বিবিধ
প্লাস্টিক দূষণ রোধে তরুণরাই প্রধান চালিকা শক্তি
স্টাফ রিপোর্টার
(১ বছর আগে) ২২ মে ২০২৩, সোমবার, ৫:০৩ অপরাহ্ন
“প্লাস্টিক ফ্রি ক্যাম্পাস প্রকল্প” প্লাস্টিক দূষণ রোধে জনসচেতনতা গড়তে উৎকৃষ্ট উদাহরণ হতে পারে। প্লাস্টিক ব্যবহারের সংস্কৃতি থেকে তরুণরাই আমাদের বের করে আনতে পারে।
আজ সোমবার রাজধানীর জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি) মিলনায়তনে এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন-এসডো, এমটিবিএল এবং মাউশির সহযোগিতায় প্লাস্টিকমুক্ত ক্যাম্পাস প্রকল্পের শিক্ষামূলক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ ও নীতিনির্ধারকরা তাদের মতামত তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী,এমপি। তিনি বলেন, প্লাস্টিক দূষণ মানব সমাজ এবং পরিবেশ উভয়ের জন্য একটি মারাত্মক সমস্যা। তিনি আরো বলেন, প্লাস্টিক-মুক্ত ক্যাম্পাস প্রকল্পটি প্লাস্টিক দূষণ সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সচেতনতা ছড়িয়ে দিবে এবং প্লাস্টিকের ব্যবহার কমিয়ে আরও টেকসই জীবনযাপনের দিকে অগ্রসর হওয়ার সুযোগ করে দিবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এসডোর চেয়ারপারসন ও সাবেক সচিব সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ। তার মতে, আমরা বিশ্বাস করি যে, স্কুলগুলি প্লাস্টিকমুক্ত টেকসই জীবনযাপনের অভ্যস্ততা, চিন্তাভাবনার বিকাশ ও ভবিষ্যত নেতৃত্ব এবং নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এ বিষয়ে সঠিক তথ্য শিক্ষার্থীদের প্লাস্টিকের উৎস এবং মানুষ ও পরিবেশের উপর এর নেতিবাচক প্রভাব এবং প্লাস্টিক ব্যবহার বর্জনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবে। এই উপলক্ষে এসডো শিক্ষা উপকরণ- শিক্ষার্থীদের বই, শিক্ষক ম্যানুয়াল, পোস্টার, হ্যান্ডআউট, বুকলেট এবং পাজল প্রণয়ন করে। এবং এই শিক্ষা উপকরণগুলি প্লাস্টিক দূষণ সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে ।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের (এমটিবিএল) অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক চৌধুরী আখতার আসিফ বলেন, এমটিবিএল শিক্ষার্থীদের বই এবং শিক্ষক ম্যানুয়াল প্রকাশের জন্য এসডো-কে বিশেষ ধন্যবাদ জানাতে চায়। এই উপকরণগুলি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যা সময়োপযোগী এবং প্রযুক্তিনির্ভর।
এসডোর উপদেষ্টা এবং টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড. আবু জাফর মাহমুদ বলেন, ক্যাম্পাসে প্লাস্টিক দূষণ কমাতে এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে ডিএসএইচই সমর্থন করার ঘোষণা দিয়েছে। এই বই এবং ম্যানুয়ালগুলি সত্যিই প্রশংসনীয় যা শিক্ষার্থীদের স্পষ্টভাবে বোঝার ব্যাপারে সহযোগিতা করবে।
এসডো’র মহাসচিব ড. শাহরিয়ার হোসেন বলেন, এসডোর তৈরি প্লাস্টিক মুক্ত-ক্যাম্পাসের উপকরণগুলি হতে পারে বাংলাদেশে প্লাস্টিক মুক্ত ক্যাম্পাস এবং একটি প্লাস্টিক-মুক্ত সবুজ পৃথিবী গড়ে তোলার সূতিকাগার। এই ম্যানুয়ালটি প্রবর্তনের উদ্দ্যেশ্য হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের প্লাস্টিক দূষণ সম্পর্কে ধারনা দেয়া, প্লাস্টিক-মুক্ত ক্যাম্পাসের প্রয়োজনীয়তা মোকাবেলা করা এবং কীভাবে প্লাস্টিক দূষণ সম্পর্কে সচেতন হওয়া যায় তা সম্পর্কে ধারণা প্রদান করা
এসডোর নির্বাহী পরিচালক সিদ্দিকা সুলতানা বলেন, একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক প্রতিনিয়ত কীভাবে আমাদের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত পরে এবং কেন আমাদের প্লাস্টিক-মুক্ত ক্যাম্পাসে বসবাস করতে হবে তা বোঝার জন্য শিক্ষার্থীরা এই উপকরণ এবং মানু ব্যবহার করতে পারবে।
প্লাস্টিক-মুক্ত ক্যাম্পাস প্রকল্পের শিক্ষা উপকরণ বিষয়ে উপস্থাপন করেন, এসডোর রিসার্চ অ্যান্ড ক্যাম্পেইন অ্যাসোসিয়েট শ্যানন ইফফাত আলম।
এছাড়াও সরকারি, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড এবং পাট বৈচিত্র্য প্রচার কেন্দ্র, বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল, গার্লস গাইড স্বেচ্ছাসেবক, মিডিয়া এবং এসডোর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।