ঢাকা, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শনিবার, ৮ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নির্বাচিত কলাম

আন্তর্জাতিক

সাবেক প্রেসিডেন্ট বিচারপতি, মন্ত্রী, অ্যাটর্নি জেনারেল কেন তারা নিষেধাজ্ঞা খেলেন!

মোহাম্মদ আবুল হোসেন
২৪ জুলাই ২০২৩, সোমবারmzamin

তাদের কেউ সাবেক প্রেসিডেন্ট। আপিলেট কোর্টের বিচারক। কেউ মন্ত্রী, অ্যাটর্নি জেনারেল, ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত। তাদের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও প্রতিষ্ঠানকে বাধাগ্রস্ত করার অভিযোগ আছে। আছে দুর্নীতির অভিযোগ। এসব কারণে যুক্তরাষ্ট্র গত ১৯শে জুলাই লাতিন আমেরিকার চার দেশের ৩৯ জন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। একনজরে এখানে দেখে নেবো এই নিষেধাজ্ঞা কেন খেয়েছেন তারা। 

এল সালভাদর: সেন্টার ফর ফেয়ারস অ্যান্ড কনভেনশনসের সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসে মিগুয়েল মেক্যাফে অ্যান্টনিও মেনেন্ডেজ আভেলার। এল সালভাদরে চ্যালাতেনাঙ্গোতে একটি সেতু নির্মাণের কাজ গুয়াতেমালার একজন ব্যবসায়ীকে পাইয়ে দিতে ৮৪ লাখ ডলারের মিনিস্ট্রি অব পাবলিক ওয়ার্কসের কাজ পাইয়ে দেন। বিনিময়ে মেনেন্ডেজ বেআইনিভাবে উপহার হিসেবে পান একটি ছোট বিমান। এর নাম ‘বিচক্রাফট কিং এয়ার ৯০’। 

রাষ্ট্রীয় ব্যাংক ব্যাঙ্কো হিপোটেকারিও’র সাবেক প্রেসিডেন্ট কার্লোস আলবার্তো ওর্টিজ।

বিজ্ঞাপন
৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার পাচারের সঙ্গে যুক্ত তিনি। এর বিনিময়ে ঘুষ হিসেবে পেয়েছেন ৭২০০০ ডলার। একই ব্যাংকের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কার্লোস এনরিক ক্রজ আরানা। তিনি যুক্ত ৯ কোটি ৪৫ লাখ ডলার পাচারের সঙ্গে। বিনিময়ে ঘুষ হিসেবে পেয়েছেন ৬৪,৫০০ ডলার। ব্যাঙ্কো হিপোটেকারিওর সাবেক কমপ্লায়েন্স অফিসার  জোলমান আলেকজান্ডার আয়ালা। ১৭ কোটি ৭০ লাখ ডলারের দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তিনি। ঘুষ হিসেবে পেয়েছেন ৭৮০০০ ডলার। এল সালভাদরের সাবেক প্রেসিডেন্ট কার্লোস মাউরিসেও ফিউনস কার্তেজেনা। প্রেসিডেন্ট থাকার সময়ে ঘুষ, অর্থ আত্মসাৎ এবং অর্থপাচারসহ বিভিন্ন দুর্নীতিতে যুক্ত তিনি। রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে তিনি লাখ লাখ ডলার আত্মসাৎ করেছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট সালভাদর সানচেজ সেরেন। ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকাকালে বিপুল পরিমাণ অর্থপাচারের সঙ্গে যুক্ত। এর বিনিময়ে সরকারি কোষাগার থেকে পেয়েছেন কমপক্ষে ১৩ লাখ ডলার। প্রেসিডেন্ট থাকাকালে সরকারি ১৮ কোটি ৩০ লাখ ডলারের স্কিম সরকারি অ্যাকাউন্ট থেকে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে নিয়েছেন। 

