নির্বাচিত কলাম
বেহুদা প্যাঁচাল
শান্তি সমাবেশ শিষ্টাচার এবং...
শামীমুল হক
১৪ জুলাই ২০২৩, শুক্রবার
আসা যাক- শিষ্ট শব্দের আভিধানিক অর্থ কি? এর অর্থ ভদ্র, সুশীল, নীতিবান, শিক্ষিত, মার্জিত, অর্থাৎ মানুষের সঙ্গে বিনয়ী ও ভদ্র আচরণ করা। ব্যাপক অর্থে সম্মানের আচরণ করার নামই শিষ্টাচার। এর বড় অভাব রাজনীতির অঙ্গনে। কিন্তু দেশের রাজনীতিতে শিষ্টাচারের সঙ্গে জাতীয় ঐক্য একান্ত জরুরি। আগে রাজনীতিকগণ একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন, শত্রু ছিলেন না। এখন রাজনীতিকদের অবস্থা দেখলে মনে হয়, তাদের জন্মই হয়েছে একে অপরের শত্রুতা করার জন্য। একে অপরকে ঘায়েল করার জন্য। অথচ রাজনীতির মূল উদ্দেশ্যই হলো দেশের জনগণের জন্য কাজ করা। সেটা কতোটুকু হচ্ছে? এ নিয়ে সেদিন আলোচনা হচ্ছিল। একজন বললেন, এই যে রাজনীতিকদের এত দোষারোপ করা হচ্ছে, দেশের রাজনীতিতে রাজনীতিক ক’জন আছে? সংসদে রাজনীতিক ক’জন আছে? রাজনীতির জায়গা তো দখল করে আছে ব্যবসায়ী, আমলা, গায়ক ও নায়ক
নব্বই দশকে রাজনীতির মাঠে একে অপরের প্রতি ছিল সম্মানবোধ।

ইতিহাস বলে, আলেকজান্ডার একবার ভারত আক্রমণ করেছিলেন। তার হাতে রাজা পুরু পরাজিত হয়ে বন্দি হিসেবে তার সামনে এসেছিলেন। আলেকজান্ডার তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তুমি আমার কাছ থেকে কী ধরনের আচরণ আশা করো? পুরুর সাদাসিধে জবাব ছিল, রাজার মতো। বলাবাহুল্য, বন্দি পুরুকে আলেকজান্ডার স্বাভাবিক অবস্থাতেই তার সামনে হাজির করেছিলেন, ডাণ্ডাবেড়ি বা কয়েদির পোশাক পরিয়ে নয়। এ থেকে আমরা কি শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি?
তাই বলে কি শিষ্টাচার সমাজ থেকে শেষ হয়ে গেছে? না। এখনো শিষ্টাচার আছে বলে সমাজ আছে। রাজনীতি একেবারে মুখ থুবড়ে পড়েনি। এখনো রাজনীতি থেকে শিষ্টাচার একেবারে বিলীন হয়ে যায়নি। তবে এটা ঠিক, একশ্রেণির রাজনীতিকের মধ্যে শিষ্টাচার, মানবিকতা, মানুষের প্রতি সম্মানবোধ একেবারে উবে গেছে। রাজনীতিকের ছত্রছায়ায় বা অঢেল বিত্ত-বৈভবের দম্ভে অনেকে অমানুষ হয়ে সমাজে দাপটের সঙ্গে ঘুরে বেড়ায়। এরাই সাংবাদিক নাদিমকে হত্যা করে নির্দ্বিধায়। ওরা রক্তপিপাসু। প্রতিপক্ষকে নাজেহাল করা ওদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।
আসা যাক- শিষ্ট শব্দের আভিধানিক অর্থ কি? এর অর্থ ভদ্র, সুশীল, নীতিবান, শিক্ষিত, মার্জিত, অর্থাৎ মানুষের সঙ্গে বিনয়ী ও ভদ্র আচরণ করা। ব্যাপক অর্থে সম্মানের আচরণ করার নামই শিষ্টাচার। এর বড় অভাব রাজনীতির অঙ্গনে। কিন্তু দেশের রাজনীতিতে শিষ্টাচারের সঙ্গে জাতীয় ঐক্য একান্ত জরুরি। আগে রাজনীতিকগণ একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন, শত্রু ছিলেন না। এখন রাজনীতিকদের অবস্থা দেখলে মনে হয়, তাদের জন্মই হয়েছে একে অপরের শত্রুতা করার জন্য। একে অপরকে ঘায়েল করার জন্য। অথচ রাজনীতির মূল উদ্দেশ্যই হলো দেশের জনগণের জন্য কাজ করা। সেটা কতোটুকু হচ্ছে? এ নিয়ে সেদিন আলোচনা হচ্ছিল। একজন