শিক্ষাঙ্গন
হিজাব ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনের সাহায্য চাইবে ঢাবি শিক্ষার্থীরা
বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার
(৩ মাস আগে) ৫ জুন ২০২৩, সোমবার, ৭:১৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৩:১৪ অপরাহ্ন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলা বিভাগের পরীক্ষা, ভাইভা ও প্রেজেন্টেশনের সময় মুখ খোলা রাখার নোটিশের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সুষ্ঠু সমাধান না করলে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনের দ্বারস্থ হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের একাংশ।
হিজাব ইস্যুতে বাংলা বিভাগের নোটিশের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ার প্রতিবাদে দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে এ দাবি করা হয়।
এ সময় হিজাবের অধিকার নিশ্চিতে দেয়া প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করে উল্টো শিক্ষার্থীদের অধিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় ভিসির প্রতিও অনাস্থাও জানান তারা।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, হিজাব পরিহিতাদের শিক্ষার পরিবেশকে বিঘ্নিত করার প্রয়াসে বাংলা ডিপার্টমেন্টের দেওয়া নোটিশের বিষয়ে ভিসির পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থতা আমাদের হতাশ ও ক্ষুব্ধ করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ কর্তৃক পরীক্ষা, ভাইভা ও প্রেজেন্টেশনের সময় কানসহ মুখমণ্ডল খোলা রাখার নির্দেশ দিয়ে যে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছিল, সেদিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করার লক্ষ্যে গত বছরের ২৬শে ডিসেম্বর আমরা ৫ দফা দাবি নিয়ে ভিসি স্যারের সাথে সাক্ষাত করেছিলাম। তিনি আমাদের দাবিগুলো শুনেছিলেন এবং এগুলোর যৌক্তিকতা উপলব্ধি করে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছিলেন। আমাদের উপস্থিতিতেই বাংলা ডিপার্টমেন্টের কোনো একজন কর্মকর্তাকে কল করে বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান করতে বলেছিলেন।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, মেধার স্বাক্ষর রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর একজন হিজাব পরিহিতা শিক্ষার্থীকে ধর্মীয় অধিকার থেকে বঞ্চিত করার এবং এটাকে উপলক্ষ্য করে তার একাডেমিক লাইফকে দুর্বিষহ করে তোলার এই ঘটনাগুলো মানবাধিকার ও ধর্মীয় অধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন নয় কি? আমরা স্পষ্ট ভাষায় এটাকে মানবতাবিরোধী এবং দেশীয় আইন ও ইউনিভার্সিটি অর্ডারের লঙ্ঘন বলে অভিহিত করছি।
আমরা এখনো প্রত্যাশা করছি বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের প্রতি অব্যাহত এই অন্যায়ের ইতি টানতে উদ্যোগী হবে। আশা করছি বিশ্ববিদ্যালয় ধর্মীয় অধিকার ক্ষুণ্ণ করার মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনের এমন সুস্পষ্ট ঘটনাগুলোর তদন্ত পূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং হেনস্থার শিকার শিক্ষার্থীদের পড়শোনা চালিয়ে যাওয়ার নির্বিঘ্ন পরিবেশ তৈরিতে সচেষ্ট হবে।
পাঠকের মতামত
USA, AU parliament allow hijab; but DU,MUSLIM BANGLADESH ?
আন্দোলন হাওয়া উচিত শরিয়া আইন বাস্তবায়নের। তাহলে এসব ছোট বিষয় নিয়ে আর আন্দোলন করতে হবে না। অবাক হই এত ধর্মপ্রাণ মুসলমানের বাংলাদেশ এখনো শরিয়া আইনে চলে না☹️
ইউ টিউব হুজুরদের প্রভাব পড়া শুরু করেছে এদের উপর। মুখ খোলা রেখেও তো হিজাব পরা যায়।কান ঢেকে মুখ ঢেকে পরীক্ষার হলেই তো কেবল তা নিষেধ করা হয়েছে এর বাহিরে তো করা হয়নি।তা হলে এতে উদ্বেগের কি আছে।নাকি পরিক্ষার হলে কান মুখ ঢেকে রাখলে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যাবহারে যে সুবিধাটা হত তা আর করা যাবেনা তাই এই হইচই। ধর্মে শালীন পোশাকের কথা বলা হয়েছে।নারীদের চেনা যাবে না এমন পোশাকের কথা বলা হয় নি।
ভাড়াতের মতো এদেশেও তথাকথিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবাজ,রানাদাসগুপ্তের সংগঠন,কিছু এনজিও,দালাল আ.লীগের উপর ভর করে প্রতিটি সেক্টরে উগ্র হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসবাদ সক্রিয় হয়ে আছে। এদের উদ্দেশ্য পরিস্কার। এরা নামে মুসলিম,কাজে বিজেপি-আরএসএস আদর্শধারী এর উগ্র হিন্দু।
আধুনিক যুগে চিহ্নিত করার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অবস্থান সরাসরি ইসলামের বিরুদ্ধে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করছি।
হিজাব অত্যাবশ্যকীয় বিষয়, এখানে ছাড় দেয়ার কোন সুযোগ নাই। হিজাব পড়লে ঢাবি কর্তৃপক্ষের সমস্যা কোথায়? পরিচয় নিশ্চিতের বিষয় হলে তা অন্যভাবেও করা যায়। সেই পথে না গিয়ে হিজাব নিষিদ্ধের পথে যাবার অর্থ হলো নাস্তিক্যবাদ। এদের প্রতিরোধ করতে হবে।
“ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলা বিভাগের পরীক্ষা, ভাইভা ও প্রেজেন্টেশনের সময় মুখ খোলা রাখার নোটিশের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সুষ্ঠু সমাধান না করলে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনের দ্বারস্থ হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের একাংশ।” দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম প্রধান দেশে এর চেয়ে লজ্জাজনক আর কি হতে পারে। এ খবরগুলো শুনলে মনে হয় এটা পশ্চিমা দেশের কোনো সংবাদ। আমাদের সরকারের মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী, এমপি, দলীয় নেতারা সবসময় বলে থাকেন ইসলামের জন্য আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কেউ এতো কাজ করেনি। আমাদের দেশের কথিত ইসলামী বিশেষজ্ঞরা (মিসবাহুর রহমান, ফরিদ উদ্দিন মাসউদ, নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, সাইফী গংরা) এখন কোথায়? এগুলো নিয়ে তারা কোনো কথা বলে না কেন?