গুয়াতেমালা: দেশটির বর্তমান প্রসিকিউটর সিন্থিয়া এডেলমিরা মন্টেরোসো গোমেস। তিনি সজ্ঞাতে দেশটির গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অথবা প্রতিষ্ঠানকে অকারণে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেছেন। গুয়াতেমালার আইনে সাংবাদিকদেরকে মত প্রকাশের যে স্বাধীনতা, তার বিরুদ্ধে গিয়ে তিনি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল অপরাধের অভিযোগ গঠন করেছেন। 
গুয়াতেমালার জ্বালানি পাইকারি বাজার বিষয়ক প্রশাসনের সাবেক প্রেসিডেন্ট এডগার হামবারতো নাভারো ক্যাস্ট্রো। ঘুষ এবং উৎকোচের বিনিময়ে তিনি সরকারি সুবিধা অন্যদের দিয়েছেন বিপুল পরিমাণ দুর্নীতির মাধ্যমে। বর্তমানে একজন বিচারক ফ্রেডি রাউল ওরেলানা লেতোনা। অপ্রয়োজনে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তিনি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল চার্জ গঠন করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বা প্রতিষ্ঠানকে বাধাগ্রস্ত করেছেন। 

জেনড্রি রোকায়েল রিয়েস মাজারিয়েগোস সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। মারাত্মক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তিনিও। 
জোভিয়েল আসেভেদো আয়ালা। গুয়াতেমালান এডুকেশন ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের (এসটিইজি) বর্তমান প্রধান। প্রতিষ্ঠান থেকে এসটিইজির সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষের বিনিময়ে রাজনৈতিক সুবিধা দিয়েছেন। 

জিমি রডোলফো ব্রেমার রামিরেজ। বর্তমানে একজন বিচারক। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মত প্রকাশে স্বাধীনতার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তিনি ক্রিমিনাল অপরাধের অভিযোগ গঠন করেছেন। এর মধ্যদিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও প্রতিষ্ঠানকে বাধাগ্রস্ত করেছেন। 

লেস্থার ক্যাস্তেলানোস রোডাস। সাবেক একজন বিচারপতি এবং বর্তমানে গুয়াতেমালান র‌্যাপোর্টিউর এগেইস্ট টর্চার। তিনি ক্রিমিনাল বিষয়ক মামলাগুলো যেভাবে হ্যান্ডেলিং করেছিলেন তা নিয়ে প্রশাসনিক অভিযোগ ফাইল করার জন্য দুর্নীতিবিরোধী একজন প্রসিকিউটরের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বা প্রতিষ্ঠানকে বাধাগ্রস্ত করেছেন। 

মেলভিন কুইজিভিক্স ভেরা। ন্যাশনাল ইলেকট্রিফিকেশন ইনস্টিটিউটের বর্তমান প্রেসিডেন্ট। নিজের পদ ব্যবহার করে এবং বিশেষ বিশেষ কোম্পানিকে সরাসরি সরকারি ক্রয়ের চুক্তি পাইয়ে দিতে যথার্থহীন এবং বেআইনিভাবে কাজ পাইয়ে দেয়ার সঙ্গে যুক্ত। এর মধ্যদিয়ে তিনি নিজের পদ ব্যবহার করেছেন। 
ওমর রিকার্ডো ব্যারিওস ওসোরিও। ন্যাশনাল পোর্ট কমিশনের পরিচালনা পরিষদের বর্তমান প্রেসিডেন্ট। দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার বিষয়ে নিন্দা জানানোর জন্য দুর্নীতিবিরোধী প্রসিকিউটরকে ভীতি প্রদর্শন ও হয়রানির মাধ্যমে তিনি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও প্রতিষ্ঠানকে খর্ব করেছেন। 
ওয়াল্টার রামিওরো মাজারিয়েগোস বাইওলিস। সান কার্লোস ইউনিভার্সিটির রেক্টর। ২০২২ সালের জুলাই মাসে সিলেকশন প্রক্রিয়ায় প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত। এ সময়ে তিনি সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রেক্টরের পদ পেতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বা প্রতিষ্ঠানকে বাধাগ্রস্ত করেছেন। 

হন্ডুরাস: অ্যালেক্স আলবার্তো মোরায়েস গিরোন। রাষ্ট্র মালিকানাধীন স্ট্র্যাটেজিক ইনভেস্টমেন্ট অব হন্ডুরাসের সাবেক প্রশাসনিক ম্যানেজার। করোনা মহামারির সময় বিপুল পরিমাণ সরকারি অর্থের অপব্যবহারের মাধ্যমে বিরাট রকম দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। এর মধ্যে মেডিকেল স্টাফদের ব্যবহারের জন্য ১৬ লাখ ডলারের বিনিময়ে ফেসমাস্ক কেনার ক্ষেত্রে জালিয়াতি করেছেন। এ ছাড়া আছে আরও দুর্নীতির অভিযোগ। 

