ঢাকা, ৫ অক্টোবর ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শিক্ষাঙ্গন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

পরীক্ষা দিতে এসে হামলার শিকার ছাত্রদল নেতা, প্রক্টর তুলে দিলেন পুলিশের হাতে

জবি প্রতিনিধি

(১ মাস আগে) ২২ আগস্ট ২০২৩, মঙ্গলবার, ৭:২৫ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১:৫৯ অপরাহ্ন

mzamin

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) পরীক্ষা দিতে এসে ছাত্রলীগের হামলার শিকার হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হেনা মুরসালিন।  তিনি সমাজকর্ম বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্বরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর  মামলার বিষয় খতিয়ে দেখতে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।  

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পরীক্ষা শেষ করে ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়ার সময় একাধিক ছাত্রলীগের কর্মী বাঁশের লাঠি দিয়ে তার উপর হামলা চালায়। অভিযুক্তরা হলেন গণিত বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম হাসান, অ্যাকাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আরাফাত, সমাজকর্ম বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হৃদয়। তারা সকলেই শাখা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক এসএম আক্তার হোসাইনের অনুসারী।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, মারধরের খবর পেয়ে আমি সহকারী প্রক্টরকে পাঠাই। সেখান থেকে ওই শিক্ষার্থীকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা আছে কিনা সেটা পুলিশ যাচাই করে কোন মামলা না পাওয়ায় আমরা তাকে ছেড়ে দেয়ার সুপারিশ করি।

রাজনৈতিক কারণে কোনো শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাসে এভাবে মারধর করতে পারে কি-না তা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এ ক্যাম্পাস সকলের। এভাবে কেউ কাউকে মারধর করতে পারে না।

বিজ্ঞাপন
ওই শিক্ষার্থী যদি কোন অভিযোগ করে তাহলে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব।


সদরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই (উপপরিদর্শক) হাসান মাতবর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আমার কাছে বুঝিয়ে দেয়। আমি তাকে আমার হেফাজতে রেখেছি। কি করতে হবে প্রক্টর পরে সিদ্ধান্ত দেবেন।

জবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম আকতার হোসাইন বলেন, ক্যাম্পাসে কোন মারধর বা হামলার ঘটনা ঘটলে তা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যবস্থা নিবে। শিক্ষার্থীদের অভ্যন্তরীণ কোন দ্বন্দের দায় ছাত্রলীগ নিবে না।


হামলার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসলাম বলেন, পরীক্ষা দিতে এসে আমাদের কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কতিপয় ছাত্রলীগকর্মী দ্বারা আহত হলো। এর আগেও কয়েকজনকে পরীক্ষার হলে গিয়ে মেরে আহত করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত ছিল হামলাকারীদের ধরে পুলিশে দেয়া। তারা তো তা করেইনি, উল্টো হামলায় আহত হওয়া শিক্ষার্থীকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়ে তারা বেআইনি এবং বিমাতাসূলভ আচরণ করেছেন। আমরা হমলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছি।

সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রাজিনা সুলতানা বলেন, মোরসালিন তার মিডটার্ম পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার পরেই হামলার শিকার হয়। আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের সাথে যোগাযোগ করেছি। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলেছি।


এর আগে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাহিদ হাসান ও বাংলা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ইমরান হাসান ইমনকে  মারধর করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এদিন গণিত বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম হাসানের নেতৃত্বে ইমরান হাসান ইমনের মারধর করে আইফোন ও মানিব্যাগ কেড়ে নেন। মোবাইল ফোন ফেরত চাইলে পুনরায় মারধরের হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ইমরান ইমন। এবিষয়ে প্রক্টর বলেন, এধরনের কোন অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবো।

পাঠকের মতামত

শিক্ষান্গনে সন্ত্রাস কোন ভাবেই কাম্য নয়।আর প্রক্টর যেই কাজ করলো শিক্ষক নামে কলন্ক।মনুষ্যত্ব বোধ বলতে কিছু নেই।

দীপংকর বড়ুয়া
২৮ আগস্ট ২০২৩, সোমবার, ১২:৫৮ অপরাহ্ন

বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্টান, তারপর প্রক্টর বিষয় খতিয়ে না দেখে পরীক্ষা দিতে আসা ছাত্রকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। সে তো ময়দানে লড়তে আসে নাই। কিন্তু তিনি দলবাজ প্রক্টর এটিকে বিরোধী দলকে শায়েস্তা করতে উত্তম মনে করেছেন ঠিক যেন লীগের প্রক্টর। মূল হামলাকারীকে পুলিশে না দিয়ে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে আসা ছাত্রকে তিনি কোন বিবেচনাতে পুলিশের কাষ্টডিতে পাঠালেন? কোন বাবা মা কি এটি করতে পারবেন? কিন্তু তিনি পেরেছেন কারণ তার কাছে বাস্তবতা নীতি নৈতিকতা থেকে দলবাজি বড়। তিনি ছাত্রদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ ছাত্রদের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রক্টর।

