কলকাতা কথকতা
বাংলাদেশ মিশনের সামনে আত্মঘাতী কনস্টেবলের রহস্য ফিকে, সম্পর্কের টানাপোড়েনই মৃত্যুর কারণ
বিশেষ সংবাদদাতা, কলকাতা
(৩ বছর আগে) ১২ জুন ২০২২, রবিবার, ৮:০৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৮:১৪ অপরাহ্ন
মানসিক অস্থিরতা নয়, সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণেই পার্ক সার্কাসে বাংলাদেশ মিশনের সামনে এক তরুণীকে বুলেটে ঝাঁঝরা করে নিজে আত্মঘাতী হয় পঞ্চম ব্যাটালিয়নের কনস্টেবল চোদুপ লেপচা। তার স্বজনরা চোদুপের নিথর দেহ নিতে কলকাতায় পৌঁছালে তাদের কাছ থেকে এই তথ্য জানা যায়। চোদুপ সম্প্রতি ট্রাফিক ডিভিশন থেকে কলকাতা আর্মড পুলিশে বদলি হয়েছিলেন। সাতদিন কালিম্পঙ-এর বাড়িতে ছুটি কাটিয়ে বৃহস্পতিবারই বাংলাদেশ মিশনে রক্ষীর কাজে যোগ দেন। শুক্রবার ঘটনার দিন সকাল আটটা চল্লিশ নাগাদ বোন যোগমিতকে ফোনও করেন চোদুপ। সেই সময় তার মানসিক অস্থিতির কোনও প্রমাণ মেলেনি। কালিম্পঙে এলে দাদা বৌদির সঙ্গে থাকতেন চোদুপ। বৌদি প্রমীলা প্রধানই রহস্য ফাঁস করেছেন। চোদুপের এক প্রণয়িনী ছিল। তার সঙ্গে সম্প্রতি ব্রেকআপ হয়ে যায় চোদুপের। এবার কালিম্পঙে ছুটি কাটাতে গিয়ে বৌদি প্রমীলাকে চোদুপ জানিয়েছিলেন, পরের ছুটিতে এসে বিয়ে করবেন। বৌদিকে পাত্রী দেখতে বলেন চোদুপ।
পুরনো সম্পর্কের কি হলো? চোদুপ এই প্রশ্নের জবাবে যা জানায় তার মর্মার্থ হয়, নারীচরিত্র দেবা না জানন্তী কুতো মনুষ্য। মৃত্যুর ঠিক আগে টেলিফোনে কথা বলেছিলেন চোদুপ। তা কি ওই প্রেমিকার সঙ্গে? চূড়ান্ত প্রত্যাখ্যাত হয়ে কি তিনি নিজেকে শেষ করলেন! সেই কারণেই কি তিনি নারী বিদ্বেষী হয়ে গুলি চালালেন পিলিওন রাইডার তরুণীর ওপর? বৌদি প্রমীলা প্রধান তাই মনে করছেন। যিনি উত্তর দিতে পারতেন তিনি কফিনবন্দি হয়ে কালিম্পঙ গেলেন সমাহিত হওয়ার জন্য। রয়ে গেল কিছু প্রশ্ন।