অনলাইন
নভেম্বরের শুরুতে তফসিল, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন: ইসি আনিছুর রহমান
স্টাফ রিপোর্টার, কিশোরগঞ্জ থেকে
(৬ দিন আগে) ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, রবিবার, ৬:০৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৫:৩০ অপরাহ্ন

নভেম্বর মাসের শুরুতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, আমরা আগে থেকেই বলে আসছি নির্বাচন জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই করব। তফসিল ঘোষণা করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। এবারও তাই করা হবে। সেটা আমরা নভেম্বরের শুরুতেই দিব আশা করছি।
রোববার দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলায় দুইদিনের সফরের শুরুতে কিশোরগঞ্জ সার্কিট হাউসে গার্ড অব অনার গ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান এসব কথা বলেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য বিএনপিকে বহুবার আলোচনায় ডাকা হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা বিএনপিকে ডেকেছি। আমরা বহুবার ডেকেছি। আমাদের দরজা এখনো খোলা আছে। তারা যদি আমাদের কাছে আসতে চায়, আমরা ওয়েলকাম করবো। আমরা চাই সবাই মিলে অংশগ্রহণমূলক একটা নির্বাচন। এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেন, সব দলের অংশগ্রহণ কিন্তু আমাদের ওপর নির্ভর করে না। এটি নির্ভর করে দলের সিদ্ধান্ত ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ওপর। এর সঙ্গে আমাদের কোন সম্পর্ক নাই। আমরা নির্বাচনের উপযোগী পরিবেশ তৈরি করবো। আমাদের দেড় বছর হয়েছে। এই দেড় বছরে সকল দলকে আহ্বান করেছি একাধিকবার, এখনো আমরা আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। নির্বাচনটা অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু ও অবাধ হয়। সেটা নির্ভর করবে রাজনৈতিক দলগুলোর সিদ্ধান্তের ওপর, সেইখানে আমাদের কোনো হস্তক্ষেপ নেই। আমরা সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। সকল প্রস্তুতি একে একে সম্পন্ন হচ্ছে।
বিএনপি বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে এবং এতে নির্বাচনে ব্যাঘাত ঘটবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেন, এগুলো আমাদের এখতিয়ার না। রাজনৈতিক কোনো বিষয়ে আমরা কথা বলতে চাই না। রাজনৈতিক দলগুলো রাজনৈতিক বিষয় সমাধান করবে। এখন পর্যন্ত আমরা সংবিধানের ভিতরে থেকে সবকিছু করছি। এসব বিষয়ে আমরা কোনো বক্তব্য রাখতে চাই না, কারণ আমরা নিরপেক্ষ সাংবিধানিক সংস্থা হিসেবে কাজ করছি। আশা করছি রাজনৈতিক বিষয় কোনো না কোনোভাবে মীমাংসা হয়ে যাবে।
এসময় নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমানের সঙ্গে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ পিপিএম (বার), জেলা নির্বাচন অফিসার আশ্রাফুল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রুবেল মাহমুদ, কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান পরে জেলা নির্বাচন অফিসারের সম্মেলন কক্ষে জেলার উপজেলা নির্বাচন অফিসারদের অংশগ্রহণে জাতীয় পরিচয়পত্র ও প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় যোগদান করেন। এছাড়া তিনি বিকালে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার সম্ভাব্য বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
পাঠকের মতামত
STOP Such type of elections (cinema). Public are busy.Save public money. Rulers are ruling as They’re wish?
আমার মতামত হলো এমন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন স্বচ্ছ হবে বলে মনে হয়না, আবার বর্তমান সরকার কোন ভাবেই তা দিবে না যতই আন্দোলন হোক, আমি হরতাল চাই নাই, আন্দোলন চাই না, দেশে এখন করুন টাকার রিসার্ভ সংকট, অনেক লোক দেশ ছেড়ে বিদেশে টাকার পাহাড় গড়ছেন, এমন অবস্থায় বর্তমান সরকার কে আরও ৫ বছর ক্ষমতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। আমাকে একটু শান্তিতে বাঁচতে দিন। একটি শিশুর কান্না।
জনগণের টাকায় রং তামাশার নির্বাচন,একদিন জবাব দিতে হবে মনু।সৈরাচার এরশাদের নামের উপর জনগণ এখন ও থুতু মারে
এতদিন বলছে অক্টোবরে তফসিল ঘোষণা করবে।এখন বলছে নভেম্বরে,তফসিল পিছালে খােলাও নভেম্বর হবে।১৪ বছর ভোট দিতে পারিনা।এবার ভোটাধিকার ফিরে পেতে যা যা করা লাগে করবো।ইনশাআল্লাহ্।
সাথে স্যাংশন খাওয়ার জন্য ও প্রস্তুতি নিয়ে রাখবেন।
প্রথম ধাক্কাটা ইসি খাবে।