Nazma Mustafa
২৩ আগস্ট ২০২৩, বুধবার, ৮:১৮ পূর্বাহ্ন

যতক্ষণ পর্য্যানত মাইরের বদলা মাইর না দিবেন ততক্ষণ তারা সমিমলীত ভাবে এমন কর্ম করতেই থাকবে। বিচার দিয়ে কোনো লাব নেই। পারলে বদলা নিন। না পারলে মাইর খেতে থাকুন।

হাসান
২৩ আগস্ট ২০২৩, বুধবার, ৪:২৯ পূর্বাহ্ন

কোথায় শিক্ষা...? শিক্ষক এর চেয়ারে বসে আছে চোর, লুচ্ছা, বদমাইশ, দূরনীতিবাজ ময়তার প্রকৃতির লোকজন।

মো: সাইফুল ইসলাম
২৩ আগস্ট ২০২৩, বুধবার, ৩:৫১ পূর্বাহ্ন

ভিতরে যে আদর্শ ধারণ করে আচরণে তাই প্রকাশ পায়। জয় বঙ্গবন্ধু। সিরাজ সিকদার আজকে নেই।

Mahmud
২৩ আগস্ট ২০২৩, বুধবার, ৩:৩৯ পূর্বাহ্ন

এরা মানুষ না শিক্ষক নামের কলংক...ছিঃ

Alam
২২ আগস্ট ২০২৩, মঙ্গলবার, ১১:২৪ অপরাহ্ন

সবচেয়ে আশ্চর্য লাগে বর্তমান শিক্ষকদের ভুমিকা দেখে। ভিকটিমকে তারা পুলিশের হাতে তুলে দেয়? বিষয়টি কতটা মানবিক?

মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম
২২ আগস্ট ২০২৩, মঙ্গলবার, ৯:০৯ অপরাহ্ন

আওয়ামীলীগের বুঝা উচিত মোমবাতি নিবার আগে এক বার দপাশ করে জলে উঠে।

মো রাজন সরকার
২২ আগস্ট ২০২৩, মঙ্গলবার, ৮:০১ অপরাহ্ন

বাড়াবাড়ির একটা সীমা থাকা উচিত, যেমন ছাত্র লীগ তেমন প্রক্টর।

জাহেদুল আনোয়ার
২২ আগস্ট ২০২৩, মঙ্গলবার, ৮:১৪ পূর্বাহ্ন

ছাত্রলীগ হামলা করেছে বলে পড়ে খতিয়ে দেখা হবে বিএনপি করলে সাথে সাথে একশান হতো।

আবদুল মালেক
২২ আগস্ট ২০২৩, মঙ্গলবার, ৮:১০ পূর্বাহ্ন

যে মার খেল তাকে তুলে দেওয়া হলো পুলিশের হাতে আর যারা মা দিল তারা নিরাপদে বহাল তবিয়তে আছে। প্রক্টর ভিক্টিমকে তুলে দিন পুলিশের হাতে মামলা আছে কিনা খতিয়ে দেখতে আর যারা জালিম তাদের নামে মামলা দেওয়ার চিন্তা করেন নাই কি দারুণ বিচার ব্যবস্থা। এদের কাছ থেকে শিক্ষার্থীরা কি শিক্ষা নিবে?

ইসমাইল
২২ আগস্ট ২০২৩, মঙ্গলবার, ৭:৫৩ পূর্বাহ্ন

যারা মেরেছে তাদের অপরাধ নয়, মার খেয়েছে কেন এটা তার অপরাধ? কোন দেশে বাস করি ! উচ্চ শিক্ষার অপমান

Rafiq
২২ আগস্ট ২০২৩, মঙ্গলবার, ৭:৩২ পূর্বাহ্ন

গুন্ডাতন্ত্রের লিডার প্রক্টর।

আজাদ আবদুল্যাহ শহিদ
২২ আগস্ট ২০২৩, মঙ্গলবার, ৬:২৮ পূর্বাহ্ন

শিক্ষাঙ্গন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

শিক্ষাঙ্গন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2023
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status