ঢাকা, ৫ অক্টোবর ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নির্বাচিত কলাম

সাম্প্রতিক

আবারো দামে অস্থিরতা: তেতো হয়ে যাচ্ছে চিনি

টুটুল রহমান
২ জুলাই ২০২৩, রবিবারmzamin

দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদন বাড়ানো ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। সরকারকে নিত্যপণ্য আমদানি ও উৎপাদনে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এতে কর্মসংস্থান বাড়বে এবং জিনিসপত্রের দামও নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে অনেকেই মনে করেন। নিত্যপণ্যের যে আমদানি নির্ভরতা কমাতে এখনই উদ্যোগ না নিলে সাধারণ মানুষের খেয়েপরে বেঁচে থাকাটা কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে। আন্তর্জাতিক বাজারের ‘জুজুর’ ভয় দেখিয়ে পণ্যের দাম বাড়ানোর পুরনো খেলা ও সিন্ডিকেট ভাঙতে সরকারকে কঠোর হতে হবে। ব্যবসায়ীদের হয়তো মানুষের কাছে কোনো জবাবদিহিতা নেই কিন্তু সরকারের আছে। সামনে নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রী কথায় কথায় মানুষের আস্থা অর্জনের কথা বলেন। কিন্তু এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে তিনি জনগণের আস্থার জায়গায় থাকতে পারবেন কি?

অনেকেই বলবেন এটা আবার কেমন কথা! চিনির স্বাদ তো মিষ্টি। সেটা তেতো বা তিতা হয় কেমনে? বিষয়টা খুবই সরল এক বছর আগে চিনি পাওয়া যেতো প্রায় ৮০ টাকা কেজিতে।

বিজ্ঞাপন
গত ক’মাস আগে সেই চিনির দাম হয়ে গেল ১০৫ টাকা। তাতেও থামলো না। অস্থির চিনির বাজারে সুস্থিরতা ফেরাতে সরকার দাম বেঁধে দিলো। খোলা চিনি এককেজি ১২০ টাকা আর প্যাকটজাত চিনি বিক্রি হবে ১২৫ টাকায়। হায়! চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনী আর ব্যবসায়ীরা না শোনে সরকার বয়ান। চিনি কি মিলছে এই দামে। মিলছে না। খোলা চিনি পাওয়া যেতো ১৩৫ টাকায় আর প্যাকেটজাত  ১৪০ টাকায়। এদেশের মানুষের সহনশীলতা দারুণ। কয়েকদিন হাউকাউ করে থেমে যায়। ঈদের ঠিক আগ মুহূর্তে কেজিতে ২৫ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স এসোসিয়েশন। ট্যারিফ কমিশনের কাছে এ যেন মামার বাড়ির আবদার। না করে দিয়েছে কমিশন। যা হওয়ার ঈদের পরে হবে। ব্যবসায়ীরা অপেক্ষা করার মানুষ নন। তারা ইতিমধ্যে বাড়তি দাম নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। বাজারে সরবরাহ কমিয়ে দিয়ে দাম অন্তত ৫ টাকা বাড়তি নিচ্ছে। চিনির বাজারে গিয়ে মানুষ হোঁচট খাচ্ছে। ঈদের পর পণ্যটি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায় খেতে হবে। এ কারণেই বলছি মিষ্টি এই পণ্যটি দাম বৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষের কাছে তেতো হতে শুরু করেছে। 

আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে বাড়তি দামে কয়েক মাস ধরেই চিনি বিক্রি হয়ে আসছে বাজারে। অথচ বিটিটিসি ১১ই জুন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানায়, এক বছরে আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম বেড়েছে ২১ দশমিক ৯৬ শতাংশ। ২০২২ সালের ৮ই জুন আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম ছিল ৫৫১ দশমিক ৯৫ মার্কিন ডলার। ২০২৩ সালের ৮ই জুন তা বেড়ে হয় ৬৭৩ দশমিক ১৫ ডলার।
প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় শিল্প সুরক্ষায় চিনি আমদানিতে উচ্চ শুল্ক আরোপ করা হলেও স্থানীয় চিনির উৎপাদন মাত্র ১ শতাংশ। তবে পরিশোধিত চিনি আমদানিতে শুল্ক-কর ভার ৬৭ শতাংশ আর অপরিশোধিত চিনি আমদানিতে শুল্ক-কর ভার ৬২ শতাংশ। অপরিশোধিত চিনির দাম আন্তর্জাতিক বাজারে টনপ্রতি বেড়েছে ৩৩ শতাংশ কিন্তু দেশের বাজারে বেড়েছে দ্বিগুণের কাছাকাছি ৫৮ শতাংশ। 

