটি পা। স্ট্রেচারে ভর দিয়েই চলাফেরা করতে হয় তাকে। সেই পঙ্গু ছাত্রদল নেতাকে এবার পুলিশ নাশকতার প্রস্তুতির অভিযোগে আটক করেছে। পুলিশের দাবি, গত সোমবার রাতে পাঁচলাইশ থানাধীন রহমান নগর এলাকায় সহযোগীদের নিয়ে ধারালো অস্ত্রসহ নাশকতার প্রস্তুতিকালে সাইফুলকে আটক করা হয়েছে। তবে সাইফুলের পরিবারের দাবি, একটি রাজনৈতিক মামলায় হাজিরা দিয়ে চট্টগ্রাম আদালত ভবন থেকে বের হতেই তাকে আটক করে পুলিশ। গতকাল সকালে পাঁচলাইশ থানা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ছাত্রদল নেতা ‘বার্মা সাইফুল’ পাঁচলাইশের রহমান নগরে কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে ধারালো অস্ত্রসহ নাশকতা করতে জড়ো হওয়ার খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালানো হয়। পরে সেখান থেকে সাইফুলকে তার সহযোগী দেলোয়ার হোসেন (২১), মো. আবিদ (২০), মো. সাজ্জাদ (২০) ও মো. ইমরানসহ (২২) আটক করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫টি দেশি ছোরাও উদ্ধার করা হয়। আটক সাইফুল পাঁচলাইশ এলাকার হিলভিউ আবাসিক সংলগ্ন বার্মা কলোনির নুরুল আমিনের পুত্র।
পাঠকের মতামত
আল্লাহ ছাড় দেন ছেড়ে দেন্নাহ, এই জুলুমের ও একদিন শেষ হবে ইনশাআল্লাহ..
এ জুলুমের শেষ কোথায়? আর কত হয়রানী করা হবে?
বেশী-বেশী পদ্দ্যা সেতু ভোগ করেন সবাই। এই অত্যাচারে কি কোনই শেষ নেই??? ইয়া আল্লাহ! '' গত বছরের জুনে পুলিশ আমার ভাইকে বাসা থেকে নিয়ে পায়ে গুলি করে বন্ধুকযুদ্ধের নাটক সাজায়। ওই ঘটনায় তার একটা পা কেটে ফেলা হয়েছে। আড়াই মাস সে পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি ছিল। সেখান থেকে পরে পুলিশের মামলায় আটক দেখিয়ে চট্টগ্রাম কারাগারে নিয়ে আসা হয়। কারাগারে ৯ মাস থাকার পর দুই মাস আগে জামিন নিয়ে বাসায় আসেন। এরপর থেকে ঘরবন্দি আমার ভাই। স্ট্রেচার দিয়েও ভালোভাবে চলাফেরা করতে পারেন না। কোলে করে গাড়িতে তুলে ডাক্তারের কাছে নিতে হয়, মামলার হাজিরা দিতে নিতে হয়। সে নাশকতা চালাতে লোকজন নিয়ে রাস্তায় ঘুরবে সেই কথা পাগলেও বিশ্বাস করবে না।’ সুজন বলেন, ‘আসল কথা হচ্ছে আমার ভাই একটা বিস্ফোরক মামলায় হাজিরা দিতে গতকাল সকালে চট্টগ্রাম কোর্টে যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে বিকাল ৪টার দিকে পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে যায়। এ সময় একই মামলায় হাজিরা দিতে যাওয়া আরও ৪ জনকে আটক করা হয়। সারা রাত ধরে আমরা তাদেরকে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেছি। থানায় গিয়ে বসেছিলাম। পুলিশের সাফ কথা সাইফুল নামে কাউকে তারা আটক করেনি। এখন সকালে এসে বলছে নাশকতার প্রস্তুতিকালে রহমাননগর থেকে অস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে।’ ''
দেশজুড়ে বিরোধী মত ও দলের উপর সরকারের রোষানলের যে স্টিম রোলার চলছে, তার একটি ক্ষুদ্র শিকার এই ছাত্রদল নেতা হতে পারে বিশ্ব বিবেকের একটি চরম উদাহরণ! এই দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা রোহিতকরণের যে অপচেষ্টা চলছে -তা-কি কখনো থামবে না?
Allah oder hedayet dauk.
দেশজুড়ে বিরোধী মত ও দলের উপর সরকারের রোষানলের যে স্টিম রোলার চলছে, তার একটি ক্ষুদ্র শিকার এই ছাত্রদল নেতা হতে পারে বিশ্ব বিবেকের একটি চরম উদাহরণ! এই দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা রোহিতকরণের যে অপচেষ্টা চলছে -তা-কি কখনো থামবে না?
ai sob dusto police der chene rakhu, od'er nam, thikana tuke rakhun...In sha Allah ak din oder Bechar er Mukhu mukhi kora hobay