নির্বাচিত কলাম
খোলা চোখে
তরুণরা কেন দেশ ছাড়ছে, ভবিষ্যৎ কী?
লুৎফর রহমান
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার
একটা সময় ছিল কাজের জন্য প্রবাসী কর্মীদের বড় গন্তব্য ছিল মধ্যপ্রাচ্য। দলে দলে মানুষ মধ্যপ্রাচ্যে গেছেন। এই প্রবাসী কর্মীদের অনেকে কম শিক্ষিত ছিলেন। কারিগরি দক্ষতাও থাকতো না অনেকের। এখনো মধ্যপ্রাচ্যই বাংলাদেশিদের জন্য সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার। এর পাশাপাশি ইউরোপ, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া সহ উন্নত অনেক দেশে শিক্ষা বা কাজের জন্য ছুটছেন বাংলাদেশিরা। তাদের একটা বড় অংশই তরুণ। এই তরুণ বাংলাদেশিরা যেসব দেশে যাচ্ছেন তাদের বেশির ভাগই সেখানে স্থায়ী হওয়ার চিন্তায়। অনেকে স্থায়ী হচ্ছেন। শুধু শিক্ষা বা চাকরির জন্য মানুষ প্রবাসে যাচ্ছে তা কিন্তু নয়।
এটা সত্য দেশের অর্থনীতির দুই প্রধান চালিকা শক্তি এখন তৈরি পোশাক শিল্প খাত ও প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স। এই খাতের ওপর ভর করেই দেশের অর্থনীতি সামনে এসেছে। বহুদিন থেকেই এই দুই খাত অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করছে। এই সময়ে আমরা বিকল্প আয়ের উৎস তৈরি করতে পারেনি। এটাও সত্য যে আমাদের যে পরিমাণ নাগরিক দেশের বাইরে কাজ করেছেন সেই তুলনায় প্রবাসী আয় আসছে না। কারণ এই নাগরিকদের বড় অংশই কোনো ধরনের দক্ষতা অর্জন না করেই বিদেশে পাড়ি জমান। কাজের সন্ধানে যান। শিক্ষা নিতে যান। উন্নত জীবনের জন্য যান। দক্ষ জনশক্তি বিদেশে পাঠাতে পারলে আরও কম মানুষই বর্তমানের চেয়ে আরও বেশি পরিমাণ বিদেশি অর্থ দেশে পাঠাতে পারতেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, গত অগাস্ট মাসে প্রায় ১৬০ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। অথচ গত বছর এই মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ২০৩ কোটি ডলার। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় আগস্ট মাসে রেমিট্যান্স কমেছে ২১.৪৮ শতাংশ। অথচ আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় জনশক্তি রপ্তানি বেড়েছে।
বাংলাদেশ জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য বলছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশ থেকে ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৯৩১ কর্মী বিদেশে গেছেন। এর বিপরীতে ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। আগের অর্থবছরে বিদেশ গিয়েছিলেন ৯ লাখ ৮৮ হাজার ৯১০ জন, রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ ডলার। সে হিসাবে জনশক্তি রপ্তানি বাড়লেও সে তুলনায় রেমিট্যান্স আসছে না দেশে।
কথা হলো- প্রবাসে জনশক্তি রপ্তানির একটি প্রক্রিয়া আছে। যারা দেশে কাজ পাচ্ছেন না তারা বিদেশে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় গিয়ে কাজ করবেন। তারা দেশে অর্থ পাঠাবেন। এতে তাদের নিজেদের পরিবার উপকৃত হবে। দেশও উপকৃত হবে। কিন্তু বর্তমানে তরুণ জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ বিদেশমুখী হচ্ছে কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই। তারা যেকোনো উপায়ে দেশ ছাড়তে চাইছে। এর পেছনে নানা কারণ থাকতে পারে। সবচেয়ে বড় কারণ হলো তরুণদের জন্য আমরা এমন কোনো শিক্ষা দিতে পারছি না যে শিক্ষা গ্রহণ শেষে সে চাকরি না করেও নিজে কিছু করতে পারে। এ ছাড়া চাকরি করতে চাইলেই যে চাকরি মিলবে এমন কোনো পরিস্থিতিও দেশে নেই। লাখো শিক্ষিত বেকার যুবক চাকরিতে প্রবেশের অপেক্ষায় বছরের পর বছর পার করেন। কিন্তু কাক্সিক্ষত চাকরি মিলে না। তাদের একটা অংশ এক পর্যায়ে বিদেশে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, দেশে শিক্ষা গ্রহণ করে চাকরি মিলবে- এমন নিশ্চয়তা না মেলায় অভিভাবকদের একটি অংশ আগে থেকেই চিন্তা করেন সন্তানকে কীভাবে বিদেশে পাঠানো যায়। তাদের মধ্যে এমন ধারণা রয়েছে বিদেশে অন্তত জীবন চালানোর একটা কাজ মিলবে।
