ঢাকা, ৫ অক্টোবর ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিশ্বজমিন

ইইউ পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাস

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ এখনই নিশ্চিত করুন

কূটনৈতিক রিপোর্টার

(২ সপ্তাহ আগে) ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ৬:৩২ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:০০ পূর্বাহ্ন

mzamin

ইউরোপীয় পার্লামেন্টে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে উত্থাপিত একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। তাতে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ এখনই নিশ্চিত করার তাগিদ দেয়া হয়েছে। আজ বাংলাদেশ ছাড়াও আজারবাইজান এবং গুয়াতেমালার বিরুদ্ধে পৃথক প্রস্তাব পাস হয় ইইউ পার্লামেন্টে। যৌথ প্রস্তাবে নাগরিক অধিকার চর্চার বিষয়ে আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুসরণে ৩ দেশের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। পার্লামেন্ট প্রচারিত বিবৃতিতে এমইপিরা বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে সরকারের প্রতি এনজিও, মানবাধিকার সংস্থা এবং কর্মী, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতের আহ্বান জানান। 

তারা বলেন, বাংলাদেশকে অবশ্যই তাদের আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার, বিশেষ করে নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলো মেনে চলতে হবে। সুশীল সমাজের সংগঠনগুলো যেন বিদেশি অনুদান গ্রহণ করতে পারে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে তা নিশ্চিত করতে হবে। এ সংক্রান্ত ইইউ পার্লামেন্টের বিবৃতিতে বিশেষভাবে মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’-এর দুই নেতা আদিলুর রহমান খান এবং এএসএম নাসিরুদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে দণ্ডাদেশের নিন্দা জানানো হয়। পাশাপাশি অবিলম্বে তাদের নিঃশর্তভাবে সব অভিযোগ থেকে মুক্তি দিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যরা। 

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের জন্য ‘এভরিথিং বাট আর্মস’ (ইবিএ) সুবিধা আরও বর্ধিত করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এমন অবস্থায় ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যরা মনে করেন অধিকারের সঙ্গে যে দুঃখজনক ঘটনাটি ঘটেছে তা পশ্চাদগামী পদক্ষেপ। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ইবিএ সুবিধা অব্যাহত রাখা উচিত কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তারা।

বিজ্ঞাপন
মোটা দাগে ৩ (উপ-দফা ১০) দফা সম্বলিত প্রস্তাবটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। নিরঙ্কুশভাবে পাস হওয়া ওই রেজ্যুলেশনের সূচনাতে বলা হয়, বিচারবহির্ভূত হত্যা, বলপূর্বক গুম, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং শ্রমিকদের অধিকার সংকুচিত হওয়াসহ বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি মারাত্মকভাবে অবনতি ঘটেছে। বলা হয়, এ অবস্থায় জাতিসংঘের সঙ্গে মিলে এমন একটি স্পেশাল ম্যাকানিজম বের করতে হবে সরকারকে, যাতে বলপূর্বক গুমের অভিযোগগুলো পুঙ্খানুপঙ্খভাবে তদন্ত করা যায়। সেই সঙ্গে গুমের কেসগুলোর শুনানি চলাকালে আদালতে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের উপস্থিত থাকার অনুমতি দেয়া হয়। রেজুলেশনে ২০২৩ সালের জুনে শ্রমিক নেতা শহিদুল ইসলামের সহিংস হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার তাগিদ দেয়া হয়। সেই সঙ্গে  কোর ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশনের মানদণ্ড অনুযায়ী শ্রম বিষয়ক রোডম্যাপ বাস্তবায়নে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। সাইবার নিরাপত্তা আইনকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণে উৎসাহিত করা ছাড়াও বিরোধী প্রতিনিধিদের গণগ্রেপ্তার এবং বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ বন্ধের আহ্বান জানানো হয়। সেই সঙ্গে ২০২৪ সালে অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করার জন্য এখনই সরকারকে এমন পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান এবং আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী ওই নির্বাচন পর্যবেক্ষণে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের সুযোগ নিশ্চিতকরণের তাগিদ দেয়া হয়। 
 

পাঠকের মতামত

ইইউ পার্লামেন্টে প্রস্তাবটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। নিরঙ্কুশভাবে পাস হওয়া ওই রেজ্যুলেশনের সূচনাতে বলা হয়, বিচারবহির্ভূত হত্যা, বলপূর্বক গুম, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং শ্রমিকদের অধিকার সংকুচিত হওয়াসহ বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি মারাত্মকভাবে অবনতি ঘটেছে। গণগ্রেপ্তার এবং বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ বন্ধের আহ্বান জানানো হয়। সব সেক্টরেই সরকারের দুর্বৃত্তায়ন ধড় পাকড় বরং গতি পেয়ে জোরদার হয়েছে। তার দলীয় সন্ত্রাসীরা আরো মুখিয়ে উঠেছে।

Nazma Mustafa
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, সোমবার, ১১:১৭ পূর্বাহ্ন

উড়ি বাবা ......

সুতা কাটা ঘুড়ি
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ৭:০৩ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশ আজারভাইজান আর গুয়াতেমালার মানবাধিকার লংঘনে উদ্বেগ জানিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্টে যে প্রস্তাব পাশ হয়েছে তাতে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থার প্রতি যে অসম্মানের চুনকালী লেপন করা হলো তাতে শেখহাসিনার সরকারের কি কিছু যায় কিংবা আসে? সে জানে জো বাইডেন তাকে নিয়ে সেলফি তুলেছে ঋষি সুনাক হাটু গেড়ে বসে তাকে প্রণাম জানিয়েছে তাতেই তার মানবতার অহংকার তুঙ্গে পৌছে গেছে। সে এখন নিজেকে জো বাইডেন ঋষি সুনাকের বদৌলতে অপ্রতিদ্বন্দ্বি মানবতার বিশ্বমাতা হিসাবে আবিষ্কার বা আবির্ভূত করেছে। এখন কে কোথায় কি প্রস্তাব আনলো বা না আনলো বা পাশ করলো এমন ঠুনকো বিষয়ে কান দেওয়ার সময় কই। এখন শুধু অপেক্ষা কখন তার বেপরোয়া ক্ষমতার পূণর্বহাল হবে তাই নিয়ে ভাবা। বিরোধিদল দমন নিষ্পেষণ করে হামলা মামলা আর গ্রেফতারের উৎসব চালাতে হবে, অপরাধি সাবস্ত্য করে বাঘা বাঘা প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় সারির নেতাদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘেষণা করতে হবে, গ্রেফতার রিমান্ডে রিমান্ডে তাদের জীবনি শক্তিকে অসার করে তুলতে হবে, রাজনীতির সাধ চিরতরে মিটিয়ে দিতে হবে, সর্বত্র লুটপাট দুর্নীতি অবিচার অপশাসনকে ছড়িয়ে দিতে হবে। অপকর্ম অপবাদ আর মিথ্যাচারকে জাতীয় সুকর্ম বলে স্বীকৃতি দিতে হবে। দলীয় দলকানা দলান্ধদের পূণর্বাসন সহ তাদের সাজ সরঞ্জামের পর্যাপ্ত যোগান দিয়ে নির্বাচনে জেতার উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। এটাই হলো মহারাণীর মহাপ্রত্যয়।

আলমগীর
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ৬:১৬ পূর্বাহ্ন

Statement, Statement isn't enough? ..

No name
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ৫:৪৪ পূর্বাহ্ন

বিশ্বজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

বিশ্বজমিন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2023
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status