রাজনীতি
আটকের পর ড. মঈন খানকে ছেড়ে দিলো পুলিশ
স্টাফ রিপোর্টার
(৮ মাস আগে) ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, মঙ্গলবার, ২:৩৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৪:৩৪ অপরাহ্ন
পূর্বঘোষিত কালো পতাকা মিছিল থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেকমন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খানকে আটকের ঘণ্টাখানেক পর উত্তরা পশ্চিম থানা থেকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ৩টার পর থানা থেকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন মঈন খানের ব্যক্তিগত সহকারী বাহাউদ্দীন ভূইয়া মিল্টন।
মিল্টন জানান, পুলিশ বলেছে- কালো পতাকা মিছিলের অনুমতি না থাকায় মঈন খানকে থানায় আনা হয়েছিলো। এখন তাকে বাসায় পাঠানো হয়েছে ।
এরআগে বেলা ২টায় সংসদ বাতিলের দাবিতে পূর্ব ঘোষিত কালো পতাকা মিছিল থেকে মঈন খানকে আটক করেছিলো পুলিশ। দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতি, দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তি, সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও অবৈধ সংসদ বাতিলসহ এক দফা দাবি আদায়ে ঢাকা মহানগর উত্তরে (জোন-২) কালো পতাকা মিছিল বের করলে মিছিল থেকে তাকে আটক করা হয়।
এছাড়াও ড. আব্দুল মঈন খানসহ মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদসহ আরও ১১ জন জনকে আটকের খবর জানা গেছে। আটককৃত অন্যরা এখনও ছাড়া পাননি।
পুলিশের অনুমতি নিয়ে আন্দোলন হয় না বিএনপি'র আন্দোলন হওয়া উচিত, পুলিশি ফেকরা অতিক্রম করা। অনুমতি ছাড়া যেদিন থেকে রাস্তায় নামতে পারবে, তাহলে আন্দোলন সফলতার দিকে যাবে।
Dicator is dictator.
"দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের জনগণ ও গণতন্ত্রের জয় হয়েছে—এ মন্তব্য করে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, ষড়যন্ত্র করে কেউ যাতে জনগণের অধিকার কেড়ে নিতে না পারে, সেদিকে সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। কেউ যাতে আন্দোলনের নামে অরাজকতা সৃষ্টি করে মানুষের জানমাল ও জীবিকার ক্ষতিসাধন করতে না পারে, সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।" (প্রথম আলো, ৩০ জানুয়ারি ২০২৪) মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে অভিনন্দন এজন্য যে তিনি মানুষের জানমাল ও জীবিকা নিয়ে চিন্তাভাবনা করেন। কিন্তু খটকা লাগছে যখন দেখা যায় নির্বাচনে ডামি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীসমর্থকদের মধ্যে হানাহানি করে কয়েকজন মায়ের বুক খালি হয়ে গেছে। সংঘাতগুলোর প্রাণহানির ঘটনায় বিরোধী দলগুলোর অংশগ্রহণ নেই। শুধু সরকারি দলের বিবদমান পক্ষগুলোর মারামারির বলি হয়েছে কয়েকজন তাজা প্রাণ। এবিষয় এড়িয়ে ভবিষ্যতে কে বা কারা আন্দোলনের নামে অরাজকতা করবে সেই ভাবনা কী ফল দেবে! বিরোধী দলগুলো কেন শান্তিতে কর্মসূচি পালন করতে পারেনা, কেন বিরোধী দলের গনতান্ত্রিক অধিকার ছিনিয়ে নেয়া হয় বারবার, বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ অবস্থান কেন পণ্ড হয়ে যায় এসবের নির্মোহ বক্তব্য মহামান্য রাষ্ট্রপতির ভাষণে ওঠে আসলে গনতন্ত্রের চর্চায় মানুষ আশান্বিত হতে পারতো। কারণ বিরোধী দল ও জনগণের বিশ্বাস রাষ্ট্রপতি সকলের জন্য