অনেকে বলছেন, দেশের প্রেক্ষাপটও তো বদলাচ্ছে। হ্যাঁ এটাও সত্য। সময়ের সঙ্গে দেশও এগোচ্ছে। অর্থনীতি সামনে যাচ্ছে। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলসহ দৃষ্টিনন্দন সব অবকাঠামো তৈরি হয়েছে এবং হচ্ছে। মূল্যস্ফীতির যন্ত্রণা সত্ত্বেও জীবনমান বেড়েছে। মাথাপিছু আয়, গড় আয়ু সার্বিকভাবে বেড়েছে। তারপরও এটা হয়তো তরুণদের বিদেশমুখিনতা ঠেকানোর জন্য যথেষ্ট নয়। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন মেধাবী তরুণরা যদি এভাবে দেশ ছাড়তে থাকেন, তাহলে দেশটাকে কারা এগিয়ে নেবে? ভবিষ্যতে কারা দেশের উন্নয়নে নেতৃত্ব দেবে? সামনের দিনে বিশ্বে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে যে সক্ষমতা দরকার হবে তা অর্জন হবে কীভাবে? এ ছাড়া জনগোষ্ঠীর বিদেশগামিতার সঙ্গে শুধু অর্থ আয়েরই যে সংশ্লেষ আছে তা কিন্তু নয়। জনগোষ্ঠীর একটি অংশ বাইরে যাচ্ছে সঙ্গে দেশের অর্থ নিয়ে। উচ্চ শিক্ষার জন্য যাওয়া শিক্ষার্থীদের অনেকে দেশের অর্থে তাদের শিক্ষার খরচ জোগান। আবার অনেক ব্যবসায়ী, শিল্পপতি বিদেশে তাদের সেকেন্ড হোম গড়ছেন। শিল্প, ব্যবসার পরিধি বাড়াচ্ছেন। তাদের মাধ্যমেও নানা উপায়ে দেশীয় অর্থ বিদেশে যাচ্ছে।

এখন কথা হলো, আমরা যদি আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ করতে পারতাম, পড়াশুনার পরিবেশ তৈরি করতে পারতাম এবং সঠিক সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হওয়ার নিশ্চয়তা দেয়া যেতো। তাদের সঠিক মানের শিক্ষা দেয়া যেতো তাহলে দেশ থেকে হাজার হাজার শিক্ষার্থী প্রতি বছর পড়াশুনার জন্য বিদেশে যেত না। সঙ্গে কষ্টার্জিত বিদেশি অর্থও সাশ্রয় হতো। ইউনেস্কোর ইনস্টিটিউট ফর স্ট্যাটিসটিক্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতি বছরই ৪০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন। করোনার দুই বছর বাদে ২০১৫ সাল থেকে এই সংখ্যা বাড়ছে। গত দুই বছরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১৭ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি জমিয়েছেন। এ ছাড়া মালয়েশিয়া, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, জাপান, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রচুর শিক্ষার্থী যাচ্ছেন উচ্চশিক্ষা অর্জনে। সাম্প্রতিক সময়ে ডেনমার্ক, সুইডেন, নিউজিল্যান্ড, সাইপ্রাস, ফিনল্যান্ডেও বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বাড়ছে। সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর এক জরিপে দেখা গেছে, ২০২১ সালে প্রতি হাজারে তিন জন দেশ ছেড়ে বিদেশে অভিবাসী হয়েছিলেন। গত বছর এ সংখ্যা বেড়ে হয়েছে হাজারে ৬.৬ শতাংশ।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা প্রকাশিত ‘দ্য গ্লোবাল এমপ্লয়মেন্ট ট্রেন্ডস ফর ইয়ুথ-২০২২’-এর প্রতিবেদন অনুসারে বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার ১০.