বললেন, এই যে রাজনীতিকদের এত দোষারোপ করা হচ্ছে, দেশের রাজনীতিতে রাজনীতিক ক’জন আছে? সংসদে রাজনীতিক ক’জন আছে? রাজনীতির জায়গা তো দখল করে আছে ব্যবসায়ী, আমলা, গায়ক ও নায়ক। আসল রাজনীতিক ক’জন আছে? দেখা যায় সারাজীবন রাজনীতি করে এখন বয়স হয়েছে। তাকে ছুড়ে ফেলে দেয়া হচ্ছে রাজনীতি থেকে। সেখানে জায়গা করে নিচ্ছে নব্য পয়সাওয়ালারা। আর সকল জায়গায় ওই নব্য পয়সাওয়ালার দাপট। সারাজীবন রাজনীতি করা রাজনীতিক তা দেখে চোখের পানি ফেলেন নীরবে। আর ওই পয়সাওয়ালার পেছনে ঘুরেন। কি করবেন? রাজনীতি যে তার রক্তে মিশে গেছে। এভাবে দিনে দিনে আসল রাজনীতিকরা ব্যাকফুটে চলে যাচ্ছে। সে জায়গা দখল করছে অন্যরা। এভাবেই দূষিত হয়ে পড়ছে রাজনীতি।
এই যে এতকিছুর অবতারণা তার সবই বুধবারের দুটি জনসভাকে কেন্দ্র করে। একটি বিএনপি’র। অপরটি আওয়ামী লীগের। একই দিনে দুটি জনসভা রাজধানীবাসীকে যেমন দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে, তেমনি কার পক্ষে কতো মানুষ তাও প্রমাণিত হয়েছে। বিএনপি কর্মসূচি দিলেই বেশকিছু দিন ধরে আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশের ডাক দিচ্ছে। ওই দিন সমাবেশ করে কী শান্তি বয়ে আনছে তারা- দেশবাসী জানে না। কিন্তু এটা যে অপতৎপরতা সেটা দেশবাসী ভালো করেই বুঝতে পেরেছে। মনে রাখতে হবে, জনগণ এখন আর বোকা নয়। কান পাতলেই বাতাসে ঘুরে বেড়ায় জনগণের কথা।
পাঠকের মতামত
রাজনীতি এখন অর্থ কামানোর বড় ব্যবসায় পরিনত হয়েছে। সেজন্য লোভী ও সমাজের নিকৃষ্ট মানসিকতার লোকেরা এখন রাজনীতি করে। আর ভদ্র ও ভালো মানুষেরা রাজনীতি এড়িয়ে চলে। তাইতো এমন হিংসা, নোংরামী রাজনীতির অংশ হয়ে গেছে। এর থেকে পরিত্রানের একমাত্র উপায় হলো নেতাদেরকে অর্থনৈতীক কর্মকান্ড থেকে দূরে রাখতে হবে। তাঁরা শুধু আইন প্রনয়ন করবেন।
এইসব স্টান্টবাজী হাভাত্যা জাতীয় মন্তব্যকারিদের কথা অনুযায়ী যত দু:ক্ষ কস্ট, বেফনা, গ্রেনেড, বোমা, সপরিবারে হত্যা - এইসব হবে শুধু আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতেও জনসভা করতে পারবে না, আবার বিরোধী দলে থাকলেও জনসভা৷ মিছিল, মিটিং করতে পারবে না। এতো দিন আওয়ামী লীগ কে ইচ্ছামত মাইর দিয়ে, বঞ্চিত করে বিএনপির অভ্যাস খারাপ হয়ে গেছে। এখন আওয়ামী লীগের লাথি ঝাটা, গুতা খেয়ে বিএনপির একেবারে ছেরাবেরা অবস্থা। সামনের দিনগুলোতে লাথি, ঝাটা একটাও মাটিতে পড়বে বলে মনে হচ্ছে না।
শিষ্ঠাচার দেখে শিখার বিষয়। কাকে দেখে শিখবে? যারা সিনিয়র তাদের ব্যবহার-আচরন দেখে জুনিয়ররা শিখব। শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী বিএনপির মৃত নেতা জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়া সম্পর্কে যে ভাষা প্রয়োগ করে সমালোচনা ও ঙ্কমিথ্যাচার করেন, সেটা কি কোন শিক্ষিত- মার্জিত মানুষের ব্যবহার বলে ঢ়কি মনে হয়?মন্ত্রী হাসান মাহমুদ, আনিসুল হক গং যে ভাষায় কথা বলেন, তার মধ্যে রুচিবোধ, শিষ্ঠাচারের গনধ খুঁজে পাবেন? কর্মীরা শিষ্ঠাচার শিখবে তাদের কাছে?
