নির্বাচিত কলাম
চলতি পথে
রাজনীতি: কার বিকল্প কি?
শুভ কিবরিয়া
১৭ আগস্ট ২০২৩, বৃহস্পতিবার
বাংলাদেশের জন্য আমেরিকা আলাদা ভিসা নীতি বানিয়েছে। দুর্নীতি দমনে স্যাংশনকে অস্ত্র ভাবছে। আরও বহুবিধ আন্তর্জাতিক রীতি-নীতি-কলাকৌশলকে হাতিয়ার করছে। আওয়ামী লীগ দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন চায়। কেননা, তার বিকল্প নেই। বিএনপি নির্দলীয় সরকারের অধীন ছাড়া নির্বাচনে যাবে না। কেননা, তার বিকল্প নেই। আমেরিকা বাংলাদেশের নির্বাচন সুষ্ঠু করতে মরিয়া। কেননা, ভূরাজনৈতিক আধিপত্যের প্রশ্নে তারও বিকল্প নেই। এই বহুমাত্রিক লড়াইয়ে নিজ নিজ দাবির স্বপক্ষ ছাড়া কারও কোনো বিকল্প না থাকলে, সংকট সমাধানের উপায় কি? উদার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার নিশ্চয়তাই একমাত্র বিকল্প ব্যবস্থা।
গণতন্ত্র না ফিরলে, সবাই বিকল্পহীন পথে হাঁটলে বড় বিকল্প হতে পারে রাষ্ট্রের, জনগণের জন্য ‘বড় বিপদ।’ আমরা কি সেই বিপদের দিকেই যাচ্ছি, তাহলে...বিজ্ঞাপন
বিদেশি কূটনীতিকরা বিশেষত আমেরিকান ও ইউরোপিয়ান কূটনীতিকদের আসা-যাওয়া বাড়ছেই। সরকার ও সরকারি দল মুখে যাই বলুক, তাদেরও বসতে হচ্ছে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস্-এর সঙ্গে, তার বাসভবনে, নানাজনের সঙ্গে মিটিং করতে। প্রধানমন্ত্রী খুব সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, বিএনপি’র সঙ্গে আন্তর্জাতিক কোনো শক্তি নেই। কেননা, বিএনপি লুটেরা দল। বিএনপি’র সঙ্গে কোনো আন্তর্জাতিক শক্তি থাকতে পারে না। প্রধানমন্ত্রীর কথা সত্যি হলে তো, বিএনপিকে নিয়ে তাদের কোনো টেনশন থাকার কথা নয়!
আবার অন্যদিকে সরকারি দল কৃষিমন্ত্রীর নেতৃত্বে, তথ্যমন্ত্রীর সহযোগে আওয়ামী লীগের ক’জন এমপি সম্প্রতি ভারত ঘুরে এসেছেন। সেখানে তারা ভারতের ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে মিটিং করে এসেছেন। আওয়ামী লীগ এমপিদের ভারত সফর এদেশে আসা পশ্চিমা কূটনীতিকদের মতো বিদেশিদের কাছে ধরনা কিনা সেই প্রশ্ন অবশ্য উঠতে পারে!
এটা এখন দিবালোকের মতো পরিষ্কার, ২০১৪ সালের বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচনে ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিংয়ের যে সক্রিয়তা ছিল, তৎপরতা ছিল- এবার সেটা দেখাচ্ছে আমেরিকান রাষ্ট্রদূত পিটার হাস্ গং। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এখনো সেই মাত্রায় অবশ্য তৎপর নয়, থাকলেও সেটা প্রকাশ্য নয়, কূটনৈতিক ভাষার মারপ্যাঁচেই তা ঘুরপাক খাচ্ছে।
এখন দেখা দরকার আমাদের রাজনৈতিক পক্ষগুলো কী করছে, কেন করছে, তাদের বিকল্পই বা কি আছে?
