নির্বাচিত কলাম
প্রসঙ্গ: গৃহ তল্লাশি ও সম্পত্তি জব্দ
জনগণের স্বার্থ রক্ষায় আইনের ভূমিকা কী?
আবদুর রহমান জিলানী
৩০ আগস্ট ২০২৩, বুধবার
পুলিশ রেগুলেশন, ১৯৪৩ এর রেগুলেশন নং-২৮০ এর বিধানকে বিশেষভাবে প্রায়োগিক করার লক্ষ্যে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ৪৭ ডিএলআর ৬০৩-এ বাধ্যতামূলকভাবে তল্লাশি শুরু করার পূর্বেই উপস্থিত সাক্ষীগণ, গৃহকর্তা/প্রতিনিধির সামনেই তল্লাশিকারী প্রত্যেক পুলিশ কর্মকর্তা, তাদের সহকারী, সংবাদদাতা (যদি থাকে) প্রমুখদের নিজ নিজ দেহ পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে। এমনকি সন্দেহভাজন/আসামি নিজেও তাদের সার্চ করতে পারবেন। এই বিধানের ব্যত্যয় হলে তল্লাশি অবৈধ হয়ে যাবে। সুতরাং সংশ্লিষ্ট কোনো পুলিশ কর্মকর্তা যদি উল্লিখিত বিধানসমূহের ব্যত্যয় করে কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে কোনো কর্ম করে তাহলে তা আইন বহির্ভূত বা বেআইনি কাজ বলে গণ্য হবে। ক্ষেত্র ভেদে যার শাস্তির পরিমাণ হতে পারে ২-১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড
বাংলাদেশের জন্মের ঠিক ১৮০ বৎসর পূর্বে অর্থাৎ ১৫ই ডিসেম্বর ১৭৯১ খ্রিস্টাব্দে আমেরিকান
সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী আনয়ন করা হয়। তখন যে ধারণাটি প্রতিষ্ঠিত করা হয় তা হলো, ‘ইজ ম্যান’স হোম ইজ হিজ ক্যাসল।’ অর্থাৎ প্রত্যেক মানুষের বাসা বা বাড়ি তার দুর্গ। এখানে দুর্গ বুঝাতে কেমন যেন একটা সুরক্ষিত কোনো আস্তানাকে মনে ধরে। এ ছাড়াও তাদের চতুর্থ সংশোধনীতে উল্লিখিত বিষয় হচ্ছে, সরকার কর্তৃক সম্পত্তিতে অপ্রাসঙ্গিক তল্লাশি এবং জব্দ হতে নিশ্চয়তা, স্বেচ্ছাচারী গ্রেপ্তার হতে সুরক্ষা এবং আইনানুগ অনুমোদন সাপেক্ষে তল্লাশি পরোয়ানা, নিরাপত্তা পরিদর্শন, যোগাযোগ সংক্রান্ত টুল্স মনিটরিং, অন্যান্য ব্যক্তিগত বিষয়াদির নজরদরি এবং সন্দেহভাজন কাউকে থামানোর জন্য পুলিশের যুক্তিসংগত কারণ থাকতে হবে যে, সন্দেহভাজন ব্যক্তি কর্তৃক কোনো অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বা হচ্ছে বা হবে। অর্থাৎ ব্যক্তিগত স্বাচ্ছন্দ্য রক্ষায় আমেরিকার সংবিধানে একটি পরিচ্ছনতার চিত্র ফুটে উঠেছে এবং তা ২৩০ বৎসর পরেও ফলপ্রসূ ও কার্যকর।
আমরা ভারতের সংবিধানের দিকে তাকালে দেখতে পাই অনুচ্ছেদ ১৯ ও ২০-এ উক্তরূপ তল্লাশি ও সম্পত্তি জব্দের ক্ষেত্রে সুরক্ষা প্রদান করা হয়েছে। তাদের ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৯৭২ এর ১০০ ধারায় সুস্পষ্ট বিধি দ্বারা উক্তরূপ মৌলিক অধিকার রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ করেছে।
এখন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আমরা কী দেখতে পাই। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৪৩ অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়েছে যে, “রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, জনশৃঙ্খলা, জনসাধারণের নৈতিক বা জনস্বাস্থের স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধা নিষেধ সাপেক্ষে প্রত্যেক নাগরিকের- (ক) প্রবেশ, তল্লাশি ও আটক হইতে স্বীয় গৃহে নিরাপত্তা লাভের অধিকার থাকিবে; এবং (খ) চিঠিপত্রের ও যোগায়োগের অন্যান্য উপায়ের গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার থাকিবে।” আমাদের স্বাধীনতার চেয়ে প্রতিবন্ধকতাই বেশি। আর যুক্তিসঙ্গত বাধা নিষেধ যাচাইয়ের সুনির্দিষ্ট মাপকাঠি বা নীতিমালা না থাকায় যতক্ষণ না তা নিজের জন্য ক্ষতিকর হয়, ততক্ষণ আমরা উহার উত্তাপ বা প্রকোপ বা ফলাফলটা বুঝতে পারি না। তথাপি, আমাদের রক্ষাকবচ ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ ও পুলিশ রেগুলেশন, ১৯৪৩ এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তসমূহের অবস্থান দেখা যাক।
