বাংলারজমিন
অবৈধভাবে স্থান পরিবর্তন করে সার বিক্রির অভিযোগ
অষ্টগ্রাম (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
১ ডিসেম্বর ২০২৩, শুক্রবারবিগত কয়েক বছর ধরে অষ্টগ্রামের কলমা ইউনিয়নের এক বিক্রেতা অবস্থান পরিবর্তন করে সার বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার বরাবর একাধিকবার অভিযোগ করা হলেও সমাধান না হওয়ায় এলাকার কৃষকরা দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
জানা যায়, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের জয়চন্দ্র দাস একজন সাব-ডিলার সার বিক্রেতা বটে। তিনি গত কয়েক বছর ধরে অবৈধভাবে স্থান পরিবর্তন করে ৯নং ওয়ার্ডের গাজীহাটি ও পার্শ্ববর্তী কলমা ইউনিয়নের ২নং মোহনতলা বাজারে সার বিক্রি করে আসছেন। এ ব্যাপারে কলমা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের অন্য সাব-ডিলার চন্দন দাস অবৈধ সার বিক্রেতা জয়চন্দ্রের বিরুদ্ধে উপজেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ দায়ের করেন। সার বিক্রেতা নীতিমালা অনুযায়ী প্রত্যেক ডিলারের তার নিজ নিজ অবস্থানে মোকামসহ বিক্রয়কেন্দ্র থাকতে হবে। কিন্তু জয়চন্দ্র তার ব্যক্তিগত প্রভাব বিস্তার করে নির্ধারিত ওয়ার্ডে সার বিক্রি না করে সুবিধামতো ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ব্যাপারে ৮নং ওয়ার্ডের কয়েকজন ভুক্তভোগী কৃষক রামচরন দাস, ললিত দাস, সুবির দাস, প্রকাশ দাস, গৌর মোহন দাস, শ্রীবাস দাস, অমৃত লাল দাস, মহেশ্বর দাস, গীরেন্দ্র দাস, সুবোধ দাস, খোকন বৈষ্ণব, শ্রীচরন বৈষ্ণব, গোপাল বৈষ্ণব, সুবাস বৈষ্ণব, জিতু বৈষ্ণব, প্রশন্ত বৈষ্ণব, রতীন্দ্র বৈষ্ণব, হরেন্দ্র দাস, সাধন দাস, বিজয় বৈষ্ণবসহ অনেকেই বলেন, তাদের নিজ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সাব-ডিলার না থাকায় তাদের দূরবর্তী আদমপুর বাজার থেকে চড়াদামে সার কিনতে হয়। এতে খরচ ও কষ্ট অনেক বেড়ে যায়। বিষয়টিতে এলাকার কৃষকের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে দীর্ঘদিন ধরে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অভিজিত সরকার বলেন, সাব ডিলার জয়চন্দ্র দাস অবৈধভাবে স্থান পরিবর্তন করে সার বিক্রি করে আসছেন বলে অবগত রয়েছি। তবে তিনি সার সংক্রান্ত আইন ও নীতিমালা অমান্য করছেন। হাওরের এক ফসলি বোরো চাষে এক মৌসুমেই সার ও বীজ ব্যবসা করে থাকেন ডিলাররা। অভিযোগকারী সাব-ডিলার চন্দন দাস জানান, কয়েক বছর ধরে অবৈধ সার ব্যবসায়ী জয় চন্দ্রের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের নিকট অভিযোগ দায়ের করেও কোনো ফলাফল না পাওয়ায় ব্যবসার মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাকে অবগত করা হলে তিনি বিষয়টি আমলে নিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে তদন্ত সাপেক্ষে সমাধানের নির্দেশ প্রদান করেন। এতে অষ্টগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অভিজিত সরকার কালক্ষেপণ করে কোনো সমাধান দিতে পারেননি।