৬ শতাংশ। লন্ডনের ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের তথ্যমতে, বাংলাদেশে প্রতি ১০০ জন স্নাতক ডিগ্রিধারীর মধ্যে ৪৭ জনই বেকার। অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ ও সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের এক জরিপে জানানো হয়, বাংলাদেশে যুবগোষ্ঠীর বড় অংশ আর্থসামাজিক ঝুঁকির মধ্যে আছে। বৈষম্য আর গুণগত শিক্ষার অভাবে ৭৮ শতাংশ তরুণ মনে করেন, পড়াশোনা করে তারা চাকরি পাবেন না, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এ হার ৯০ শতাংশ। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের অন্য এক জরিপের তথ্য অনুযায়ী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলো থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের ৬৬ শতাংশই বেকার থাকছেন।
দেশের শিক্ষা ও চাকরির বাজারের এমন অবস্থার কারণেই হয়তো বাংলাদেশি তরুণরা হন্যে হয়ে বিদেশে ছুটছেন। তারা নানা উপায়ে ইউরোপ ও আমেরিকায় থিতু হতে চাইছেন। বিদেশে যেতে কেউ কেউ নৌকায় করে গভীর সমুদ্র পাড়ি দেয়ার মতো ভয়াল ঝুঁকি নিচ্ছেন। তাদের কারও কারও বিদেশ যাওয়ার স্বপ্ন শেষ হয়ে যাচ্ছে সাগরে ডুবে। অবৈধ পথে যারা ইউরোপ, আমেরিকায় যাচ্ছেন তারা সেখানে গিয়ে নানা অজুহাতে আশ্রয় প্রার্থনা করছেন। এই আশ্রয় প্রার্থীরা রাজনৈতিক কারণে হয়রানি, নির্যাতন, ধর্মীয় বা মত প্রকাশের কারণে হয়রানির শিকার বলে আশ্রয় চাওয়ার কথা বলছেন। তাদের এমন দাবি দেশের ভাবমূর্তিও দারুণভাবে ক্ষুণœ করে চলেছে।
সর্বশেষ আসা তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) ২৭টি দেশে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছেন প্রায় ২১ হাজার বাংলাদেশি। বিভিন্ন দেশ থেকে এরকম আশ্রয়প্রার্থীর মোট সংখ্যা ৫ লাখ ১৯ হাজার। গত ৫ই সেপ্টেম্বর ইউরোপীয় ইউনিয়ন এজেন্সি ফর অ্যাসাইলাম (ইইউএএ) এই তথ্য প্রকাশ করে। আবেদনকারীদের মধ্যে প্রায় ২৫ শতাংশ সিরিয়া ও আফগানিস্তানের নাগরিক। এ দুটি দেশের মানুষ যুদ্ধ বিগ্রহের কারণে দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন।
ইইউএএ’র সূত্র বলছে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে কয়েক বছর ধরেই আশ্রয়প্রার্থী বাড়ছে। ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা ৫৩ শতাংশ বেশি ছিল। এ বছর আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা ২০২২ সালের তুলনায় প্রায় ২৮ শতাংশ বেশি। গত বছর প্রথম ছয় মাসে জমা পড়েছিল ৪ লাখ ৬ হাজারের মতো আবেদন। এ বছর তা ৫ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এবার আশ্রয়ের আবেদন করা প্রায় ৫৯ ভাগ মানুষের আবেদন নাকচ হয়ে গেছে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা ১০ লাখ হতে পারে বলে ধারণা করছে ইইউএএ।
এটি হলো বৈশ্বিক চিত্র। যেসব দেশ থেকে অভিবাসীরা ইউরোপ ও আমেরিকায় যেতে চান তাদের প্রেক্ষাপটও ভিন্ন ভিন্ন। কোনো দেশে যুদ্ধ বিগ্রহ, কোনো দেশে আর্থিক সংকট বা শাসক শ্রেণির কঠোর নীতি নাগরিকদের বিদেশে পাড়ি দিতে উদ্বুদ্ধ করছে।
কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। সরকার বলছে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে। মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। মাথাপিছু আয় বেড়েছে। ব্যাপক কর্মসংস্থান হয়েছে। যোগাযোগ ও অবকাঠামো খাতে বহু উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। দেশে বিদেশি বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত হয়েছে। আসলেই এমন অবস্থা তৈরি হলে তরুণরা দলে দলে দেশ ছাড়বে কেন- এই প্রশ্ন অনেকেই করে থাকেন। প্রশ্ন আছে দেশের তরুণ প্রজন্মের একটি বড় অংশ যদি বিদেশে পাড়ি জমায়, বিদেশে স্থায়ী হয়, তাহলে দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতির ভবিষ্যৎ কেমন হবে?