শান্তি সমাবেশের নামে দেশবাসীকে আতংকের মধ্যে রাখা এটা কোন ধরনের শান্তি? মিথ্যা অহংকার মিথ্যা দম্ভোক্তি সব কিছুর একটা সীমা আছে।
সত্য মিথ্যার লড়াইের চূড়ান্ত পর্ব --------------------------------- আদম সন্তান হাবিল কাবিলের দ্বন্দ্ব থেকে সত্য মিথ্যার লড়াইয়ের সূচনা। মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মক্কা বিজয়ের মধ্য দিয়ে সত্য বা হকের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয় এবং মিথ্যা বা জাহেলিয়াতের চূড়ান্ত পরাজয় ঘটে। তথাপি মিথ্যা কিছুকাল পরে আবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে খুলাফায়ে রাশেদীনের তিরোধানের পরে। সত্য যুগে যুগে দেশে দেশে মিথ্যাকে প্রতিরোধ করতে থাকে। সত্য ও মিথ্যা বর্তমানে মুখোমুখি দ্বন্দ্বে লিপ্ত প্রথমতঃ বাংলাদেশে এবং তারপরে পুরো বিশ্বে। বিশ্বের সত্য ও মিথ্যার দ্বন্দ্বের চূড়ান্ত ফায়সালা আরেকটি বিশ্বযুদ্ধের মধ্য দিয়ে হবে নাকি আপোষে হবে তা নির্ভর করছে বিশ্বনেতাদের ভূমিকার ওপর। ইসলামি মতবাদ-ই সত্যের একমাত্র উৎস যা মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর পক্ষ থেকে নাজিল হয়েছে এবং তা মানবজাতিকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে আসে । মিথ্যা শয়তানের মতবাদ- সে মানবজাতিকে আলো থেকে অন্ধকারের পথে নিয়ে যায়। যারা মিথ্যাশ্রয়ী তারা মূলত: অন্ধকারের কীট। একসময় পাশ্চাত্যে মিথ্যাশ্রয়ীরা পরিকল্পিতভাবে ইসলামোফোবিয়া ছড়িয়ে দিয়েছে। ফলে মানবতার একমাত্র সমাধান সত্য মতবাদ 'ইসলাম'র কথা শুনলেই পাশ্চাত্যের লোকেরা আঁতকে ওঠাতো। দীর্ঘ বস্তুবাদী ও ভোগবাদী সংস্কৃতির যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে আইয়ামে জাহেলিয়াতের মতো মানবজাতির নীতিনৈতিকতা শূন্যের কোটায় নেমে পড়েছে। এভাবে চলতে থাকলে পৃথিবীর ইতিহাস থেকে মানব সভ্যতা মুছে যাবে। মানবজাতির সৃষ্টিকর্তা তো মানবতার ধ্বংস দেখে চুপচাপ থাকতে পারেননা। তাঁর সুক্ষ্ম পরিকল্পনায় সত্যাশ্রয়ীদের নিরন্তর প্রচেষ্টায় ধীরে ধীরে পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটে। বর্তমান সময়ে আমেরিকা-ইউরোপজুড়ে প্রতিদিন গাণিতিক হারে মানুষ ইসলাম গ্রহণ করছে। তাই ধরে নেয়া যায় আগামী বিশ্ব ইসলামের। আর মানবতার মুক্তির সনদ একমাত্র ইসলাম। বর্তমান বিশ্বের চীন রাশিয়া ও ইরান গনতন্ত্রহীন, কর্তৃত্ববাদী, স্বৈরাচারী সত্য বিরুদ্ধ রাষ্ট্র। তারা জনগণের বিরুদ্ধে একদলীয় শাসন চাপিয়ে দিয়েছে। এরা চিরন্তন সত্যের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। এরাই বাংলাদেশের গনতন্ত্রের শত্রু। বাংলাদেশের জনগণের গনতান্ত্রিক ভোটের অধিকার পনের বছর ধরে লুট করা হয়েছে। শাসকশ্রেণি জনগণের বিপক্ষে। জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করেছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। গুম-খুনের রাজত্ব কায়েম করেছে। মানবতার কবর রচনা করেছে। রিজার্ভের অর্থ লুটপাট করেছে। ব্যাংক লুট করে এবং বিদ্যুৎ খাতে ও আমাদানি রপ্তানির ব্যবসা খাতে গোষ্ঠীতন্ত্র (oligarch) কায়েম করে হাজার হাজার কোটি ডলার পাচার করে অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছে। যার ফলে রিজার্ভ এখন সাড়ে তেইশ বিলিয়নের নীচে। গোষ্ঠীতন্ত্র, লুটপাটতন্ত্র, একতরফা নির্বাচন, দিনের ভোট রাতে চুরি করা, একদলীয় শাসন, গনতন্ত্রের কবর দেয়া, কর্তৃত্ববাদী ও স্বৈরাচারী শাসন কায়েম করে মানবতার ধ্বংস সাধন করাই এদের উদ্দেশ্য। এরা চরম মিথ্যাশ্রয়ী।