সব ধরনের খরচ ও মুনাফাসহ সরকার চিনির যে দামের হিসাব দিচ্ছিল, তা কিছুতেই মানছিলেন না মিলমালিকেরা। তারা আরও দাম বাড়াতে চান। তাদের যুক্তি হচ্ছে, বিশ্ববাজারে চিনির দাম বাড়তি। এজন্য দেশের বাজারে দাম সমন্বয় করতে চান তারা। 
চিনির বাড়তি দামের মধ্যেই চিনিকলমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স এসোসিয়েশন গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ২২শে জুন থেকে প্রতি কেজি প্যাকেটজাত চিনি ১৫০ টাকা ও খোলা চিনি ১৪০ টাকা দরে বিক্রি করবে। বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে (বিটিটিসি) নতুন এ দরের কথা জানিয়ে ওই দিন চিঠিও দেয় চিনিকল মালিকদের সংগঠনটি। তবে তাদের সঙ্গে ট্যারিফ কমিশনের যে বৈঠক হয়েছে তাতে চিনির দাম বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। 

 বৈঠকে আরও উল্লেখ করা হয় শুল্ক ছাড়ে আনা চিনি এখনো বাজারে আছে। যা তথ্য-প্রমাণসহ ব্যবসায়ীদের কাছে তুলে ধরা হয়। এতে ঈদের পর দাম বাড়াতে রাজি হয় ব্যবসায়ীরা। কিন্তু ব্যবসায়ীরা কথা রাখেনি। ঈদের আগেই অস্থির করে তুলেছে চিনির বাজার। তথ্যসূত্র বলছে, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে একবার প্রতি কেজি প্যাকেটজাত চিনির দাম ১৫০ টাকা ও খোলা চিনি ১৪০ টাকা করার প্রস্তাব করে মিলমালিকেরা। 
বাংলাদেশের চিনি শিল্প নিয়ে কিছু কথা না বললেই না। বাংলাদেশের মোট চিনি কারখানার সংখ্যা ছিল ১৫টি। এর মধ্যে ২০২০ সালে ৬টি বন্ধ করে দেয়া হয় নানা অজুহাতে। কারখানাগুলো ঋণের জালে জড়িয়ে পড়ে। এতে উৎপাদন খরচও বেড়ে যায়। দিতে থাকে লোকসান। পাবনা, কুষ্টিয়া, রংপুর, পঞ্চগড়, শ্যামপুর ও সেতাবগঞ্জে আখ মাড়াইয়ের সিদ্ধান্ত বজায় থাকে।

জানা গেছে, চিনিকলগুলোর মোট পুঞ্জীভূত ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৮৫ কোটি টাকা। ঋণের কারণে প্রতিকেজি চিনির উৎপাদন খরচ গেছে বেড়ে। গড়ে ঋণের সুদ ২০০৬-০৭ অর্থবছরে যেখানে ছিল মোট উৎপাদন খরচের ৬ দশমিক ৫ শতাংশ, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তা বেড়ে গড়ে ৩৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অন্যদেশের তুলনায় প্রতিমণ আখে আমাদের চিনির উৎপাদনও কম বলে জানা গেছে। ব্রাজিলে একমণ আখে চিনি হয় ১২ থেকে ১৪ কেজি। কিন্তু আমাদের এখানে পাওয়া যায় ৬ থেকে ৭ কেজি। ভালো মানের আখ না পাওয়া ও কলকারখানা পুরনো হয়ে যাওয়ায় উৎপাদনে পিছিয়ে থাকা আমাদের কারখানাগুলোকে পাটকলের মতো ভাগ্যবরণ করতে হয়।

