বিবিধ
শিক্ষা শুধু বই থেকেই নয়, জীবন থেকেও আসে - এটিএম মাহমুদ
স্টাফ রিপোর্টর
(৬ মাস আগে) ২৯ অক্টোবর ২০২৩, রবিবার, ৫:৪০ অপরাহ্ন
ছোটবেলা থেকেই আমরা শুনে আসছি, বই ই সকল জ্ঞানের উৎস।কিন্তু জনপ্রিয় ইংরেজি শিক্ষক ও ক্যারিয়ার কোচ এটিএম মাহমুদ যিনি এটিএম স্যার (ATM Sir) নামেও পরিচিত। তিনি মনে করেন, শিক্ষার ক্ষেত্র শুধু বইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। প্রকৃতি, বন্ধু, বিভিন্ন পরিবেশে নিজেকে যুক্ত করেও আমরা অনেক কিছু শিখতে পারি।
এটিএম স্যার বলেন, আমি ব্যক্তিজীবন ও আমার ছাত্র-ছাত্রীদের সবসময় বিখ্যাত দার্শনিক রুশোর একটি ভাবনা উপলব্ধি করতে বলি, প্রকৃতিগত শিক্ষাই সুন্দর, পবিত্র এবং বিশ্বস্ত যা প্রকৃতির কাছ হতেই শেখা যায়। প্রকৃতি থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারি। যেমন, যে কোনো পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিয়ে নিজেকে অভ্যস্ত করে তোলার গুণটা প্রকৃতির থেকে শেখা উচিত আমাদের। গভীর জঙ্গলে কিংবা ধু-ধু মরু এলাকায় পশুপাখি কিন্তু ঠিকই তার খাবার খুঁজে নিতে পারে। কিন্তু মানুষ একটুতেই ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলে এবং সহজেই হাল ছেড়ে দেয়। এর কারণ আমার মনে হয়, মানুষ নিজের গন্ডিটাকে অনেক ছোট করে ফেলেছে।স্কুল-কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার বাইরেও ইংরেজি ক্লাব, ডিবেটিং ক্লাব এবং স্কুল বা কলেজ ভিত্তিক বিভিন্ন ভলান্টিয়ার কাজে নিজেকে অনেক বেশি যুক্ত রাখতে হবে। আধুনিক যুগে নিজেকে প্রস্তুত করতে একাডেমিক রেজাল্টের পাশাপাশি সফট স্কিলসগুলোতেও অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। এই স্কিল কখনো কখনো রেজাল্টের থেকেও অনেক সময় অধিক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
এটিএম স্যার বলেন, আমার কাছে প্রায়ই এমন ছেলেমেয়ে আসে, যারা ইংরেজি পরীক্ষায় লেটার মার্ক পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে, অথচ আমি তাদের ইংরেজিতে দুই লাইন বলতে বা লিখতে বললে তারা তা পারে নি।
এটিএম স্যার আরও উল্লেখ করেন, শুধু একাডেমিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে কাউকে মেধাবী কিংবা মেধাবী নন এমন তকমা দেয়া মোটেই উচিত নয়। তাহলে আজকের বিশ্ব সাকিব আল হাসান কিংবা উসাইন বোল্টের মতো তারকাদের সাথে পরিচিত হতো না।
পড়াশোনার বাইরেও আমাদের বিভিন্ন বিষয়ে কৌতূহল থাকতে হবে এবং সুযোগ সন্ধানী হতে হবে। অনেক মানুষই আছেন যারা নিজেকে নিয়ে হীনমন্যতায় ভোগেন। আর তাই কারো সাথে না মেশা, নিজের মেধা প্রকাশে ভয় পাওয়া এবং নিজের আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলার মতো সমস্যা দেখা দেয়। একটা সিনেমা দেখার মাধ্যমে যদি তুমি নিজের জীবনে আমূল পরিবর্তন আনতে পারো, তাহলে সেই সিনেমা অবশ্যই তুমি দেখবে। দিনশেষে শিক্ষাটা আসল, আর সেই শিক্ষা বাস্তবিক জীবনে কাজে লাগানোর সাহসও গুরুত্বপূর্ণ। তাহলেই জীবন সুন্দর।