এরা অন্ধকারের কীট। এরা ইলিশের চেলাচামুণ্ডা। এরা মানবতার দুশমন। বাংলাদেশে প্রহসনের নির্বাচন করে তারা জনগণের ভোটের অধিকার ধ্বংস করে দিয়েছে। আক্ষেপের সুরে একজন নির্বাচন কমিশনার মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের নির্বাচন আইসিইউতে, গনতন্ত্র লাইফ সাপোর্টে। বিরাজনীতিকরণ করে একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসন পাকাপোক্ত করে কেয়ামত পর্যন্ত ক্ষমতা দখল করে রাখার কৌশলে তারা অন্ধ হয়ে পড়েছে। আমেরিকা ও ইউরোপ যখন বলছে বাংলাদেশের জনগণের গনতান্ত্রিক ভোটের অধিকার নিশ্চিত করে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা তখন রাশিয়া, চীন ও ইরান বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে শাসকচক্রের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। রাশিয়া, চীন ও ইরানে গণতন্ত্র নেই। ওইসব দেশে কার্যত একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসন কায়েম করেছে। এই তিন দেশ নিজস্ব স্বার্থের কারণে আওয়ামী লীগের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। অর্থনৈতিক লুটপাটের অর্থ যোগান দিয়ে চীন ও রাশিয়া মূলতঃ বাংলাদেশের জনগণের গনতান্ত্রিক অধিকারের বিরুদ্ধে এবং ইরানও এই দুই দেশের সাথে ব্যবসায়ীক স্বার্থে একাট্টা। তারা চায় বাংলাদেশে তাদের মতোই একদলীয় শাসন। ঠিক লেজকাটা শেয়ালের গল্পের মতো। রাশিয়া, চীন ও ইরান বর্তমান সরকারকে রক্ষার জন্য যেভাবে মাঠে নেমেছে তা ভবিষ্যতে তাদের জন্য বিপদজনক হয়ে ওঠবে যখন বাংলাদেশে রেজিম চেইঞ্জ হবে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা চায়- যা তাদের তৎপরতা থেকে বুঝা যায়- যা কার্যকর গণতন্ত্রই নিশ্চিত করবে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফেরানোই তাদের অগ্রাধিকার। বাংলাদেশের জনগণের এই গনতান্ত্রিক অগ্রাধিকারের বিরুদ্ধে যারা তারা সত্যের দুশমন, তারা মিথ্যাশ্রয়ী। ভারত বাংলাদেশে আমেরিকার গনতান্ত্রিক ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে পারছেনা। কারণ আমেরিকা ভারতের ওপর নাখোশ হলে চীনের এক ধাক্কা সামাল দেয়াও ভারতের জন্য কঠিন। কিন্তু তবুও ভারত তলে তলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় বহাল থাকুক তা চায়, যেমন চায় চীন, রাশিয়া ও ইরান। এক্ষেত্রে চীন, রাশিয়া, ইরান ও ভারতের স্বার্থ এক সুতোয় বাঁধা। আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে সত্যের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে এসব দেশ আগুন নিয়ে খেলছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ভোট চুরির একতরফা নির্বাচনই আজকের সংকটের একমাত্র কারণ। সরকারের লোকজনও মাঝে মধ্যে সেটা স্বীকার করেছে। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও সকল বিরোধী দল নির্দলীয় সরকার না হলে নির্বাচনে যাবেনা তা অনেক আগেই তারা স্পষ্ট করেছে। "পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ‘২০১৪ ও ২০১৮ মডেল হতে পারে না।’