আলেক্সান্দার ওরেলানা। বর্তমানে তিনি এল প্রোগ্রেসো শহরের মেয়র এবং লিবারেল পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সেক্রেটারি জেনারেল। তার ব্যক্তিগত রাজনৈতিক মিত্রদেরকে মিউনিসিপ্যালিটির লাখ লাখ ডলারের চুক্তি দিয়ে উল্লেখযোগ্য দুর্নীতি করেছেন।

এডনা ইয়োলানি বেট্রেজ ক্রুজ। সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বিরাট অঙ্কের দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। সরকারি কাজের চুক্তি অন্যায়ভাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও বেসরকারি খাতের ব্যবসায়ীদের দিয়ে তিনি সরকারি ৩ লাখ ডলারের বেশি অর্থ প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত।  

হন্ডুরাস ন্যাশনাল ইলেকট্রিক এনার্জি কোম্পানির (ইএনইই) সাবেক জেনারেল ম্যানেজার জেসাস আরতুরো মেজিয়া আরিতা। বিপুল পরিমাণ অর্থ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সেবাখাতে ঘুষের বিনিময়ে প্রতিযোগিতা ছাড়াই তিনি কাজ দিয়েছেন।  

মারসেলো অ্যান্টোনিও ছিমিরি ক্যাস্ট্রো। হন্ডুরাস টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানির সাবেক পরিচালক। বড় রকম দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। ঘুষের বিনিময়ে টেলিযোগাযোগ খাতের বিভিন্ন কাজ দিয়েছেন। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ভীতি প্রদর্শন করে নিজের দুর্নীতির তদন্তে বাধা সৃষ্টি করেছেন। 

মিগুয়েল রড্রিগো পাস্তর মেজিয়া। বর্তমানে অকার্যকর সেক্রেটারিয়েট অব পাবলিক ওয়ার্কস, ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড হাউজিংয়ের সাবেক পরিচালক। তার বিরুদ্ধেও আছে বিরাট দুর্নীতির অভিযোগ। মাদক পাচারের সংগঠন লোস ক্যাচিরোর পক্ষে অর্থ পাচার করেছেন। ক্যাচিরো নিয়ন্ত্রিত নির্মাণ প্রতিষ্ঠানকে সরকারি চুক্তি পাইয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে তিনি ২৭ লাখ ৬০ হাজার ডলার ঘুষ নিয়েছেন। 

রবার্তো অ্যান্টোনিও ওরডোনেজ উলফোভিস। দেশটির অবকাঠামো ও সরকারি সেবাখাত বিষয়ক সাবেক একজন মন্ত্রী। এ ছাড়া বিদ্যুৎ বিষয়ক সাবেক মন্ত্রী। প্রেসিডেন্ট হুয়ান ওরল্যান্ডো হার্নান্ডেজের সাবেক প্রেসিডেন্সিয়াল উপদেষ্টা। রাষ্ট্রীয় তহবিলের অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে যুক্ত তিনি। 

স্যামুয়েল গারসিয়া সালগাডো। লিবারেল পার্টি থেকে হন্ডুরাস ন্যাশনাল কংগ্রেসের বর্তমান সদস্য। ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত সুপ্রিম কোর্ট অব জাস্টিসের নির্বাচনকে নিজের ব্যক্তিগত খাতে ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অথবা প্রতিষ্ঠানকে বাধাগ্রস্ত করেছেন। 

ভিক্টর ইলিয়াস বেনডেক রমিরেজ। তিনি বেসরকারি একজন ব্যবসায়ী এবং সেন্ট্রাল আমেরিকান পার্লামেন্টের সাবেক একজন সদস্য। বিপুল পরিমাণ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। ব্যাংক, রিয়েল এস্টেট এবং অন্যান্য খাতে ধারাবাহিক জালিয়াতির মাধ্যমে এসব দুর্নীতি করেছেন। ব্যক্তিগত সুবিধা অর্জনে সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যবহার করেছেন। 

