ঢাকা, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৬ হিঃ

শরীর ও মন

তরুণ বয়সেই (প্রিমেচিউর গ্রে হেয়ার) চুল পাকা শুরু হয়

অধ্যাপক ডা. এস এম বখতিয়ার কামাল
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, বৃহস্পতিবার

বয়সে তরুণ অথচ এই বয়সে চুল পেকে গেলে মনোকষ্টে ভোগেন অনেকে। মনে রাখতে হবে  চুল পেকে যাওয়া মানুষের জীবনচক্রের বা চুলের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।  সাধারণত জাতি-গোষ্ঠীর ভিন্নতায় বিভিন্ন বয়সে চুল পাকা শুরু হয়। যেমন: ককেশীয়দের ক্ষেত্রে ২০ থেকে ২৫ বছর বয়সেই চুল পাকতে শুরু করে। আবার ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের সাধারণত ৩০ বছর বয়সের পর এটি শুরু হয়। এই বয়সের আগে চুল পাকলে তাকে অকালপক্ব চুল (প্রিমেচিউর গ্রে হেয়ার) বলা হয়।
যদি কোনো রোগের কারণে চুল পাকতে শুরু করে, অনেকাংশে সেই রোগের চিকিৎসার মাধ্যমে চুল পাকা প্রতিরোধ করা যেতে পারে।

ত্বকের মেলানোসাইট নামক কোষ থেকে মেলানিন নামে রঞ্জকের ঘনত্বের ওপর ত্বকের রঙ নির্ধারিত হয়ে থাকে। মেলানিনের ঘনত্ব বেশি হলে কালো এবং কম হলে সেই অনুযায়ী গায়ের রঙ অপেক্ষাকৃত ফর্সা হয়ে থাকে। চুল যেখান থেকে গজিয়ে থাকে, ত্বকের সেই গোড়ার জায়গার মেলানিন উৎপাদন ক্ষমতার ওপর চুলের রঙ নির্ধারিত হয়ে থাকে। কোনো কারণে মেলানিন উৎপাদন ক্ষমতা কমে বা নষ্ট হয়ে গেলে চুল পাকতে শুরু করে। সাধারণত যেসব কারণে চুল পাকে, সেগুলো হলো-
১। বংশগত
চুল পাকার সঙ্গে জেনেটিক বা বংশগত সম্পর্ক রয়েছে। সেজন্যই কারও কারও ক্ষেত্রে চুল অন্যদের তুলনায় আগে পাকা শুরু করে।
২। রোগজনিত
থাইরয়েডের সমস্যা, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাজনিত রোগ, শ্বেতি, অ্যালার্জি, পরিপাকতন্ত্রের রোগ, রক্ত শূন্যতা, প্রোজেরিয়া ও প্যানজেরিয়া ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত হলে কম বয়সে চুল পাকতে শুরু করে।
৩। খাবার উপাদানের ঘাটতিজনিত
শরীরে ভিটামিন বি-১২, বি-৬, বায়োটিন, ভিটামিন ডি-৩, ভিটামিন ই, আয়রন ও কপারের ঘাটতির কারণে অকালে চুল পাকতে পারে।
৪। ওষুধ
কিছু ওষুধ যেমন: ক্যানসার চিকিৎসায় কেমোথেরাপিতে ব্যবহার করা ওষুধ, ম্যালেরিয়ার ওষুধ ইত্যাদির কারণে সাময়িকভাবে চুল পেকে যায়।
৫। দুশ্চিন্তা
অতিরিক্ত চিন্তা চুলের বৃদ্ধি ও গঠন প্রক্রিয়ার ওপর প্রভাব ফেলে বলে গবেষণায় বলা হয়েছে। এ ছাড়া, অতিরিক্ত মদ্যপান ও ধূমপানও অকালে চুল পাকার কারণ হতে পারে।

সমাধান বা করণীয়
কোনো রোগের কারণে চুল পাকতে শুরু করলে সেই রোগের চিকিৎসার মাধ্যমে চুল পাকা প্রতিরোধ করা যেতে পারে। খাবার উপাদানের ঘাটতি পূরণের জন্য সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। ফল ও শাক-সবজি খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। পর্যাপ্ত ঘুম এবং মদ্যপান ও ধূমপান নিয়ন্ত্রণ বা পরিত্যাগ করতে হবে। তবে, বংশজনিত কারণে চুল পাকার প্রক্রিয়া প্রতিরোধ করা যায় না।

কিছু চিকিৎসা
চুল পড়ে যাওয়ার কারণ নির্ণয় করে চিকিৎসা দেয়া হয়। সরাসরি চুলের গোড়ায় স্টেম সেল, গ্রোথ ফ্যাক্টর বা পিআরপি চিকিৎসা বা কিছু স্প্রে চুল পাকা রোধ করার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখে অনেক সময়?।

লেখক: হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট অ্যান্ড ডার্মাটো সার্জন চিফ কনসালট্যান্ট, কামাল হেয়ার অ্যান্ড স্কিন সেন্টার।

চেম্বার: বিটিআই সেন্ট্রা গ্রান্ড (২য় তলা) গ্রীন রোড, ফার্মগেট ঢাকা। যোগাযোগ:০১৭১১৪৪০৫৫৮

 

শরীর ও মন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

শরীর ও মন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status