...১৪-দলীয় জোটের অন্যতম শরিক সাম্যবাদী দলের নেতা দিলীপ বড়ুয়া ডয়চে ভেলেকে বলছেন, গণতান্ত্রিক নির্বাচন যেমন হওয়ার কথা, ২০১৮ সালে তা হয়নি; কিন্তু তাঁরা জোটে আছেন শুধু সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান ঠেকাতে। জোটের আরেক নেতা ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন কয়েক বছর আগে সংসদেই বলেছেন, ভোটাররা ভোট দেওয়ার সুযোগ পাননি, কিন্তু তাঁরা নির্বাচিত হয়েছেন। জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হকও ২০১৪ সালে কীভাবে তাঁদের নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে এবং ২০১৮ সালে রাতেই ভোটের বাক্স ভরার কথা সংসদে বলেছেন।" ( কামাল আহমেদ, প্রথম আলো, ১৩ জুলাই ২০২৩) সাম্যবাদী দলের নেতা দিলীপ বড়ুয়া কমিউনিস্ট সম্প্রদায়ের লোক। ইসলামপন্থীদের তারা সাম্প্রদায়িক বলার কোন অধিকার নেই। আয়নায় আগে নিজের মুখ দেখা উচিত। সরকার ও তাদের জোটসঙ্গীদের এমন স্বীকৃতির পরও নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে সরকারি দলের অনীহা সত্যের সরাসরি বিরুদ্ধে। কিন্তু দেশের জনগণ সুষ্ঠু নির্বাচনে নিরপেক্ষ ভোটের মাধ্যমে স্বাধীনভাবে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে উন্মুখ হয়ে আছে। জনগণের ভোটের এই আকাঙ্খা রোধ করার ব্যর্থ চেষ্টা করে লাভ নেই। চীন, রাশিয়া ও ইরানের মতো সমমনা বিদেশি প্রভুদের মাঠে নামিয়ে কোন লাভ তো হবেইনা বরং হিতে বিপরীত হবে। অচিরেই সত্যের বিজয় পতাকা উড্ডীন হবে এবং মথ্যা ধূলিসাৎ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। মহাসত্যের প্রবক্তা মহান সর্বশক্তিমান আল্লাহ তা'য়ালা ইরশাদ করেন, "আর ঘোষণা করে দাও, “সত্য এসে গেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়ে গেছে, মিথ্যার তো বিলুপ্ত হবারই কথা।” সূরা বনী ইসরাঈল, আয়াত:৮১।
আওয়ামীলীগের নেতিবাচক রাজনীতির মাধ্যমে রাজনীতি শব্দটাকেও কলঙ্কিত করে ফেলেছে। আওয়ামীলীগ আর শুধরাবেনা।
আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী সমর্থক রা চায় চেয়ারে শুধু তারাই বসবে আর কাউকে বসতে দেয়া হবে না। গণতান্ত্রিক রাজনীতি এবং শাসন ব্যবস্থায় যে অন্য মতের লোকদের চেয়ারে বসার অধিকার, রাজতন্ত্র ছাড়া, সারা পৃথিবীতে স্বীকৃত তা এ দলে নেতা কর্মী সমর্থকরা স্বীকার করে না, প্রশাসনের নিন্মতম স্তর থেকে উচ্চতম স্তর শুধুই নয় পাড়া মহল্লার মসজিদ , স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজের, সামাজিক সব প্রতিষ্ঠানের কমিটি থেকে শুরু করে রাজধানী শহরের সব কয়টি চেয়ারই দখলে রেখেছে ভয় ভীতি সন্ত্রাস প্রদর্শন করে, চাঁদাবাজী করছে বিয়ে শাদী খানা মেহমানি সবত্রয়ই, ওয়াজ মাহফিলেও তাদের জন্য আলাদা চেয়ার রাখতেই হয়, এ চেয়ার তারা এমনি এমনি ছাড়বে কেন, ধাক্কা দিয়েই ছাড়াতে হবে, গরু ছাগলে যখন কৃষকের খেতের ফসল খায় নষ্ট করে তখন কি সেই খেতের আলে গিয়ে কোন কৃষক বলেন , "গরু মহাশয় ! আপনি দয়া করে আমার ফসল খাবেন না " , নাকি লাঠিপেটা দিয়ে খেত থেকে তাড়ায়, চেয়ার থেকে তাড়াতে হবেই নচেৎ খেতের বাকি ফসল খেয়ে বিরান ভুমি করে দেশের জমিন।
এ বি এন পির মতো কথা বলছেন