বাংলারজমিন
নাটোরে আলোচিত সেই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এবার প্রতারণার অভিযোগ
নাটোর প্রতিনিধি
৬ জুন ২০২৩, মঙ্গলবার
নাটোরে কলেজ শিক্ষিকার সঙ্গে একান্ত ভিডিও ভাইরাল হওয়া আলোচিত সেই চিকিৎসক আমিনুল ইসলাম লিপনের বিরুদ্ধে এবার প্রতারণার অভিযোগ করেছেন চিকিৎসা নিতে আসা এক ভুক্তভোগী রোগী। নাটোর সদর উপজেলার উত্তর হাগুরিয়া এলাকার মৃত মোজারের ছেলে গোলাম মোস্তফা চুনু এক সিভিল সার্জন বরাবর এই অভিযোগ করেছেন- বদলি হয়েও পূর্বের কর্মস্থলের পরিচয় প্রচার করে ও প্রেসক্রিপশন প্যাড ব্যবহার করে প্রতারণা করছেন ওই চিকিৎসক।
গতকাল করা ওই অভিযোগে বলা হয়েছে, ডা. আমিনুল ইসলাম লিপন সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে পোস্টিং হওয়া সত্ত্বেও তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়োগপ্রাপ্ত আছেন মর্মে প্রচারণা ও প্রসার চালিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি তার প্রেসক্রিপশন প্যাডেও সে একইভাবে সে ওই সেখানকার সহকারী অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মর্মে উল্লেখ করা আছে। বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলোতে রোগী দেখার প্রচারণা চালাচ্ছে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে। এটি একটি জালিয়াতি ও প্রতারণার শামিল বলে উল্লেখ করে বলা হয় এতে রোগীদেরকে বিভিন্ন ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হচ্ছে ও রোগীদের ধোকা দেয়া হচ্ছে। মডেল হাসপাতালে তার নামে মাইকিংও করা হচ্ছে। এতে তিনি এর জন্য জালিয়াত ডাক্তারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও এটি বন্ধের দাবি জানান।
এদিকে এ ব্যাপারে গোলাম মোস্তফা চুনু এই প্রতিবেদককে জানান, একজন বড় মাপের চিজিৎসক হয়ে এ ধরনের দায়িত্বহীনতা ও প্রচার প্রতারণার শামিল। এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
এ ব্যাপারে আলসান হাসপাতালের পরিচালক বাবলু ও সিভিল সার্জন ডা. মশিউর রহমানের ফোনে কল দিলেও তারা রিসিভ করেননি।
তবে সিভিল সার্জন অফিসের এক কর্মকর্তা জানান, এ ব্যাপারে একজন ভুক্তভোগী তাকে ফোন করেছিলেন। তিনি লিখিতভাবে সিভিল সার্জন বরাবর অভিযোগ করতে বলেছিলেন। এর বাইরে বাকিটা সিভিল সার্জনের কাছে জানার পরামর্শ দেন।
তবে মডেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল খান জানান, বদলির বিষয়টি তারা জানতেন না। জানার পর তারা নতুন করে প্যাড করতে দিয়েছেন আর মাইকিং বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে সিল বানাতে দেয়া হয়েছে জানান তিনি। এদিকে আরেকটি বেসরকারি হাসপাতালের পরিচালক আগের প্যাডেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে স্বীকার করেন।
এদিকে এ ব্যাপারে ডা. আমিনুল ইসলাম লিপন বলেন, সম্প্রতি তিনি বদলি হয়েছেন বিষয়টি ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলোতে জানিয়েছেন। তারা প্যাড প্রস্তুত করতে দিয়েছেন। তবে আপাতত তিনি প্যাডে বর্তমান কর্মস্থলের পরিচয় সম্বলিত সিল ব্যবহার করে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, এটা কোনো বিষয় নয় আসলে তাকে বিব্রত করতে এমনটা করা হচ্ছে। এমনতো নয় যে তিনি কখনো রাজশাহী মেডিকেল কলেজে কর্মরত ছিলেন না। সেখানে ছিলেন সম্প্রতি বদলি হয়েছেন মাত্র পরিচয়টাতো মিথ্যা না।
উল্লেখ্য, এর আগে গত বছর এক শিক্ষিকার সঙ্গে অন্তরঙ্গ ভিডিও ভাইরাল হলে ওই শিক্ষকাকে বহিষ্কার করে কলেজ কর্তৃপক্ষ বর্তমানে তা বিচারাধীন।