বিশ্বজমিন
ভারতীয় স্বামীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আবেদন সেই সোনিয়া আক্তারের
মানবজমিন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বুধবার, ৭:৪৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১:৪০ অপরাহ্ন

বাংলাদেশি নাগরিক সোনিয়া আক্তার এবং তার ভারতীয় স্বামী সৌরভকান্ত তিওয়ারির মধ্যেকার বিয়ের গল্প জটিল মোড় নিয়েছে। সম্প্রতি ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন চলাকালীন সোনিয়া আক্তার নয়ডার বাসিন্দা তিওয়ারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জোরালো আবেদন জানান। এ খবর দিয়েছে দ্য ফ্রি প্রেস জার্নাল।
খবরে জানানো হয়, বাংলাদেশের নাগরিক সোনিয়া আক্তারকে ২০২১ সালের ১৪ই এপ্রিল বিয়ে করেছিলেন সৌরভকান্ত তিওয়ারি। সোনিয়া আক্তারের অভিযোগ হচ্ছে, তিওয়ারি বাংলাদেশে ‘স্ত্রী ও সন্তান ফেলে’ ভারতে চলে গেছেন। এজন্য স্বামীকে ফিরিয়ে আনতে সোনিয়া আক্তার সম্প্রতি ভারতে গিয়ে সেদেশের পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। তিওয়ারি সোনিয়াকে বিয়ে করতে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন বলেও দাবি করেন তিনি।
তবে তিওয়ারি সোনিয়াকে নিজের স্ত্রী হিসাবে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। উত্তর প্রদেশের পুলিশ সোনিয়া আক্তারের অভিযোগ নিয়ে এরইমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে এবং তারা আবিষ্কার করেছেন যে, ভারতে ওই তিওয়ারির স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। সোনিয়া আক্তার তার এক বছরের ছেলের সাথে বর্তমানে নয়ডায় থাকছেন। তিনি সহায়তা চাইতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পৌঁছান।
সোনিয়া আক্তার বিচার পেতে এপি সিং নামের এক আইনজীবীকে নিযুক্ত করেছেন। ওই আইনজীবী এরইমধ্যে পাকিস্তান থেকে ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া সীমা হায়দারের মামলা লড়ে বেশ পরিচিতি লাভ করেছেন। এ বছরের প্রথম দিকে পাবজি খেলতে গিয়ে এক ভারতীয়র সঙ্গে প্রেম হয় সীমার। এরপর তিনি নেপাল হয়ে অবৈধভাবে ভারতে আসেন তার প্রেমিককে সচিন মিনাকে বিয়ে করতে। যদিও অনুপ্রবেশের অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করে ভারতের পুলিশ। এবার সেই এপি সিং লড়বেন সোনিয়া আক্তারের মামলাও।
সোনিয়া আক্তার এখনও তার স্বামী তিওয়ারির সাথে একত্রে তার বাকি জীবন পার করতে চান। কিন্তু বিয়ের সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও তিওয়ারি সোনিয়ার সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখছেন। এতে অনিশ্চয়তায় দিন কাটছে সোনিয়ার। সোনিয়া আক্তার তার অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, তিওয়ারি এখন রাজি হচ্ছেন না, তিনি আমাকে তার বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন না। আমি একজন বাংলাদেশি, প্রায় তিন বছর আগে আমাদের বিয়ে হয়েছিল। আমি শুধু আমার স্বামীর সঙ্গে আমাদের সন্তান নিয়ে থাকতে চাই।