শিক্ষাঙ্গন
২৮তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন অনুষ্ঠানে অধ্যাপক সায়েদুর রহমান- গবেষণা হবে জনকল্যাণ ও উদ্ভাবনমূলক
স্টাফ রিপোর্টার
(১ সপ্তাহ আগে) ৩০ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ৫:৫৭ অপরাহ্ন

র্যালি, আলোচনা সভা, গবেষণা মঞ্জুরি প্রদান ও রোগীদের উন্নতমানের খাবার পরিবেশনের মাধ্যমে বুধবার ২৮তম বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমইউ) দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল জাতীয় পতাকা, বেলুন ও পায়রা উড়ানো, বর্ণাঢ্য র্যালি, গবেষণা মঞ্জুরি প্রদান, পূবালী ব্যাংকের সৌজন্যে প্রাপ্ত ২টি নতুন স্টাফ বাস উদ্বোধন, আলোচনা সভা, প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনী বা পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন, সাধারণ রোগী ও কেবিন ব্লকে চিকিৎসাধীন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহতদের মধ্যে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দেশ, জাতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতি কামনায় দোয়া মোনাজাত।
২৮তম বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল থিম ছিল ইনোভেট-এডুকেট-এলিভেট ডিম্রস টু দ্যা রিয়েলিটি (Innovate-Educate-Elevate Dreams to the Reality)|
২৮তম বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ২০২৫-এর বিশেষত্ব হলো এ বছর এই দিবস উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, রেসিডেন্ট শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, নার্স, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট ও কর্মচারীবৃন্দ তাদের জন্য আপ্যায়ন বাবদ বরাদ্দকৃত অর্থ সাধারণ রোগী ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের জন্য উৎসর্গ করেছেন। এই অর্থ দিয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত রোগী যারা বিএমইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং সাধারণ রোগীদের জন্য ২৮তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়।
দিবস উপলক্ষ্যে সকালে বি-ব্লকের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন ও পায়রা উড়ানোর পর বর্ণাঢ্য র্যালির শুভ উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম। র্যালিটি বি ব্লক থেকে বের হয়ে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল হয়ে সি ব্লকের সামনে এসে শেষ হয়। এরপর শহীদ ডা. মিল্টন হলে গবেষণা মঞ্জুরি প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রার ডা.একেএম কবির আহমেদ রিয়াজ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ভিসি অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম, প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ, প্রো-ভিসি (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। ৫৬ জন শিক্ষক চিকিৎসকের মাঝে গবেষণা অনুদান প্রদান করা হয়।
এরপর বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়: প্রত্যাশা বনাম অগ্রগতি বিষয়ক এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন ভিসি অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম। এতে বিএমইউর রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় প্রো-ভিসিগণ, কোষাধ্যক্ষ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেন, ২৮তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের থিম ইনোভেট-এডুকেট-এলিভেট ডিম্রস টু দ্যা রিয়েলিটি অত্যন্ত সময় উপযোগী হয়েছে। ইনোভেট শব্দটি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। গবেষণার জন্য শুধু গবেষণা নয়, গবেষণা হবে জনকল্যাণ ও উদ্ভাবনমূলক। নিত্যনতুন জ্ঞানের সৃষ্টি, ওষুধ আবিষ্কার, ভ্যাকসিন আবিষ্কারে অবদান রাখতে হবে। উচ্চতর চিকিৎসা শিক্ষাসহ স্বাস্থ্যখাতে সঠিক নীতি নির্ধারণে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিতে বিএমইউকে মূল ভূমিকা রাখতে হবে, যা কেবল গবেষণার মাধ্যমেই সম্ভব। বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বাস্থ্যখাতে দক্ষ ও বিশেষজ্ঞ জনবল তৈরিতে নেতৃত্ব দিতে হবে।
ভিসি অধ্যাপকা ডা. মো. শাহিনুল আলম বলেন, বিপ্লবোত্তর চেতনাকে ধারণ করে বাংলাদেশের মানুষ ও রোগীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়কে উচ্চতর চিকিৎসা শিক্ষা, মানসম্মত চিকিৎসাসেবা ও উদ্ভাবনমূলক গবেষণায় অন্যান্য উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করা হবে। সময়ে চাহিদা অনুযায়ী টেকনোলজি ও নার্সিং সেবার উন্নয়নেও যথাযথ উদ্যোগ নেয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ নলেজ জেনারেট করা। সেই লক্ষ্য পূরণে গবেষণাকে গুরুত্ব দিতে হবে। তবে গবেষণা হবে সহজ ও মানুষের কল্যাণধর্মী। গবেষণা হলো সত্যের সাক্ষ্য। গবেষণার মাধ্যমেই এই বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নেয়া সম্ভব।
এসব কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অধ্যাপক ডা. মো. রুহুল আমিন, অধ্যাপক ডা. মো. শামীম আহমেদ, অধ্যাপক ডা. মো. আতিয়ার রহমান, অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শফি উদ্দিন, অধ্যাপক ডা. সাইফ উল্লাহ্ মুন্সী, অধ্যাপক ডা. মো. মনির হোসেন খান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম, প্রক্টর ডা. শেখ ফরহাদ, অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুস শাকুর, অধ্যাপক ডা. মওদুদুল হক, অধ্যাপক ডা. মো. সাইফুল ইসলাম, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু নোমান মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দীন, পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) ডা. এরফানুল হক সিদ্দিকী, চিফ এস্টেট অফিসার ডা. মো. এহতেশামুল হক, অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার-১ ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন টিটো, অতিরিক্ত পরিচালক (সুপার স্পেশালাইজড) ডা. মো. শাহিদুল হাসান বাবুল, অতিরিক্ত পরিচালক (অডিট) খন্দকার শফিকুল হাসান, অতিরিক্ত পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) নাছির উদ্দিন ভুঁঞা, অতিরিক্ত পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. হাসনাত আহসান সুমন, শিক্ষক ও চিকিৎসক সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. রুহুল কুদ্দুস বিপ্লব, সহযোগী অধ্যাপক ডা. দীনে মুজাহিদ ফারুক ওসমানী, সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. আদনান হাসান মাসুদ, সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. আশরাফুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক ডা. আ স ম নওরোজ, সহকারী অধ্যাপক ডা. ফারাহ নূর, ডা. শাহরিয়ার শামস, ডা. আকবর হোসাইন, কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন, ইয়াহিয়া খান, মো. মারুফ হোসেন, মো. লুৎফর রহমান, মো. হুমায়ুন কবির, মো. মোশারফ হোসেন, মাহমুদুল হাসান, শামীম আহম্মদ প্রমুখসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানবৃন্দ, অফিস প্রধানগণ, চিকিৎসক, রেসিডেন্ট শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।