প্রায়শই লক্ষণীয়, বলা নেই কওয়া নেই হুটহাট গৃহ-তল্লাশির নামে সাধারণ নাগরিকদের সামাজিক মানসিক এমন কি শারীরিক-আর্থিক হেনস্তার শিকারও হতে হয়। অবস্থাদৃষ্টে মাঝে মধ্যেই মনে হয়, এদেশের শান্তিপ্রিয় সাধারণ নাগরিক হয়তো আইনের এই খুঁটিনাটি বিষয়গুলো জানেন না, কিংবা জানলেও সঠিক ব্যবহারটি পান না। কিন্তু যে সকল সরকারি কর্মচারীগণ এই কার্যক্রম বেআইনিভাবে প্রয়োগ করেন যা ক্ষেত্র ভেদে প্রকারান্তরে ফৌজদারি অপরাধের পর্যায়েও পরিগণিত হতে পারে- তারাও কি দেশের প্রচলিত আইন-কানুন জানেন না? যাহোক, ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ১০৩ ধারা মোতাবেক গৃহ তল্লাশির পদ্ধতি ও নিয়ম হলো- (১) তল্লাশি শুরু করার আগেই পুলিশ কর্মকর্তা স্থানীয় দুই বা ততধিক সম্মানিত অধিবাসীকে সরজমিন উপস্থিত থেকে তাতে সাক্ষী হওয়ার জন্য প্রয়োজনে লিখিতভাবে অনুরোধ করবেন; (২) তল্লাশিকালে, গৃহকর্তা অথবা তার মনোনীত কোনো প্রতিনিধিকে অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে; (৩) কাক্সিক্ষত কোনো মালামাল পাওয়া গেলে পুলিশ কর্মকর্তা তার একটি তালিকা প্রস্তুত করবেন। অতপর সেই তালিকায় উপস্থিত সাক্ষীগণের স্বাক্ষর গ্রহণ করবেন এবং (৪) এরপর সেই তালিকার একটি অনুলিপি চাহিদা মোতাবেক গৃহকর্তা বা তার প্রতিনিধিকে এবং সাক্ষীগণকে প্রদান করবেন। আমাদের মহামান্য উচ্চ আদালত বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষাপটে বহু সিদ্ধান্ত প্রদান করে জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষায় নজির প্রতিষ্ঠা করেছেন। সেসব সিদ্ধান্তের সারমর্মগুলো হচ্ছে- (ক) পুলিশ কোনো নাগরিকের গৃহ তল্লাশি করতে পারে শুধুমাত্র নিম্নববর্ণিত এই দুইভাবে প্রাপ্ত ক্ষমতা বলে- (১) আদালত হতে ইস্যুকৃত তল্লাশি পরোয়ানা বলে, অথবা (২) কোনো মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসাবে সেই মামলার আসামি গ্রেপ্তার বা মালামাল উদ্ধারকল্পে। এ ছাড়া, সংবিধানের ৪৩ অনুচ্ছেদের যুক্তিসঙ্গত বাঁধা-নিষেধ এর আওতায় নির্ধারিত হয়েছে ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ১০১-১০৫ ধারায় বিবৃত বিধানের আওতায়। গৃহ তল্লাশির ক্ষেত্রে ধারা-১০৩ সংযোজন করাই হয়েছে এই কারণে যে, যেসব পুলিশ কর্মকর্তা তল্লাশি পরিচালনা করে, তারা যাতে কোনো অসাধুতার আশ্রয় নিতে না পারে। আর উক্ত ধারায় সম্মানিত অধিবাসী বলতে তাকে বুঝাবে যিনি নিরপেক্ষ হবেন এবং যাকে তল্লাশি স্থানের মালিক বা প্রাতিনিধি বিশ্বাস করতে পারেন। কাজেই, এই ধারার বিধানসমূহ যথাযথভাবে অনুসরণ ব্যতিরেকে কোনো গৃহ তল্লাশি করা বা কোনো সন্দেহভাজন মালামাল জব্দ করা অবৈধ বা বেআইনি কর্ম বলে গণ্য হবে।
