শেষের পাতা
বিএনপি’র রাজনীতি বিদেশি প্রভুদের কৃপানির্ভর
স্টাফ রিপোর্টার
৩ অক্টোবর ২০২৩, মঙ্গলবার
ফাইল ছবি
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বানচাল এবং নির্বাচনী পরিবেশ বিনষ্টের গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তিনি বলেন, ‘বিএনপি’র রাজনীতি বিদেশি প্রভুদের কৃপানির্ভর। জনগণ, গণতন্ত্র এবং কল্যাণকর রাজনীতির প্রতি বিএনপি’র ন্যূনতম বিশ্বাস থাকলে এ দেশের গণতন্ত্রে কোনো সংকট সৃষ্টি হতো না। গতকাল আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা অতীতের ধারাবাহিকতায় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান করে নির্বাচন ও নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। একইসঙ্গে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নের চলমান অভিযাত্রা ব্যাহত করতে চায়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিগত দিনে দেশের সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামীতেও সেই ধারাবাহিকতায় পবিত্র সংবিধানের বিধান অনুযায়ীই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২০১৪ সালে বিএনপি নির্বাচন বানচালের লক্ষ্যে সারা দেশে আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে শত শত নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছিল। তিনি বলেন, নির্বাচন প্রতিরোধের নামে বিএনপি ৩ হাজারের বেশি মানুষ পুড়িয়েছিল, ৫ শতাধিক ভোটকেন্দ্র ও স্কুলসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জ্বালিয়ে দিয়েছিল। এজলাসে বসা বিচারককে বোমা মেরে হত্যা ও আইনজীবীকে হত্যা করেছিল, রেললাইন উপড়ে ফেলেছিল, হাজার হাজার গাছ কেটে ও রাস্তা কেটে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির মাধ্যমে মধ্যযুগীয় কায়দায় নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, বিএনপি একটি অবৈধ রাজনৈতিক দল। অসাংবিধানিক ও অবৈধভাবে বন্দুকের নলের মুখে ক্ষমতা দখলকারী স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া বিএনপি’র রাজনৈতিক ইতিহাস গণতন্ত্র বিরোধী, অসাংবিধানিক ও বেআইনি কর্মকাণ্ডের ইতিহাস। ক্ষমতাকে কেন্দ্রবিন্দু করেই পরিচালিত হয়ে আসছে বিএনপি’র রাজনীতি। হ্যাঁ বা না ভোটের প্রহসন, জাতিকে কারফিউ মার্কা গণতন্ত্র উপহার, ১৫ই ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচন, সাদেক-রউফ-আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন প্রস্তুত, ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার সৃষ্টি এবং একুশে আগস্টের মতো গণহত্যার মধ্যদিয়ে বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করে ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক করার অপচেষ্টাসহ এমন কোনো অপকর্ম নেই, যা বিএনপি সংঘটিত করেনি। বিএনপি কখনো জনকল্যাণ এবং মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ভাগ্যোন্নয়নের রাজনীতি করেনি দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সেজন্য বিএনপি’র রাজনীতি বিদেশি প্রভুদের কৃপানির্ভর। জনগণ, গণতন্ত্র এবং কল্যাণকর রাজনীতির প্রতি বিএনপি’র ন্যূনতম বিশ্বাস থাকলে এ দেশের গণতন্ত্রে কোনো সংকট সৃষ্টি হতো না। বিবৃতিতে বলা হয়, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পবিত্র সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়েই অনুষ্ঠিত হবে। কোনো অপশক্তিই এই নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। অসাংবিধানিক ও বেআইনিভাবে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির অভিযাত্রাকে সমুন্নত রেখে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা বদ্ধপরিকর।
পাঠকের মতামত
ওবায়দুল কাদের এক মিথ্যা বলা মেশিন / বাস্তবকে পাশ কাটিয়ে সারাক্ষণ গুজব রটনায় মশগুল থাকাই অভ্যাস / বিদেশীদের চাইবার আগেই সব দিয়ে দিয়েছে / সেটি নিজ মুখে স্বীকার করেও ফের পল্টি কথা শুনায় / মুখ যেন মুখ নয়, লেজেগোবরে অবস্থান, মিথ্যা বয়ানে আগুয়ান। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন নিঝুম রাতে সিঁদেল চোরের আদলে / দিনে সব কেন্দ্রে দেখা গেছে বেওয়ারিশ কুকুর থাবা মেলে আছে / বিস্মিত জাতি নিজ চোখে দেখে কুত্তামার্কা নির্বাচন মন্তব্য করেছে। তারপরও মিথ্যায় কান ঝালাপালা। এরা প্রতিটি লাইনে লাইনে মিথ্যা বলার প্রশিক্ষণে দক্ষ। সদা সত্য কথা বলার শিক্ষা ভুলেছে / তারা সদা মিথ্যার উপর চলছে চলবে। মিথ্যাই জীবন মিথ্যাই মরণ। জাতির জানা আছে কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যা, মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।
একটা প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র কর্মকর্তাকে বিচার করার মাপকাঠি হতে পারে প্রতিষ্ঠানটা কেমন। দলের বেলায়ও একই। সাধারণ জনগণ হিসেবে আমি দেখি, বিএনপি মানুষের মুক্তি চায়। দেশকে উত্তর কোরিয়া বানানোর অপচেষ্টার বিরুদ্ধে তাদের বেশ কিছু কর্মী ইতোমধ্যে শহীদ হয়েছেন, অনেকেই গুম হয়েছেন, অনেকেই মামলার হয়রানিতে আছেন। অনেক নেতাকর্মী নির্বাসনে প্রবাসে আছেন। যারা সত্যনিষ্ঠ সংবাদ কর্মী, তারা দেশে থাকতে পারে না এই সময়ে। অত্যাচারীর বিরূদ্ধে ও সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকারের পক্ষে অবস্থান নেওয়া কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে যদি আপনার শত্রু মনে হয়, তাহলে এই মেসেজটি মনে করিয়ে দেই: স্বয়ং আল্লাহ নিজেই অত্যাচারীর বিরূদ্ধে অবস্থান নেবেন। তাকেও কি তখন আপনার শত্রু আর নবী মুহাম্মদ (সা:) এর বিরুদ্ধে মামলা, গুম, খুন, বা ভারতের কাছে সাহায্য চাইবেন? সেখানে তো চীন থাকবে না, রাশিয়া থাকবে না, স্বামী স্ত্রী যাই বলেন, ভারত ও থাকবে না।
কাদের বাইছাব আর হাছিনা যা বলে দেশ বিদেশের কেউ বিশ্বাস করেনা। দেশের মানুষকে জোর করে বিশ্বাস করানো গেলেও বিদেশীরা মোটেও বিশ্বাস করেনা। দেশের মানুষ খন গুম মামলা হামলার ভয়ে চুপ থাকে বিদেশীদের ভয় নাই তাই তাগিদ দিতেছে সুষ্ঠু অবাধ ও অংশ গ্রহণ নির্বাচনের কথা। তারপরও মিথ্যা বকবক চলছে অনর্গল।
বিএনপি এখনও কোন সচিবকে রাস্তায় দিগম্বর করেনি, সচিবদের দিয়ে সরকারি চাকুরীর বিধিমালা লঙ্ঘন করে জনতারমন্ঝ গঠন করেনি বা ১৭৩ দিন হরতাল বা অবরোধ করেনি।
মন্তব্য করুন
শেষের পাতা থেকে আরও পড়ুন
শেষের পাতা সর্বাধিক পঠিত

জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]