১. সরকার পরিষ্কার করে বলেছে, তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার মানবে না। তারা দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন করবে। সংবিধানের বাইরে যাবে না। অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই নির্বাচন করবে। ইতিমধ্যে সরকারের তরফে প্রস্তুতি প্রায় শেষ। স্কুল-কলেজের পরীক্ষার সময় এগিয়ে আনা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন তার প্রস্তুতি সারছে। বেসামরিক প্রশাসনে ডিসি-এসপি বদলে সরকার তার অধিকতর পছন্দের লোকদের বসিয়েছে। দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়নের জন্য সরকার জরিপ সম্পন্ন করেছে। অর্থাৎ সরকার রেডি, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য। সরকার মুখে বলছে, তারা ভালো নির্বাচন করবে। এমন কি বিদেশিদেরও তারা সেই কথা বলছে জোরের সঙ্গেই।
২. বিএনপি’র এক কথা তারা শেখ হাসিনার অধীনে দলীয় সরকারের আওতায় নির্বাচনে যাবে না। তাদের একদফা, ‘শেখ হাসিনার পতন’। ২০১৪, ২০১৮ সালের নির্বাচনের অভিজ্ঞতার পর বিএনপি’র এই দাবি ছাড়া আর বিকল্প কি থাকতে পারে? গত ১৫ বছরে বিএনপি যে রাজনৈতিক নিপীড়ন ও বৈরিতার মধ্যদিয়ে যাচ্ছে, তাদের যে বিস্তর কষ্টকর অভিজ্ঞতা হচ্ছে, তাতে তাদের পক্ষে শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন করে ফলাফল নিজেদের পক্ষে আনার কোনো সুযোগ তারা দেখতে পাচ্ছে না। ফলে তাদেরও বিকল্প নেই। তারাও একদফাতেই মুক্তি খুঁজছে।
৩. জামায়াতে ইসলামী যে অভিজ্ঞতার মধ্যদিয়ে চলছে তাতে তারা বিএনপি’র সঙ্গে দূরত্ব আর সরকারের সঙ্গে লাভ-হেট সম্পর্ক রেখে দিন পার করছে। তারা আছে সুদিনের সুযোগের অপেক্ষায়।
৪. জাতীয় পার্টির ভেতরে দুই ধারা। একটি সরকারের প্রতি নমনীয়। অন্যটি সরকারের বিপক্ষে সক্রিয়। দুই ধারাই সরকারের অভ্যন্তরীণ নানা প্রাতিষ্ঠানিক চাপে নমনীয়। এরশাদবিহীন জাতীয় পার্টির সামনে পরিস্থিতির অবস্থা দেখে সুযোগ নেয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। পরিস্থিতি যেদিকে গড়াবে জাতীয় পার্টি তার অস্তিত্ব রক্ষার জন্য সেদিকেই হেলে পড়বে।
৫. রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, দিলীপ বড়ুয়ার মতো বামপন্থি নেতারা সরকারের যেসব ইহজাগতিক সুবিধা নিয়েছেন, নিচ্ছেন তাতে সরকারের পক্ষাবলম্বন ছাড়া তাদের কোনো উপায় নেই। তাছাড়া তাদের কোনো রাজনৈতিক গ্রোথ নেই। আওয়ামী লীগের লেজের সঙ্গে জুড়ে থাকাই এখন সবচাইতে সুশ্রী উপায়।
৬. জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ বাদে অন্যান্য ইসলামপন্থি দলগুলোর রাজনৈতিক গতিপথ ভালোভাবে নিরীক্ষা করলে একটা গতিরেখা খুব সুস্পষ্ট, এদের কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক এজেন্ডা নেই। এদের গ্রোথ বা কর্মধারা রাষ্ট্রীয় অভ্যন্তরীণ নানাবিধ প্রতিষ্ঠান দ্বারা খুবই নিয়ন্ত্রিত।
৭. অন্যান্য রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠীর একটা বড় অংশ টিকে থাকার ন্যূনতম কর্মসূচিতে বিরাজমান। এদের একটা সচকিত অংশ যেকোনো মূল্যে সংসদে যেতে চায়। ফলে তারা আছে চান্সের খোঁজে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে আওয়ামী লীগ যা করছে, তার বিকল্প কি?