পুলিশ রেগুলেশন, ১৯৪৩ এর রেগুলেশন নং-২৮০ এবং ডিএমপি (থানা) রুলস এর বিধি ১০৬-এ গৃহ তল্লাশি সম্পর্কে বলা হয়েছে- (১) তল্লাশিকারী পুলিশ কর্মকর্তা গৃহকর্তার অজ্ঞাতসারে কোনো জিনিস ঘরে নেয়া বা বের করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করবেন। গৃহকর্তা বা তার প্রতিনিধির উপস্থিতিতে তল্লাশি চালাতে হবে। তল্লাশির সাক্ষীদের উপস্থিতিতে কোথায় কোন জিনিসটি পাওয়া গেল, তা স্পষ্টভাবে দেখাতে হবে। তল্লাশিকালে যদি কোনো মালামাল পাওয়া না-ও যায়, তাহলেও ‘জব্দকৃত কোনো মালামাল নাই’ মর্মে জব্দ তালিকা প্রস্তুত করে উপরিল্লিখিত একই পদ্ধতিতে সংশ্লিষ্টদের তার অনুলিপি প্রদান করতে হবে। (২) মামলার তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যদি নির্দিষ্ট কোনো জিনিস বিশেষ কোনো ব্যক্তির দখলে আছে বলে যথেষ্ট যুক্তিসঙ্গতভাবে জানা যায়, তবেই সেই ক্ষেত্রে কেবলমাত্র বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি চালানো যেতে পারে। অন্যথায় তল্লাশি পরোয়ানা ব্যতীত তল্লাশি বেআইনি। তল্লাশিকালে প্রাপ্ত মালামাল তালিকাসহ ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ১৬৫ ধারানুযায়ী যথাশিগগির সম্ভব তল্লাশিকারী পুলিশ কর্মকর্তা ম্যজিস্ট্রেটের নিকট প্রেরণ করবেন।
উল্লেখ্য যেকোনো গৃহের দখলদার দাগী, দুশ্চরিত্র কিংবা ফেরারি আসামি- শুধুমাত্র এই অজুহাতেই সেই গৃহ বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি চালানো যাবে না। তল্লাশি শুরু করার পূর্বেই উপস্থিত সাক্ষীগণ, গৃহকর্তা/প্রতিনিধির সামনেই তল্লাশিকারী প্রত্যেক পুলিশ কর্মকর্তা, তাদের সহকারী, সংবাদদাতা (যদি থাকে) প্রমুখদের নিজ নিজ দেহ পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে। এমন সৌজন্যতার সঙ্গে তল্লাশির ব্যবস্থা করতে হবে, যেন গৃহবাসীদের, বিশেষ করে মহিলাদের তাতে যথাসম্ভব কম অসুবিধা ঘটে। সাক্ষীরা যাতে সংশ্লিষ্ট কোনো পক্ষ বা পুলিশের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত না হয়ে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ হন, সে বিষয়ে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে। যদি সম্ভব হয়, স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার সদস্য বা এলাকার প্রধাণ ব্যক্তিকেও তল্লাশি কর্মকাণ্ড দেখার জন্য উপস্থিত রাখতে হবে। কোন অবস্থাতেই কোনো সোর্স বা গুপ্তচর, অভ্যস্ত মদ্যপ, বা সন্দেহভাজন চরিত্রের লোককে তল্লাশি সাক্ষী হিসেবে তলব করা যাবে না। যখন বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারের জন্য কোনো গৃহে তল্লাশি চালানো প্রায়োজন হবে, তখন অস্ত্র আইনের ২৫ ধারানুযায়ী দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট হতে অবশ্যই পরোয়ানা সংগ্রহ করতে হবে। বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারের জন্য কোনো পুলিশ অফিসার নিজ উদ্যেগে গৃহ তল্লাশি করার ক্ষমতাপ্রাপ্ত নন। তল্লাশিকারী কর্মকর্তা এমনভাবে তল্লাশি চালাবেন যেন উপস্থিত সাক্ষীদের মনে এইরূপ কোনো সন্দেহ করার কোনো অবকাশই না থাকে যে- তল্লাশিকারী পুলিশ কর্মকর্তাগণ বা তাদের সঙ্গীয়গণ গৃহকর্তাকে ফাঁসানোর জন্য কোনো জিনিস আগে থেকেই গোপনে ঘরে প্রবেশ করিয়ে রেখেছে।
আমাদের দেশে ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ১০৫ ধারার আওতায় ম্যাজিস্ট্রেট এর উপস্থিতিতে সার্চ কার্যক্রম পরিচালনার ঘটনা বিরল। তবে, জনগণ কর্তৃক কোনো সার্চ পরিচালিত হলে তা অবৈধ হবে। এ সংক্রান্তে মহামান্য আপিল বিভাগ তজুমুদ্দিন আহমেদ বনাম রাষ্ট্র [৭ বিএলডি (এডি) ২২] মামলায় অভিমত প্রদান করেন যে, ১০৩ ধারার বিধান অনুযায়ী সম্মানীত ব্যক্তির উপস্থিতি না থাকায় সাক্ষ্যের গুরুত্ব কমতে পারে; কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেট বা পুলিশ কর্মকর্তা দ্বারা সার্চ, উদ্ধার ও জব্দ করা না হলে তা অবৈধ হবে।