সমান। বিরোধী দলগুলো নির্বাচন বর্জন করেছে। আজকে তাদের কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচি পালন করার সময় পুলিশের বাধার সম্মুখীন হয়েছে। রাজধানীর উত্তরায় বিএনপির কালো পতাকা মিছিল পুলিশি বাধায় পণ্ড হয়ে গেছে। মিছিল থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডক্টর আবদুল মঈন খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে পুলিশ তাঁকে বাড়ি পৌঁছে দেয়। পুলিশের বক্তব্য হচ্ছে তাদের কাছে গোপন খবর ছিল মঈন খানের জীবনের নিরপত্তার হুমকি ছিল। তাই তাঁর নিরাপত্তার জন্য তাকে ধরে নিয়ে বাড়ি পৌঁছে দেয়া হয়েছে। নির্বাচন পরবর্তী ও পূর্ববর্তী যেসকল সহিংসতা হয়েছে এবং বহুসংখ্যক মানুষ আহত হয়েছেন ও অনেকে নিহত হয়েছেন সেই সহিংসতার আগাম খবর পুলিশের অজানা থেকে গেলো কিভাবে? অনেকগুলো মানুষকে তাঁরা হানাহানি থেকে রক্ষা করতে পারলেননা। বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী সহ কেন্দ্রীয় অনেক নেতাকে জেলে পাঠিয়ে মঈন খানের নিরাপদ নিয়ে পুলিশের চিন্তিত হওয়া কি মহত্ত্বের লক্ষ্মণ নাকি তামাশা আল্লাহ মালুম।
এতে করে বুঝা যাচ্ছে আমেরিকার ভয়ে আগে ডঃ মঈন খানকে ছেড়ে দিল। বাকীদের বিষয় অজ্ঞাত। ফ্যাসিবাদীরা এমনই হয়। গণতান্ত্রিক দেশে সামন্য কালো পতাকার মিছিল সহ্য করতে পারছেনা। পুলিশও আটক করেই যাচ্ছে। পুলিশ ভাইয়েরা মাইর্মা (বার্মা)র পরিস্থিতির দিকে একটু খেয়াল করুন। যখন কারো দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায় তখন দেয়ালের বাঁধা আর বাঁধা হয়ে থাকতে পারেনা। বার্মা তার জ্বলন্ত উদাহরণ।
দ্রব্য মূল্যের বৃদ্ধিতে আপনার তো সমস্যা নেই!!! আপনাকে কেউ ঘর থেকে টেনে এনে দ্রব্যের মূল্য কমিয়ে দিবেনা
গত ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর আন্দোলন বন্ধ করাটা ছিল বিএনপির সবচেয়ে বড় ভুল আর এই নির্বাচনের পর যদি আন্দোলন থেকে পিছপা হয়ে যায় তাহলে সামনের দিকে এগুনো অসম্ভব হবে এবং আবারো পাঁচ বছর জেল জুলুম নির্যাতন সহ্য করে পরবর্তী নির্বাচনের অপেক্ষা করতে হবে। আগামী দিন গুলো বিএনপির জন্য সবচেয়ে বাজে সময় হিসেবে চিহ্নিত হবে। সুতরাং আন্দোলন করেই জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে এর কোনো বিকল্প নাই।
দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ জনগণ দিশেহারা। অথচ এই বিষয়েও কিছু বলা যাবে না। কারণ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলেই জনগণের দুঃখ-কষ্ট বুঝার কথা। তারা তো জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি। তাই জনগণ মরলো নাকি বাঁচল তা তাদের দেখার সময় নেই। কিছু বড় প্রকল্প হাতে নিয়ে উন্নয়ন, উন্নয়ন বলে বিভিন্ন মিডিয়ায় গলা ফাটিয়ে প্রচার করছে।
মামলা গ্রেপ্তার নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। ওরা মজা পেয়ে গেছে, ১৮এর নির্বাচনের পর আন্দোলনে না থাকাতে।
স্বৈরাচার একদিন পতন হবে ইনশাআল্লাহ।
আমি শুনে অবাক হচ্ছি প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের সাথে মঈন খান জড়িত নন। তাজ্জব ব্যাপার !
এভাবে আর কত দিন চলবে? দ্রব্যমুল্যের যে উর্ধগতি। জীবন আর চলেনা। সরকারের কাছে অনুরোধ please বাজার Control করেন।
কালো পতাকা মিছিলে ও এতো ভয়, নিজের ছায়া কেও ভয় পাওয়ার সময় সমাগত?....