অনলাইন
প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে নিউ ইয়র্কে আওয়ামী লীগ- বিএনপি'র পাল্টাপাল্টি
সিদ্দিকুর রহমান সুমন, নিউ ইয়র্ক থেকে
(৫ দিন আগে) ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার, ১২:৫৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৫:৩৩ অপরাহ্ন

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। ১৭ই সেপ্টেম্বর রাত ১০টা ৪২ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট (বিএ ১৫৯৩) নিউ ইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। নিউ ইয়র্ক বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান জাতিসংঘে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবদুল মুহিত ও যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান। পরে মোটর শোভাযাত্রা সহকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ম্যানহাটনের একটি অভিজাত হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়।
আগামী ২২ শে সেপ্টেম্বর ৭৮তম অধিবেশনে তিনি ভাষণ দেবেন।
এদিকে নিউ ইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৌঁছানোর আগেই প্রতি বছরের মতো এবারও চার নম্বর টার্মিনালের বাইরে মুখোমুখি অবস্থান নেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীরা। আনন্দ ও প্রতিবাদ সমাবেশে পক্ষে-বিপক্ষে বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে গোটা টার্মিনাল এলাকা। প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিশেষ ফ্লাইটটি যখন অবতরণ করে তখন বাইরে পক্ষে-বিপক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দেন নেতাকর্মীরা। প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করতে আসা যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা রোববার সন্ধ্যা থেকেই জেএফকে বিমানবন্দরে জড়ো হন। তারা নানা স্লোগান দিতে থাকেন। টার্মিনালের আরেক পাশে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনগুলো প্রতিবাদসহ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। তবে রাত ৮টা পর্যন্ত সময়সীমা নির্দিষ্ট থাকায় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নির্দেশে উভয় দলের নেতাকর্মীরা যথা সময়ে ৪ নম্বর টার্মিনালের পার্কিংলটের স্থান ত্যাগ করেন।
তবে বিমানবন্দরের পাশাপাশি জ্যাকসন হাইটসেও মুখোমুখি অবস্থান নেয় দুই দল । স্লোগান- পাল্টা স্লোগানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায় । সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতন্ত্রের দাবিতে শেখ হাসিনার সফরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে বিএনপি। আর প্রধানমন্ত্রীকে সার্বজনীন সংবর্ধনা দেয়াসহ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়ে স্বাগত মিছিল করে আওয়ামী লীগ। দুই দলের নেতা কর্মীদের তুমুল হট্টগোলে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। নিউইয়র্ক পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই পক্ষের মাঝে অবস্থান নেয়। ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরাসহ স্থানীয়রা।
পাঠকের মতামত
বিরোধী মতের লোকজন কে নির্যাতন,ভোট চুরি ও দেশে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে পুলিশ সমর্থিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নিউইয়র্কে রাস্তায় নেমে সকল সচেতন মহল কে জোরালো ভাবে প্রতিবাদ করা উচিত এবং মানবতার সংগঠন জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ যে সমস্ত দেশের সরকার নিরীহ নিরস্ত্র বিরোধী মতের লোকদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের স্টিমরোলার চালাই সেসমস্ত দেশ কে জাতিসংঘের কোনো অধিবেশনে আমন্ত্রণ না জানানোরই উচিত।
অদ্ভূত বিষয় হলো শুধু শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেই বিক্ষোভ হয়।বিশ্বের সব রাস্ট্রের নেতারাই সেখানে বিক্ষোভ হয় শুধু হাসিনার বিরুদ্ধে। বাংলাদেশ বলে কথা।