 কারখানাগুলো বন্ধ হওয়ার কারণে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান অনিশ্চয়তায় পড়ে যায়। এরপর থেকে দু’টি মাড়াই মৌসুম চলে গেছে। বন্ধের পর প্রথম বছরে চিনি উৎপাদন আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৪১ শতাংশ এবং দ্বিতীয় বছরে আরও ৫০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। কৃষকরাও হতাশ হয়ে অন্য ফসল উৎপাদনে মনোযোগী হয়েছে। ফলে দেশীয় চিনি শিল্প এখন মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। চিনি শিল্পে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ না হলেও দেশীয় চিনির চাহিদা সব সময় ছিল। কার স্বার্থে চিনিকলগুলোকে গলা টিপে হত্যা করা হলো?  এ প্রশ্নের  উত্তর সবার জানা। দেশের ৫টি শিল্প গ্রুপ চিনির বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করে চাহিদার কিছু মেটালেও দেশীয় শিল্পকে ধ্বংস করে চিনিকে আমদানি-নির্ভর করে বাজার নিজেদের হাতে নিয়ে তারা অন্যান্য পণ্যের মতোই মুনাফা লুটছে। ছয়টি রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকল বন্ধ হওয়ার পর এখন বেসরকারি রিফাইনারি ও অসাধু ব্যবসায়ীদের আরও নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে চিনির বাজার। ভোজ্যতেলের মতোই চিনির সংকট শুরু হলে এখান থেকে বেসরকারি রিফাইনারি কোম্পানিগুলোই চিনির বাজারে লাভবান হবে। তখন দাম বাড়লেও সরকারের কাছে মূল্য নিয়ন্ত্রণের কোনো উপায় থাকবে না।

শুধু তাই নয়, বাজারে প্রতি কেজি চিনির মূল্য যখন ৮০ টাকা, তখন দোকানে চিনিকলের উৎপাদিত চিনি আমদানি করা সাদা চিনির সঙ্গে মিশিয়ে একটি কোম্পানিকে ১২০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। দেশের ভোক্তারা সেই চিনি বাজারমূল্যের চেয়ে ৪০ টাকা বেশি দামে কেনার সময় ভাবছেন দেশীয় চিনি কিনছেন। পত্র-পত্রিকায় এ প্রতারণার খবরও প্রকাশিত হয়েছে।
বিভিন্ন তথ্যসূত্রে জানা গেছে, ২০০৩-০৪ সালের পর থেকে আন্তর্জাতিক বাজারের অস্বাস্থ্যকর ঘণীভূত সাদা চিনির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেশীয় লাল চিনিকলগুলো উৎপাদন, বিতরণ, বাজারজাতকরণ থেকে দিন দিন পিছিয়ে পড়তে শুরু করে। 
বেসরকারি পরিশোধনাগারগুলো বিদেশ থেকে অপরিশোধিত চিনি এনে সেগুলো পরিশোধন করে বিক্রি শুরুর পর বাজারের বিরাট অংশের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে চলে যায়। 

এর আগে চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন চিনি আমদানি করে তা বিক্রি করত সরকার নির্ধারিত দামে। তখন আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে তা প্রয়োজন বুঝে সরকারের নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ ছিল। এছাড়া সরকারি কলকারখানায় চিনি মজুত থাকলে বাজারে অস্থিরতা তৈরি হলে সেই চিনি বাজারে ছেড়ে দাম নিয়ন্ত্রণ করতো সরকার। সেটিও বন্ধ হয়ে গেছে ব্যবসায়ীদের কূটচালের কাছে।  অভিজ্ঞ মহল বলছেন, একটু জোরালো পদক্ষেপ নিয়ে চিনি কল বন্ধ হতো না। লোকসান ও ঋণের অজুহাতে চিনি কলগুলো বন্ধ করা হয়েছে। এ ঋণের বেশির ভাগই হচ্ছে ঋণের সুদ। ভর্তুকি না দিয়ে ঋণ দিয়ে সরকার দিন দিন এসব চিনিকলকে ঋণগ্রস্ত করে তুলেছে। পুরনো কলকারখানাগুলো নতুন করে মেরামত করার কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।  উন্নত ফলনজাত আখ চাষের কোনো ব্যবস্থা বা গবেষণা হয়নি। আখক্রয়ে রয়ে গেছে বৈষম্য। এ সমস্ত কারণে কলকারখানাগুলোকে খারাপভাগ্য বরণ করতে হয়েছে। আর এক সময়ে উদ্বৃত্ত চিনি এখন আমাদের খেতে হচ্ছে বেশি দামে। ভবিষ্যতে অন্যান্য পণ্যের মতো এটিও মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে। তার লক্ষণ দেখা দিয়েছে। ঈদকে সামনে রেখে মসলার বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে ইতিমধ্যে। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। কাঁচা মরিচ, ৩০০ টাকা। নতুন করে  দাম বেড়েছে আদা ও রসুনের। পিয়াজ সেই পুরনো দামে ফিরে গেছে। দেশি পিয়াজ ৮০ টাকায় মিলছে না। দু’দিন পর শসার কি অবস্থা হবে  আন্দাজ করা যাচ্ছে। 