নিকারাগুয়া: ওয়েন্ডি ক্যারোলাইনা মোরালেস উরবিনা। বর্তমানে দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল। ভিন্নমতাবলম্বীদের দমিয়ে রাখতে তিনি অ্যাটর্নি জেনারেলের পদ ব্যবহার করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অথবা প্রতিষ্ঠানকে বাধাগ্রস্ত করেছেন। আইনগত ভিত্তি ছাড়াই তিনি সরকারের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছেন। মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে দমিয়ে রাখতে তিনি আইন নিজের মতো করে ব্যবহার করেছেন এনজিও বিষয়ক সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে। তাদের সম্পদ জব্দ করিয়েছেন। 
আরলিং প্যাট্রিসিয়া আলোনসো গোমেজ। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির বর্তমান ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও ওর্তেগা-মুরিলো শাসকগোষ্ঠীর সমালোচকদের নাগরিকত্ব কেড়ে নিয়ে প্রতিশোধ নিয়েছেন। এর মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও প্রতিষ্ঠানকে বাধাগ্রস্ত করেছেন। 
গ্লাডিস ডি লস অ্যাঙ্গেলেস বায়েজ। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির বর্তমান দ্বিতীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট। তার বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির বর্তমান ফার্স্ট সেক্রেটারির বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ। আলেজান্দ্রো মেজিয়া ফেরেতি এই প্রতিষ্ঠানের তৃতীয় সেক্রেটারি। তাদের সবার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ।

রোজা আর্জেন্টিনা সোলিস ডাভিলা। ক্রিমিনাল আপিল কোর্ট অব মানুগুয়ার বর্তমান আপিল কোর্টের বিচারক। সরকারের সমালোচকদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়া এবং ভিন্নমতকে দমিয়ে রাখতে নিজের পদ ব্যবহার করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও প্রতিষ্ঠানকে বাধাগ্রস্ত করেছেন। একই  কোর্টের বর্তমান বিচারক। তার বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ। 

ডেনিস মেমবেনো রিভাস। তিনি বর্তমানে সরকারের আর্থিক অপরাধ বিষয়ক ইউনিট ফিন্যান্সিয়াল এনালাইসিস ইউনিটের (ইউএএফ) পরিচালক। অন্যদের সহযোগিতার ভিত্তিতে ভিন্নমতকে দামিয়ে রাখতে তিনি নিজের পদকে ব্যবহার করেছেন। নির্বাসনে থাকা ৯৪ জন রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বী এবং ২২২ জন রাজনৈতিক বন্দির সম্পদ জব্দ করেছেন নিজের পদ ব্যবহার করে। এক্ষেত্রে কোনো আইনগত ভিত্তি ছিল না। একই কাজ করেছেন একই প্রতিষ্ঠানের বর্তমান সাব-ডিরেক্টর, ন্যাশনাল ডিরেক্টরেট অব প্রপার্টি রেজিস্ট্রার অফিসের (ডিএনআর) বর্তমান পরিচালক ভ্যালেরিয়া মারিতজা হ্যালেসলেভেনস সেনটেনো, ডিএনআরের বর্তমান উপ-পরিচালক এডুয়ার্দো কেলেস্টিনো অরতেগা রোয়া, ব্যাংকগুলো ও অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এসআইবিওআইএফ) বর্তমান ভাইস সুপারিনটেন্ডেন্ট মার্তা মায়েলা ডিয়াজ ওরটিজ, নিকারাগুয়ান সোশ্যাল সিকিউরিটি ইনস্টিটিউটের ভাইস ডিরেক্টর সাগ্রারিও ডি ফাতিমা বেনাভিডস লানুজা। তিনি সমন্বয়ের মাধ্যমে কোনো আইনগত ভিত্তি ছাড়াই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সম্পদ জব্দ এবং তাদেরকে ক্ষমতাচ্যুত করতে নিজের পদ ব্যবহার করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও প্রতিষ্ঠানকে বাধাগ্রস্ত করেছেন।  

পাঠকের মতামত

I really appreciate this type of visa ban by USA. Whoever brought up with this idea is a genius. Like after ban on RAB, the killing by RAB came to zero. I do not know if they had any success like that. West should also aim at the defense officials too.

