শেষের পাতা
বিমানবন্দরে অতিষ্ঠ দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসীরা, দ্বারস্থ হচ্ছেন আদালতের
স্টাফ রিপোর্টার
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার
দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রায় তিন লাখ প্রবাসীর বাস। তাদের অভিযোগ প্রতিনিয়ত হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার হচ্ছেন তারা। অনেকেই বৈধ কাগজ থাকা সত্ত্বেও ধরতে পারছেন না বিমান। হয়রানি এড়াতে গুনতে হয় অর্থ। আর যারা নতুন যেতে চান তাদেরকেও নানাভাবে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করা হয়। এমনকি আটকেও যায় অনেকের যাত্রা। আমজাদ হোসেন চয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসীদের কমিউনিটি ‘বাংলাদেশ পরিষদ অর্গানাইজেশন’র জয়েন্ট সেক্রেটারি। দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে দেশটিতে থাকা এই প্রবাসী বলেন, ঢাকার সিন্ডিকেটের কাছে আমরা জিম্মি, বিশেষ করে ইমিগ্রেশনের সময়। আমাদের আটকে দেয়ার জন্য তারা আপ্রাণ চেষ্টা করেন। ওয়ার্ক পারমিট কবে শেষ হবে? এই কাগজ, ওই কাগজ এরকম করে নানাভাবে হয়রানির শিকার হই আমরা।
তিনি আরও বলেন, এই সিন্ডিকেটের লোকজন ইমিগ্রেশনের বাইরে থাকেন। তাদের কাছে বিভিন্ন অঙ্কের অর্থ নেয়া হয়। এই অর্থ না দিলে হয়রানির মুখে পড়তে হয়। যার কাছে যেমন অর্থ নিতে পারে তারা। অনেকের কাছে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকাও নেয়।
তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা যুবলীগের এডভাইজারের দায়িত্বও পালন করছেন। সবশেষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের সময়ে এই হয়রানি বন্ধের দাবি জানান প্রবাসীরা। চয়ন বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইতিবাচক কথা বলেছেন। আমরা চাই স্থায়ী সমাধান। আমরা বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গেও কথা বলেছি। এখন আমরা এই হয়রানি স্থায়ীভাবে বন্ধে আদালতে শিগগিরই রিট করতে যাচ্ছি।
পাঠকের মতামত
অবশ্যই ইমিগ্রেশন পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত। সবথেকে বেশি দুর্নীতিগ্রহস্থ প্রতিষ্টান।
চলে এসেছে Kazi! চিন্তার কিছু নাই! এখনই সব ঠিক হয়ে যাবে!
এসব অন্যায় ও অসৎ আচরণ বন্ধ না করলে দেশের সুনাম ও সন্মানি তথা বৈদেশিক মুদ্রার চ্যানেল ক্ষীণ হতে হতে শ্রীলঙ্কার মত অবস্থা হবে।
যাবার সময় এয়ারপোর্টে ট্রলি পেতে কষ্ট হয় অনেক কষ্টে ট্রলি পেলে গেটে গিয়ে দাঁড়াবো আনসার তার আগেই ইটা দেন সেটা দেন যেন সেই ইমিগ্রেশন অফিসার ! তারপর খুব কাছে এসে বলেন ৫০০ টাকা দেন আমাদের লোক আপনাকে কাউন্টারে ইজিলি পৌঁছে দেবে। আমি বললাম লাগবে না ২০ বছর ধরে যাই আমার অভিজ্ঞতা আছে বেশ বিরক্ত হলো সে ইঙ্গিতে আমাকে গেটে কাউকে কি যেন দেখালো সে ও দেখি এই প্রশ্ন সেই প্রশ্ন আমি বললাম আপনি পাসপোর্ট তাই উল্টা ধরেছে সেটা সঠিক করে ধরে পড়ুন তারপর কি জানতে চান বলেন। মুখের দিকে তাকিয়ে একটু রাগ নিয়েই বলে যান যান। বোর্ডিং পাস নিতে গিয়ে মনে হয় সে ও ইমিগ্রেশন অফিসার আর আমি অবৈধ কেউ তারপর কাস্টম চেকের সময় সেই ১৫ বছের আগের পুরোনো সব ক্যামেরা আর পুরোনো সব সিস্টেম নিয়ে হাজারো প্রশ্ন যার কিছুর কোনো আগা মাথা নেই। বাংলাদেশ এয়ারপোর্টে ৯০% মানুষের এমন অভভিজ্ঞতা হয় তারা বুজবেন যে আসলে আমাদের অবস্থা টা কি।
যারা বিদেশে যায় এবং দেশের জন্য রেমিটেন্স নিয়ে আসে তাদের জন্য ঢাকা বিমানবন্দর এর এই কুকুরদেরকে চিহ্নিত করে নিবারন করা উচিৎ। সৎ ও নিষ্ঠাবান পুলিশ জড়িত করা দরকার।
এই মানুষ গুলো অনেক পরিশ্রম করে, অনেক কষ্ট করে বৈদেশিক মুদ্রা দেশে পাঠাচ্ছে. আমরা এর ফল ভোগ করছি। তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষর উচিত এদের Dhaka airport এ সব ধরনের হয়রানি বন্ধ করা। আমরা সরকারের উচ্চ মহলের দিষ্টি আকর্ষণ করছি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য।
স্বার্থান্বেষী মহলের কুটচাল ও আইন মানার নামে অতি তৎপরতায় বিদেশ যাত্রা নূতন বাঁধার সন্মূখীন হতে পারে । তাই বিষয়টি আইনি পদক্ষেপের পাশাপাশি দূর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বয়ে গঠিত তাৎক্ষনিক যাছাইয়ে ব্যবস্থা রাখা হউক।
তৃতীয় টার্মিনালের সৌন্দর্য ও স্থাপত্য নয়নাভিরাম । কিন্ত ইট পাথরের ও লোহার অবকাটামো ই শেষ কথা নয়। একে স্বার্থক করতে হলে প্রয়োজন বিমানবন্দরে কর্মরত সকলের আচরণ ঠিক করা । অমায়িক আচরণে আগত যাত্রীদের মন তুষ্টি, বহির্গামী যাত্রীদের সঙ্গেও একই রকম আচরন করা। ৫৪ দেশের বিমান আসবে, হাব হবে তা সুন্দর ভাবে পরিচালিত করতে স্বভাব বদলাতে হবে বিমানবন্দরের সব সেবকদের। তা একমাত্র সম্ভব ঘুম খাওয়ার ইচ্ছা চিরতরে পরিত্যাগ করা । ঘুষ খাওয়ার ইচ্ছা যাত্রী হয়রানির মূল কারণ।