ধীরে ধীরে প্রতিটি পণ্যেরই দামই আকাশছোঁয়া। এদিকে প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি কমানোর জোরালো পদক্ষেপ নেই। পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান শুনিয়েছেন আরেক দুঃসংবাদ। তিনি বলেছেন, ৬ শতাংশ মূল্যস্ফীতি অলৌকিক ও অসম্ভব। তাহলে মানুষ দাঁড়াবে কোথায়? এই পরিস্থিতিতে দেশীয় শিল্পগুলোকে বাঁচানোর উদ্যোগ নিতে হবে। দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদন বাড়ানো ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। সরকারকে নিত্যপণ্য আমদানি ও উৎপাদনে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এতে কর্মসংস্থান বাড়বে এবং জিনিসপত্রের দামও নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে অনেকেই মনে করেন। নিত্যপণ্যের যে আমদানি নির্ভরতা কমাতে এখনই উদ্যোগ না নিলে সাধারণ মানুষের খেয়েপরে বেঁচে থাকাটা কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে। আন্তর্জাতিক বাজারের ‘জুজুর’ ভয় দেখিয়ে পণ্যের দাম বাড়ানোর পুরনো খেলা ও সিন্ডিকেট ভাঙতে সরকারকে কঠোর হতে হবে। ব্যবসায়ীদের হয়তো মানুষের কাছে কোনো জবাবদিহিতা নেই কিন্তু সরকারের আছে। সামনে নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রী কথায় কথায় মানুষের আস্থা অর্জনের কথা বলেন। কিন্তু এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে তিনি জনগণের আস্থার জায়গায় থাকতে পারবেন কি? নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সেই আস্থা ধরে রাখতে হবে বলে মনে করি।

পাঠকের মতামত

মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে সরকারকে এখনই এগিয়ে আসা উচিত। এর কোন বিকল্প নেই। ধন্যবাদ।

Anwarul Azam
১ জুলাই ২০২৩, শনিবার, ১১:৫৯ অপরাহ্ন

পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি হলে প্রধানমন্ত্রী উপদেশ দেন সেটা যাতে জনগণ না খায় বা তার বিকল্প কিছু খায়। ইতিমধ্যে বেগুনি, কাঁঠালি, তেল, কাঁচা মরিচ ইত্যাদি ভাইরাল হয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী কি ব্যবসায়ীদেরকে উপদেশ দিবেন যাতে তারা ডাকাতি না করে? সেটা কি তিনি পারবেন?

Salim Khan
১ জুলাই ২০২৩, শনিবার, ১০:৫৬ অপরাহ্ন

ডাকাতের কাজ ডাকাতি করা, লুটেরাদের কাজ লুট করা, চোরদের কাজ চুরি করা। যে দেশের ক্ষমতায় চোর, ডাকাত, লুটেরা থাকে সে দেশে ব্যবসায়ীদেরকে নিয়ন্ত্রণ করবে কে? একেকবার একেক পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে জনগণের পকেট কাটা হচ্ছে। লুটে নেয়া হচ্ছে শত, হাজার, লক্ষ কোটি টাকা। জনগণ যাবে কোথায়? কারণ যারা প্রতিকার করার তারাই করছে, করাচ্ছে এগুলা।

Salim Khan
১ জুলাই ২০২৩, শনিবার, ১০:৫২ অপরাহ্ন

চিনি ডায়াবেটিস এর কারণ। তা পরিহার করুন। বাংলাদেশের মানুষ অতিরিক্ত চিনি ও মিষ্টি খায় । ঘরে ঘরে ডায়াবেটিস রোগী।

Kazi
১ জুলাই ২০২৩, শনিবার, ৯:৩৪ অপরাহ্ন

নির্বাচিত কলাম থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

নির্বাচিত কলাম সর্বাধিক পঠিত

বেহুদা প্যাঁচাল/ অর্থমন্ত্রীর এত বুদ্ধি!

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2023
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status