SAIFUL SARKER
৩০ জুলাই ২০২৩, রবিবার, ৬:৪৪ অপরাহ্ন

কাজি সাহেবদের কছে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার কোন গুরুত্ব নেই। কিন্তুু কাজি সাহেব এই নিষেধাজ্ঞায় যে পড়েছে সেই বুঝে এর গুরুত্ব । আমেরিকা কখনও এক ঘরে হয়ে যাবে না। নির্বাচন ইস্যুতে আমরাই কম্বোডিয়া হয়ে যাই কিনা সেটাই ভাবার সময় এসেছে।

হাবিব মোল্লা
২৫ জুলাই ২০২৩, মঙ্গলবার, ৫:১৩ অপরাহ্ন

বাংলাদেশও একিই রকম নিষেধাজ্ঞা আসছে নিশ্চিত মনে হচ্ছে।

আব্দুল্লাহ আল মামুন
২৪ জুলাই ২০২৩, সোমবার, ৭:০৬ পূর্বাহ্ন

মৃত্যুর আগে হয়তো ভোট দিতে পারবে না,মৃত্যুর পর ঠিক হয়ে যাবে।

mizan
২৩ জুলাই ২০২৩, রবিবার, ১১:৫৮ অপরাহ্ন

দেশ বাদ দিয়ে শাসকের পক্ষে কাজ করলে সে দেশের জনগণের সমর্থন হারাতে হয় ফলে সে দেশে যুক্তরাষ্ট্রর বিনিয়োগ ঝুকিতে পড়ে। শাসকের পক্ষে কাজ করলে সেই শাসক একসময় ফেসিষ্টে পরিণত হয়, জনগণের উপর স্টিম রোলার চালাতে থাকে, গণতন্ত্র আর মানবাধিকারকে নির্বাসনে পাঠায়, গুম খুনের মত জঘণ্য অপরাধ অবলিলায় করতে থাকে, বাংলাদেশই তার উতকৃষ্ট প্রমাণ।

Tulip
২৩ জুলাই ২০২৩, রবিবার, ১১:৫০ অপরাহ্ন

আমেরিকা দেরীতে হলেও বুঝতে পেরেছে কোন শাসকের পক্ষে কাজ করলে সে দেশের জনগণের সমর্থন হারাতে হয় ফলে সে দেশে আমেরিকার বিনিয়োগ ঝুকিতে পড়ে। পাশাপাশি কোন দেশের জনগণের পক্ষে কাজ করলে শাসক যারাই আসুক সবার সাথে কাজ করা যায়, মানবাধিকার এবং গণতন্ত্র সমুন্নত থাকে। তাছাড়া কোন শাসকের পক্ষে কাজ করলে সেই শাসক একসময় ফেসিষ্টে পরিণত হয়, জনগণের উপর স্টিম রোলার চালাতে থাকে, গণতন্ত্র আর মানবাধিকারকে নির্বাসনে পাঠায়, গুম খুনের মত জঘণ্য অপরাধ অবলিলায় করতে থাকে, বাংলাদেশই তার উতকৃষ্ট প্রমাণ।

জামশেদ পাটোয়ারী
২৩ জুলাই ২০২৩, রবিবার, ১০:৪৭ অপরাহ্ন

সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র অন্তত এই পক্রিয়াতে মানুষের কল্যাণের দিকটাই দেখছেন যা প্রসংশার যোগ্য,কিন্তু kazi সাবরা চোরদের পক্ষ কেন নিলো সেটা আমি না বুজলেও জাতি আন্দাজ করতে পারছে বোধহয়।

Anwar pasha
২৩ জুলাই ২০২৩, রবিবার, ১০:২৪ অপরাহ্ন

কাজি সাহেব এক কাজ করেন এইসব চোর দুর্নীতিবাজদের আপনি ফুলের মালা দেয়ার ব্যবস্থা করেন। এইসব খারাপ লোকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে একজন বিবেকবান মানুষের ভালো লাগার কথা। যদি না লাগে তাহলে বুজতে হবে তাঁরা কোন গোত্রের।

Tulip
২৩ জুলাই ২০২৩, রবিবার, ১০:০৮ অপরাহ্ন

নিষেধাজ্ঞা দিতে দিতে একদিন আমেরিকা এক ঘরে হয়ে যাবে । আমেরিকার এই সব নিষেধাজ্ঞাকে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনার দরকার আছে কি ? আমি অন্তত মনে করি কোন প্রয়োজন ছিল না ।

Kazi
২৩ জুলাই ২০২৩, রবিবার, ৯:৩৭ অপরাহ্ন

নির্বাচিত কলাম থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

নির্বাচিত কলাম সর্বাধিক পঠিত

বেহুদা প্যাঁচাল/ অর্থমন্ত্রীর এত বুদ্ধি!

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2023
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status