ঢাকা, ৫ অক্টোবর ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শরীর ও মন

সিংগাইরে এফডব্লিওভি’র বিরুদ্ধে গর্ভবতী মায়ের কার্ড বাবদ উৎকোচ নেয়ার অভিযোগ

সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
১১ আগস্ট ২০২৩, শুক্রবার

 মানিকগঞ্জের সিংগাইরে বায়রা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ  কেন্দ্রের (বাইমাইল) পরিদর্শিকা (এফডব্লিওভি) কমলা রানী সরকারের বিরুদ্ধে গর্ভবতী মায়েদের কাছ থেকে কার্ড বাবদ উৎকোচ গ্রহণের লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার বায়রা ইউনিয়নের কালীনগর গ্রামের সাইফুল ইসলামের স্ত্রী ভুক্তভোগী লিমা (২২) বাদী হয়ে সিংগাইর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বরাবর এ অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে প্রকাশ, ভুক্তভোগী ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা লিমা আক্তার গত সোমবার কার্ড করতে বায়রা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে যান। সেখানে কর্তব্যরত পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা কমলা রানী সরকার গর্ভবতী মায়ের কার্ড সরবরাহ বাবদ নিয়ম বহির্ভূতভাবে ২০০ টাকা দাবি করেন। লিমা টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে প্রতিবাদ করেন এবং স্থানীয় সংবাদকর্মীদের অবগত করতে চাইলে কমলা রানী ক্ষিপ্ত হয়ে অসদাচরণ করেন। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা ও একাধিকবার অনুরোধ করেও কার্ড মেলেনি তার। উপায় না পেয়ে অন্তঃসত্ত্বা লিমা বিষয়টি পাশর্^বর্তী স্বাস্থ্য বিভাগে দায়িত্বপ্রাপ্ত ফার্মাসিস্ট কমল চন্দ্র সরকারকে অবহিত করেন। তিনিও পরিদর্শককে টাকা গ্রহণ না করে ফ্রি সেবা দিতে অনুরোধ করেন। কমলা রানী ফার্মাসিস্টের কথা উপেক্ষা করলে ভিকটিমকে বাধ্য হয়ে টাকা দিয়েই কার্ডটি সংগ্রহ করতে হয়। যার নম্বর ১৮২। গর্ভবতী মায়েদের কাছ  থেকে এমনিভাবে সরকারি ফ্রি সেবার বিপরীতে কার্ড বাবদ টাকা গ্রহণ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান ও সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।

বিজ্ঞাপন
প্রায় ১২ বছর ধরে একই স্টেশনে থাকা কমলা রানীর অসদাচরণ, অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতায় সেবা গ্রহীতারা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। ইতিপূর্বেও পরিদর্শক কমলা রানীর বিরুদ্ধে সরকারি বরাদ্দকৃত জন্মনিয়ন্ত্রণ উপকরণ গোপনে বিক্রি করে অর্থ আত্মসাতের বিষযটি এলাকাবাসী জ্ঞাত বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। 
অভিযুক্ত পরিবার কল্যাণ পরদর্শক কমলা রানী সরকার বলেন, গর্ভবতী মায়েরা কার্ড নিতে আমাকে খুশিতে সকলেই ২০০ টাকা করে দেন। এছাড়া ইতিপূর্বে জন্মনিয়ন্ত্রণ উপকরণ বিক্রির কথাও স্বীকার করেন তিনি। এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবিএম শাহিনুজ্জামান বলেন, অভিযোগ হাতে পেয়েছি। ইতিমধ্যেই তার বিরুদ্ধে চিঠি ইস্যুর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সরকারি সার্ভিসে কোনো টাকা পয়সা নেয়া ও অসদাচরণের সুযোগ নেই। এটা গর্হিত কাজ।

 

শরীর ও মন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2023
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status