বহুকাল থেকেই বাংলাদেশের ইংরেজি এবং বাংলা বিভাগ ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিকদের আখড়া হিসাবে কাজ করে। ইসলামী অনুশাসন মেনে চলে এমন প্রত্যেক ছাত্র ছাত্রিদের উপর এই নাস্তিক মুরতাদ রা নির্যাতন করে। আমি অনেক ঘটনার সাক্ষী।
বিশ্বাসকে লালন করতে হবে ।
মুসলিম দেশে হিজাব নিষিদ্ধ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের এই সিদ্ধান্ত মুসলিম দেশে মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা। যারা এই নিষেধাজ্ঞা সাথে জড়িত ওরা ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে কাজ করতেছে। সব মুসলমানদের উচিত ওদের প্রতিহত করা।
পরীক্ষার হলে ঢুকার সময় মহিলাদের মহিলা প্রদর্শক দ্বারা চেক করা উচিত।কারণ পর্দার আড়ালে ও অনেক কিছুই হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিচয় সুনিশ্চিত করণের স্বার্থে ফিঙ্গারপ্রিন্ট গ্রহণের ব্যবস্থা করতে পারতেন।
শাখা-সিঁদুর দিয়ে টাইট টি-শার্ট পড়ে পড়াশোনা করলে আর শিক্ষকদের সাথে গভীর রাতে হাতে-কলমে মাহাভাড়াত মঞ্চস্থ করলে ওটা হয় আল্ট্রা বৈজ্ঞানিক,প্রগতিশীল,মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পন্থী।
সিলেবাসে পুঁথি সাহিত্য বাদ দিয়ে মৌলিক প্রয়োজনীয় শিক্ষা অর্থাৎ বাস্তব জীবনে প্রায়োগীগ শিক্ষা দেওয়া হোক। সে ক্ষেত্রে ”নকল” বাধ্যবাধকতা হয়ে যায়! যেমন কয়েকটি উদাহরণ ১) গ্রাফিক ডিজাইন, ২) ফার্নিচার তৈরি, ৩) বেকারী এন্ড পেস্ট্রি/রেস্টুরেন্ট ফুড/ফুড কোর্ট, ৪) গার্মেন্ট/টেইলারিং/ফ্যাশন ডিজাইন। এ ছাড়াও আরো অনেক কাজ আছে যা ক্যাটালগ দেখে তৈরি করতে হয়/শিখতে হয়।
It is the fundamental rights of every citizen to follow his/her religion. Hijab is the dress of practicing Muslima.
এটা ভারত বা ইউরোপ - আমেরিকার কোন দেশে হলে কিছুটা হলেও মেনে নেয়া যেতো। ঢাবি এদেশের মুসলমানদের টাকায় টাকায় চলে, এখানে মুক্ত বুদ্ধির চর্চা হবে, বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতার পক্ষে থাকবে এটাই প্রত্যাশিত। বাংলা বিভাগ কেন গোঁড়ামি বেছে নিল বুঝতে পারিনা।
হিজাবের নামে মুখমন্ডল ঢেকে রাখতে হবে এমন নির্দেশনা কোরআনে আমি পাইনি।
Something very ominous is hanging over the head of this country!
য়দিও বিষয়টি স্পর্শকাতর, অর্থাৎ ধর্মীয় বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত তবুও পরীক্ষায় স্বচ্ছতার সার্থে মুখমণ্ডল খোলা রাখার ব্যাপারে দেয়া বাংলা বিভাগের নোটিশকে যথাযথ বলেই মনে করছি।
ধৈর্য ধরুণ। ইসলাম বিরোধী নাস্তিকদের সময় ফুরিয়ে আসছে।
ওলি আওলিয়াদের বংশের লোকেরা যখন রাষ্ট্র ক্ষমতায়,মদিনা সনদের ধারকরা যখন রাষ্ট্রের ক্ষমতায় তখন ধর্মের এই মৌলিক অধিকার থেকে যারা আমাদের বঞ্চিত করতে চায়,তাদের রুখে দিতে জনতা আবার জেগে উঠবেই।