বাংলারজমিন
নবীগঞ্জে আওয়ামী লীগ, জাপা ও স্বতন্ত্র ৪ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল
এমএ বাছিত, নবীগঞ্জ থেকে
১ ডিসেম্বর ২০২৩, শুক্রবার
হবিগঞ্জ-০১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে ৪ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। গতকাল দুপুরে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে দলীয় মনোনয়নপত্র দাখিল করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা পরিষদের পদত্যাগকারী চেয়ারম্যান ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরী। জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি এমএ মুনিম চৌধুরী বাবু এবং আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত সাবেক এমপি এডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, যুবলীগ নেতা কয়েস গাজী, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেন। আগামী ৭ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ৪ লাখ ৩০ হাজার ৬৯০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
ওদিকে, মনোনয়নপত্র দাখিলে পূর্ব মুহূর্তে উপজেলা ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয় শহরের জনপদ। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। উপজেলা প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, ৩০শে নভেম্বর নির্বাচন কমিশন ঘোষিত মনোনয়ন দাখিলের শেষদিনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র হিসেবে ৪ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী হিসেবে বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরীর মনোনয়নপত্র দাখিলকালে উপস্থিত ছিলেন নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও যুবলীগের আহ্বায়ক আলহাজ ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট গতিগোবিন্দ দাশসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। জাপার প্রার্থী ও সাবেক এমপি এমএ মুনিম চৌধুরী বাবুও বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে মনোনয়ন দাখিল করেন। এর মধ্যে সংরক্ষিত সাবেক এমপি কেয়া চৌধুরী নির্বাচনী নিজ উপজেলা বাহুবল নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ে মনোনয়ন দাখিল করেন। প্রতিবারের ন্যায় এবারো তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। এ ছাড়াও স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেন বর্তমান এমপি শাহ নওয়াজ মিলাদের ছোট ভাই যুবলীগ নেতা কয়েস গাজী। কয়েকজন সহযোগী নিয়ে গতকাল দুপুরে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ে মনোনয়ন দাখিল করেন। জাতীয় পার্টিতে একক প্রার্থী হিসেবে এমএ মুনিম চৌধুরী বাবু মনোনয়ন পেলেও আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন ৮ জন। তারা হলেন- জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আলমগীর চৌধুরী, সাবেক সংরক্ষিত এমপি এডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া চৌধুরী কেয়া, বর্তমান এমপি গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ মিলাদ, সাবেক এমপি ইছমত চৌধুরীর কন্যা ডা. নাজরা চৌধুরী, কেন্দ্রীয় যুবলীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মুকিত চৌধুরী, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মাজু মিয়া।