আসলে আওয়ামী লীগের সামনে আর কোনো বিকল্প নেই। তাকে যেকোনো মূল্যে আবার ক্ষমতায় আসতেই হবে। নইলে দল ও দলের একটা বড় অংশকে বৈরী দিনের মুখে পড়তে হতে পারে। সে বৈরী দিন কতোটা প্রলম্বিত হবে, কি ঘরানার হবে, সেটা আঁচ করা খুবই মুশকিল। আওয়ামী লীগ একাধারে ১৫ বছর ধরে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় দোর্দণ্ড প্রতাপে টিকে আছে। ক্ষমতায় থাকলে একটা সরকার বা রাজনৈতিক দলের যে সব দোষ জনসমক্ষে বড় হয়ে ওঠে তার কোনোটা থেকেই আওয়ামী লীগ মুক্ত নয়। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনে আওয়ামী লীগ যে পদ্ধতি অবলম্বন করেছে, তাতে সরকারি ক্ষমতা হাতছাড়া হলে সেইরকম বিপদ তাদেরও পিছু তাড়া করতে পারে। ক্ষমতায় থাকলে দলের একটা অংশ ধনে-সম্পদে পরিপুষ্ট হয়। একমাত্র রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাই সেই সম্পদের সুরক্ষা দিতে পারে। ফলে, ক্ষমতায় আবার যাওয়াটা আওয়ামী লীগের জন্য জরুরি।

সরকার যেসব উন্নয়ন কাজ করেছে, তার ধারাবাহিকতা টেকাতে, বিস্তৃতি ঘটাতে হলেও আবার ক্ষমতার রশি নিজেদের হাতে থাকা দরকার। সরকারের রাজনৈতিক আদর্শ টেকাতে যেসব কর্মসূচিকে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রের অংশ করে সগৌরবে সচল রেখেছে, একমাত্র সরকারি ক্ষমতা হাতে থাকলেই সেটা টিকবে। ফলে, আবার ক্ষমতায় যাওয়া ছাড়া আওয়ামী লীগের সামনে কোনো পথ খোলা নেই।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, ক্ষমতায় যাবে কীভাবে আওয়ামী লীগ?
২০১৪, ২০১৮ ঘরানার ভোট না হলে আবার ক্ষমতায় যাবার নিশ্চয়তা কি আছে? একটা সুষ্ঠু, অবাধ, সকলের অংশগ্রহণে, সবার কাছে ন্যূনতম মানদণ্ডে গৃহীত ভোট করে কি আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় যেতে পারবে? প্রতিটি সংসদীয় আসনে দলের মধ্যে যে বিভেদণ্ডবিবাদ এতদিনে পুঞ্জীভূত হয়ে জমাট বেঁধেছে, তা কি একটা ফ্রি ফেয়ার, জনভোটের সামনে দাঁড়াতে পারবে? দুর্নীতি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, দল-সরকারের জনবিমুখ আচরণ-এসবের বিরুদ্ধে জনপ্রতিক্রিয়াকে উতরে কি ভালো ভোটে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে পারবে?
সম্ভবত এসব নিয়ে দল-সরকার-কর্মীবাহিনী কোথাও সুনিশ্চিত আত্মবিশ্বাস নেই। ফলে, দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন করে যেকোনোভাবেই তাদের জিতে আবার ক্ষমতায় ফিরে আসতে হবে। এর কোনো দৃশ্যমান বিকল্প নেই। কোনো বড় চাপের কাছে নতি স্বীকার না করলে, আওয়ামী লীগ নিজেদের স্বাতন্ত্র্য ও অস্তিত্ব রক্ষার জন্যই, দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন করে আবার ক্ষমতায় আসতে চাইবে। এ ছাড়া তার কোনো পথও নেই। তাতে যাই ঘটুক না কেন?
বিএনপি’র বিকল্প কি?
দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া মানেই বিএনপি’র আত্মাহুতি দেয়া। দলীয় আনুগত্য পালন করা সামরিক-বেসামরিক প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন কীভাবে ভোট করে, বিএনপি, বহুবছর ধরে তা দেখছে। ১৫ বছর ধরে মামলা-হামলা-জেল-দণ্ড-শাস্তি-গুম-খুনের মধ্যে থাকা বিএনপি’র জন্য একটা সুষ্ঠু ভোট ছাড়া মুক্তি নেই। তত্ত্বাবধায়ক ঘরানার নির্দলীয় সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাওয়ার প্রশ্ন তাই তাদের জন্য অবান্তর। সুতরাং শেখ হাসিনার অধীনে উকিল আবদুস সাত্তার মডেলে শেষাবধি দলের একটা অংশ নির্বাচনে যদি যায়ও, মূল দলের বড় অংশ তাতে যোগ দেবে না। মনে রাখতে হবে, গত ১৫ বছরের রাজনৈতিক নির্মম অভিজ্ঞতা বিএনপি’র মাঠপ্রান্তের কর্মীকেও উদারনৈতিকতার বদলে অধিকতর রক্ষণশীল করে তুলেছে। এই অধিকতর রক্ষণশীল, র্যাডিক্যাল বিএনপি অনেক বেশি অর্থডক্স, অনেক বেশি চেতনাবাদী। কাজেই তার পক্ষে দলীয় সরকারের অধীনে নিশ্চিত পরাজয়ের সম্ভাবনা নিয়ে নির্বাচনে যাওয়া কোনোমতেই সম্ভবপর হবে বলে মনে হয় না।
