বাংলারজমিন
মেঘনায় জাল দলিলের মাধ্যমে জমি আত্মসাৎ চেষ্টার অভিযোগ
মেঘনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
১ ডিসেম্বর ২০২৩, শুক্রবার
কুমিল্লার মেঘনায় জাল দলিল ও ভুয়া মালিক সেজে জমি আত্মসাতের পাঁয়তারা করছে দালাল সিন্ডিকেটের একটি চক্র। মানিকারচর বল্লভের কান্দি গ্রামের বাসিন্দা মো. জংশের আলীর ৪ তলা ভবনসহ সাড়ে আঠারো শতক জমি জাল দলিলের মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, পৈতৃক সম্পত্তি সাড়ে ৩ শতক ও খরিদকৃত ১৫ জায়গার মালিক সূত্রে ২০ বছর আগে চারতলা ভবন নির্মাণ করেন মো. জংশের আলী। ফ্ল্যাটসহ বিভিন্ন অফিস ভাড়া দিয়ে ভোগ দখল করছেন তিনি। ২০০৮ সালে কুমিল্লা জজ কোর্ট থেকে একটি নোটিশ আসে তার কাছে। নোটিশের মাধ্যমে জানতে পারেন জায়গার কোনো এক ওয়ারিশ মো. হানিফ মিয়া বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। হানিফ দলিলে ঠিকানা দেন মানিকারচর শিখিরগাঁও। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, দীর্ঘ ৫০ বছর থেকে ঢাকায় বাস করছেন তিনি। আগে তাদের বাড়ি ছিল রামনগর ছোয়ানী। জংশের কাগজপত্র নিয়ে কোর্টে হাজির হলে দীর্ঘ শুনানির পর ২০২২ সালে আদালত তার পক্ষে রায় প্রদান করেন। হানিফ আবারো আপিল করেন। আপিলের মামলা চলাকালীন সময়ে, একাধিক জাল দলিল নির্মাতা দুর্লব্ধী গ্রামের সবুজ মিয়ার মাধ্যমে একটি জাল দলিল তৈরি করে আদালতের মাধ্যমে একটি ভুয়া রায় নিয়ে আসেন। সবুজ এখন জালিয়াতির মামলায় জেলে আছেন। পরে জংশের আদালতে এ জাল দলিলের বিরুদ্ধে মামলা করেন। বিজ্ঞ আদালত তাকে আশ্বস্ত করে বলেন, আপনার জায়গা আপনার আছে এবং থাকবে। ভুক্তভোগী জংশের মিয়া বলেন, আমাদের মেঘনায় দালাল সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য এতই বেড়েছে যে যাদের জমি আছে তাদেরকে আতঙ্কে থাকতে হয়। ভুয়া দলিল তৈরির কারখানা এখন মেঘনায়। একাধিক ব্যক্তি এ চক্রের দ্বারা ভুক্তভোগী। হানিফ মিয়া ভুয়া দলিলের মধ্যে ঠিকানা দিয়েছে মানিকারচর শিকিরগাঁও। তিনি মামলা চলাকালীন অবস্থায় অন্য আদালত থেকে ভুয়া মালিক সাজিয়ে জাল দলিলের মাধ্যমে রায় এনে খারিজ করতে চাইলে আমি অবগত হই। পরে আমি খারিজ বন্ধ করি এবং দলিলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করি। বৃদ্ধ বয়সে এসে এ চক্রটির হয়রানির শিকার হচ্ছি।