পুলিশ রেগুলেশন, ১৯৪৩ এর রেগুলেশন নং-২৮০ এর বিধানকে বিশেষভাবে প্রায়োগিক করার লক্ষ্যে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ৪৭ ডিএলআর ৬০৩-এ বাধ্যতামূলকভাবে তল্লাশি শুরু করার পূর্বেই উপস্থিত সাক্ষীগণ, গৃহকর্তা/প্রতিনিধির সামনেই তল্লাশিকারী প্রত্যেক পুলিশ কর্মকর্তা, তাদের সহকারী, সংবাদদাতা (যদি থাকে) প্রমুখদের নিজ নিজ দেহ পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে। এমনকি সন্দেহভাজন/আসামি নিজেও তাদের সার্চ করতে পারবেন। এই বিধানের ব্যত্যয় হলে তল্লাশি অবৈধ হয়ে যাবে। সুতরাং সংশ্লিষ্ট কোনো পুলিশ কর্মকর্তা যদি উল্লিখিত বিধানসমূহের ব্যত্যয় করে কোন অসৎ উদ্দেশ্যে কোনো কর্ম করে তাহলে তা আইন বহির্ভূত বা বেআইনি কাজ বলে গণ্য হবে। ক্ষেত্র ভেদে যার শাস্তির পরিমাণ হতে পারে ২-১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড। আর সঙ্গত কারণেই কোনো নাগরিক যদি এ সকল অপরাধ-অনাচার হতে কোনো বৈধ বা সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে কোনো আশ্রয় না পান, তাহলে এমন বেআইনি ও অপরাধমূলক অপতৎপরতা থেকে বাঁচার লক্ষ্যে দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর ১০৪ ধারা মোতাবেক আত্মরক্ষার ব্যক্তিগত অধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
কোনো অধিক্ষেত্রেই তল্লাশির ‘সময়’ সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ নেই। তবে, আমেরিকা তাদের নাগরিকের অধিকার সুরক্ষার জন্য তল্লাশির সময়সীমা সকাল ৬:০০ ঘটিকা হতে রাত্রি ১০:০০ ঘটিকাকেই মানেন। কিন্তু এই সময়ের বাইরে কিছু করতে হলে বিচারকের অনুমতি লাগবে। এ ছাড়া, তল্লাশির ক্ষেত্রে তারা আর একটি বিষয়ও মানেন তাহলো, তল্লাশির পূর্বে বাসার মালিককে “নক-নোটিশ এবং নক-এনাউন্সমেন্ট” অর্থাৎ মালিককে জ্ঞাত করা ও তা ঘোষণা দেয়া। কিন্তু উক্ত বিষয় যদি এড়াতে চান তাহলে পুলিশকে কী করতে হবে তার জন্য আমেরিকার সুপ্রিম কোর্ট হাডসন বনাম মিশিগান, ৫৪৭ ইউ.এস. ৫৮৬ (২০০৬) মামলায় সিদ্ধান্ত প্রদান করেন যে, সাক্ষ্য-প্রমাণ ধ্বংসের সম্ভাবনা থাকলে পুলিশ আদালত হতে “নক-নোটিশ এবং নক-এনাউন্সমেন্ট” ব্যতীত তল্লাশি পরোয়ানা গ্রহণ করতে পারবেন। অর্থাৎ নাগরিক অধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে একটা জাতি কীভাবে উন্নত শিখরে উঠে তা আমাদের জন্য এখনো শিক্ষণীয় ও চর্চার উপাদেয় বটে।
লেখক: সাবেক এডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এবং এডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।
মন্তব্য করুন
নির্বাচিত কলাম থেকে আরও পড়ুন
নির্বাচিত কলাম সর্বাধিক পঠিত
বেহুদা প্যাঁচাল/ অর্থমন্ত্রীর এত বুদ্ধি!
সাম্প্রতিক প্রসঙ্গ/ বাংলাদেশের অর্থ পাচার, ভারতের আনন্দবাজার, ইউরোপের কালো তালিকা
সাম্প্রতিক প্রসঙ্গ/ নির্বাচন ঘিরে একই প্রশ্ন, আমেরিকা কি ম্যানেজ হয়ে যাবে?
আন্তর্জাতিক/ যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা নাইজেরিয়া ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ
সাম্প্রতিক প্রসঙ্গ/ তত্ত্বাবধায়ক সরকার, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য এবং পশ্চিমাদের অবস্থান
সাম্প্রতিক প্রসঙ্গ/ যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি, সরকারের নীরবতা, অ্যাকশনে অন্যরাও?

জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]