তাহলে উপায় কি? আমেরিকানরা সেটাই জানতে চেয়েছে বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির কাছে। তারা বলেছে- সমঝোতার কোনো পথ আছে কিনা? বোঝাই যাচ্ছে আমেরিকার নেতৃত্বে পশ্চিমা দুনিয়াও বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে মরিয়া। একবার ভারতের হাতে বাংলাদেশের নির্বাচন ছেড়ে যে অবস্থা আমেরিকান গং দেখেছে, এবার তাদেরও আর বিকল্প নেই। দুনিয়ার বড় অংশের নেতৃত্ব দেয়া আমেরিকা-ইউরোপ, বাংলাদেশের রাজনীতি-সরকার-অর্থনীতি নিয়ে আর রাশিয়া, চীন, ভারতের হাতের মোয়া হতে রাজি নয়। আপাতত তাদের অতিতৎপরতা সেটাই বলছে। বাংলাদেশের জন্য আমেরিকা আলাদা ভিসা নীতি বানিয়েছে। দুর্নীতি দমনে স্যাংশনকে অস্ত্র ভাবছে। আরও বহুবিধ আন্তর্জাতিক রীতি-নীতি-কলাকৌশলকে হাতিয়ার করছে।
আওয়ামী লীগ দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন চায়। কেননা, তার বিকল্প নেই।
বিএনপি নির্দলীয় সরকারের অধীন ছাড়া নির্বাচনে যাবে না। কেননা, তার বিকল্প নেই।
আমেরিকা বাংলাদেশের নির্বাচন সুষ্ঠু করতে মরিয়া। কেননা, ভূরাজনৈতিক আধিপত্যের প্রশ্নে তারও বিকল্প নেই।
এই বহুমাত্রিক লড়াইয়ে নিজ নিজ দাবির স্বপক্ষ ছাড়া কারও কোনো বিকল্প না থাকলে, সংকট সমাধানের উপায় কি?
উদার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার নিশ্চয়তাই একমাত্র বিকল্প ব্যবস্থা।
গণতন্ত্র না ফিরলে, সবাই বিকল্পহীন পথে হাঁটলে বড় বিকল্প হতে পারে রাষ্ট্রের, জনগণের জন্য ‘বড় বিপদ।’
আমরা কি সেই বিপদের দিকেই যাচ্ছি, তাহলে...।
লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক।
পাঠকের মতামত
তবে ২০১৪, ২০১৮ তে আওয়ামিলীগ যেভাবে বিনা বাদায় পার পেয়েছে এইবার আর সুযোগ নেই কারন ভিসা নিতি দূর্নীতি সেংশন।পক্ষান্তরে বোঝা যায় আমেরিকা ২০২১ সাল থেকে যে পদক্ষেপ গুলো নিতেছে সেগুলো আওয়ামিলীগের বিরুদ্ধেই নিতেছে, অবশ্যই আমেরিকা চায় সুষ্ঠু নির্বাচন হউক আর সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামিলীগ কখনোই ক্ষমতায় আসতে পারবে না,
আমার বন্ধুবর বরাবরই খুব গুছিয়ে কথা বলতে পছন্দ করে। কিন্তু এই কলামে কিছু ভুল ধরিয়ে দিতে চাই। ২০১৪ সালের ভারতের সুজাতা সিং আর ২০২৩ সালের আমেরিকার পিটার হাস এর মধ্যে আকাশ এবং পাতাল তফাৎ আছে। কারণ, ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল, আর ২০২৩ সালেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের প্রয়োজন ছিল মোটামুটি ভারসাম্য রক্ষা করে এইরকম বিরোধী দলের। সেই অভাব জাতীয় পারটী পুরন করে। কিন্তু এইবার পিটার হাস এর ক্ষমতা নেই আওয়ামী লীগের অধীনে বিএনপিকে নির্বাচন করাতে বাধ্য করা অথবা আওয়ামী লীগ কে বিএনপির চাওয়া অনুযায়ী তত্তাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে বাধ্য করা। আমেরিকা কখনো এই কাজটি করবে না। সংবিধান পরিবর্তন এর ঝুকি আওয়ামী লীগ নিবে না বা আমেরিকা কখনো আওয়ামী লীগের উপর চাপ দিবে না। সবচেয়ে বড় কথা হল এখনো অনেক খেলা বাকি। বিএনপি এখন মাঠে আছে। এর আগে যা হয়েছে, এবারও তাই হবে- বিএনপির দম যে অনেক কম।