মোদ্দাকথা হলো তরুণ প্রজন্মকে দেশের মাটিতে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা থাকলে তাদের বিদেশ যাওয়ার স্রোত হয়তো আরও কমানো যেতো। তাদের মেধা, বুদ্ধি আর কর্মশক্তি দেশের জন্য কাজে লাগানো যেতো। এতে উন্নয়ন অগ্রগতির চাকায় গতি আরও বাড়তো। এখনই তরুণদের নিয়ে এমন পরিকল্পনা না সাজালে ভবিষ্যৎ হয়তো খারাপ কোনো বার্তা বয়ে নিয়ে আসতে পারে।
পাঠকের মতামত
দেশে কোন নিরপেক্ষ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান বাকি নেই যেটা দলীয়করন করা বাকি আছে। পদে পদে ঘুষ, সামাজিক নিরাপত্তার অভাব। দলীয় ক্যাডারেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সাধারন শিক্ষার্থীদের ভয়ে রাখে। ব্যবসা করতে গেলে পদে পদে চাঁদা দিতে হয়। টাকা পাচার হচ্ছে দেশ থেকে, করছে কারা? পলিটিশিয়ানরা, তাদের সন্তানদেরকে এই দেশ থেকে নিয়ে যাচ্ছে আর দেশকে ফকির করে দিচ্ছে। টাকার মান কমে গেছে 30-40%. আগে মানুষ যা ইনকাম করত সেই টাকা ইনকাম করলে সংসার এ টানাটানি। আমার যে সব বন্ধু দেশে আছে তারা ও আমেরিকা আসার জন্য চেষ্টা করছে, তাদের যোগ্যতা আছে কারন তারা ইঞ্জিনিয়ার। দেশের পলিটিকাল স্ট্যাবিলিটি দরকার, গনতন্ত্র দরকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা দিতে হবে, দুর্নীতি কমাতে হবে। নতুন গ্রাজুয়েটদেরকে স্কিল বাড়ানোর জন্য সুযোগ দিতে হবে , সাথে ন্যায্য বেতন দিতে হবে।
"তরুণরা কেন দেশ ছাড়ছে, ভবিষ্যৎ কী?" যে দেশে সরকার লুটেরা, এবং সরকারি কর্মচারীর লুটেরা যে দেশে মেধার কোন মূল্য নেই, আমচা চামচা, সন্ত্রাসী, খুনি, অপরাধী,লুচ্চা, গুন্ডা পান্ডা, শয়তান প্রশাসন তথা কলকারখানার প্রধান পদগুলো দখল করে আছেন সেখানে, মেধাবীদের মেধা তাদের জন্য ভয় ভীতি কাজ করে। এসব থেকে তরুণ মেধাবীরা দেশের কুকর্মের স্বাক্ষী না হয়ে দূরদেশে কাজ নিরাপদ ভবিষৎ গঠন করার জন্য বিদেশ পারি দিচ্ছেন। দেশে বিনা ভিসায় বহু দালাল চাকুরী করে বিলিয়ন ডলার নিয়ে যাচ্ছে অথচ তাদের BUET বা কুয়েট , চুয়েটে, রুয়েট বা বেসরকারি ইউনিভার্সিটি হাজার, হাজার শিক্ষার্থী, অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার বেকার বসে আছেন, এসব দেখে তরুণ মেধাবীরা দেশ থেকে বিদেশ কে নিরাপদ মনে করে। এতে যেমন সরকার খুশি, সন্ত্রাসীরা খুশী, লুটেরারা খুশি, তাই আল্লাহর কাছে দোয়া চাই,আল্লাহ কিয়ামত যখন দিবেই এখনই দিয়েদাও।আমীন