প্রথম পাতা
সামনে লোডশেডিং আরও বাড়বে?
স্টাফ রিপোর্টার
৫ জুন ২০২৩, সোমবার
প্রচণ্ড গরমে দেশজুড়ে হাঁসফাঁস অবস্থা। সঙ্গে যোগ হয়েছে অসহনীয় লোডশেডিং। ঘণ্টায় ঘণ্টায় বিদ্যুৎ যাচ্ছে। বলা হচ্ছে জ্বালানি ঘাটতির কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। খোদ বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে অন্তত দুই সপ্তাহ লাগবে। যদিও খাত বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গরম অব্যাহত থাকলে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি আরও দীর্ঘায়িত হতে পারে। সামনে লোডশেডিংও আরও বাড়তে পারে।
গরম বাড়ায় দিনকে দিন লোডশেডিং পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টারও বেশি লোডশেডিংয়ের খবর পাওয়া গেছে। দেশে এমনিতেই বিভিন্ন জেলার উপর দিয়ে প্রচণ্ড তাপদাহ বয়ে চলছে। রাজধানীতেই গতকাল দিনের বেলায় চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা লোডশেডিং হয়েছে।
ওদিকে কয়লা সংকটের কারণে আজ থেকে বন্ধ হতে যাচ্ছে পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র। পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্র বলছে, কয়লা না থাকায় ২৫শে মে একটি ইউনিট বন্ধ করা হয়। পরে ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বাকি একটি ইউনিট থেকে দিনে ৪৫০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। তাও ৫ই জুন থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. কাওসার আমীর আলী মানবজমিনকে বলেন, তার এলাকায় গতকাল ২ থেকে ৩ ঘণ্টা লোডশেডিং করতে হয়েছে। দুপুর ৪টায় বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১ হাজার ৩৮০ মেগাওয়াট। কিন্তু চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ ঘাটতি ছিল ২৫০ মেগাওয়াট।
অন্যদিকে ডলার সংকট, জ্বালানি ঘাটতি ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজের কারণে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার প্রায় ৪৫ শতাংশ অব্যবহৃত থাকায় জুনে লোডশেডিং বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগের দাবি, দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা এখন ২৭ হাজার ৩৬১ মেগাওয়াট। গ্রাহক সংখ্যা সাড়ে ৪ কোটি।
বিদ্যুৎ খাত এখন যে গ্যাস সরবরাহ পাচ্ছে যা প্রতিদিন ১ হাজার ১০০ মিলিয়ন ঘনফুটেরও বেশি। তবে তা অপর্যাপ্ত বলে মনে হচ্ছে। কারণ ১১ হাজার ৩৯ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিপরীতে গড়ে প্রায় ৪ হাজার ৮১৮ মেগাওয়াট গ্যাস-চালিত বিদ্যুৎ উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। ফার্নেস অয়েল ও ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ৭ হাজার ১২২ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিপরীতে প্রায় ৩ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট এবং কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ৩ হাজার ৩৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিপরীতে প্রায় ২ হাজার ২২৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে। এক হাজার ১৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিপরীতে বাংলাদেশ ভারত থেকে এক হাজার ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি হচ্ছে। দেশের ৫৫ শতাংশ গ্রাহককে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি)। বিদ্যুৎ উৎপাদন ঘাটতির কারণে তারাও সব এলাকায় লোডশেডিং করতে বাধ্য হচ্ছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
সমন্বয়হীনতার কারণে বিদ্যুতের লোডশেডিং: সমন্বয়হীনতার কারণে বিদ্যুতের সংকট বলে ইঙ্গিত করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে বিদ্যুৎ গ্রাহকরা লক্ষ্য করছেন যে, লোডশেডিংয়ের জায়গাটা বেড়ে গেছে। আমরা বারবার বলে আসছি কয়লা ও তেল-এগুলোর যোগান দিতে আমাদের দীর্ঘ সময় লাগছে। এজন্য আমাদের লোডশেডিংয়ের জায়গাটা ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে। এখন যে সমস্যাটা দেখা গেছে, এর আকারটা (লোডশেডিং) বেশ খানিকটা বড় হয়ে গেছে। পরিস্থিতি অনেকটা অসহনীয় হয়ে গেছে। আরও দুই সপ্তাহ এ অবস্থা থাকতে পারে। আমরা আশা করছি, আগামী দশ থেকে পনেরো দিনের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান হবে।
নসরুল হামিদ বলেন, পরিস্থিতি সামাল দিতে আমরা দুই মাস আগে থেকে চেষ্টা করেছি। কিন্তু সার্বিকভাবে আমাদের অনেক কিছুই দেখতে হয়। অর্থনৈতিক একটা বিষয় আছে। তেল ও গ্যাসের যোগানের বিষয় আছে। জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, তাপমাত্রা যেহেতু ৩৮ থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস অবধি বেড়ে গেছে সেহেতু স্বাভাবিকভাবেই বিদ্যুতের চাহিদাও বেড়ে গেছে। পাওয়ার প্ল্যান্টে যে পরিমাণ মজুত ছিল সেটা দিয়েও আমরা নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিতে প্রস্তুত ছিলাম। এই মুহূর্তে আমরা শিডিউল লোডশেডিংয়ে যাচ্ছি না। তবে কিছু কিছু এলাকায় লোডশেডিং হবে। তিনি বলেন, আমরা কয়লা ও গ্যাসের যেহেতু পর্যাপ্ত জোগান দিতে পারছি না বলে এ সমস্যাটা হচ্ছে। তবে এটা সাময়িক সময়ের জন্য।
এ নিয়ে হতাশ হওয়ার কিছুই নেই। আমরা চেষ্টা করছি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এ পরিস্থিতি থেকে একটা ভালো জায়গায় পৌঁছানোর। নসরুল হামিদ বলেন, আমরা প্রায় আড়াই হাজার মেগাওয়াটের মতো লোডশেডিং করছি। তবে আশা করছি, এ মাত্রা অনেক কমিয়ে আনতে সক্ষম হবো। আমরা মোটামুটি সবকিছু গুছিয়ে ফেলছি। খুব দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে। অর্থনৈতিক বিষয়, এলসি খোলার বিষয় থাকে; সব সমন্বয় করতে হয়। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। আমরা চেষ্টা করছি অচিরেই এ অবস্থা থেকে কীভাবে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
পাঠকের মতামত
অপেক্ষায় থাকলাম আবারও সেই হারিকেন কুপি যুগের স্বগতম।
উন্নয়নের জোয়ারে ভেসে, লোডশেডি এলো দেশে।
যাদুঘর থেকে লোডশেডিংয়ের আগমন। শুভেচ্ছা স্বাগতম! এ উপলক্ষে মোমবাতি জ্বালিয়ে উত্সব করা যেতে পারে।
মন্তব্যটি সকালেই লেখা শুরু করেছিলাম। কিন্তু লোডশেডিং এর কারণে এত দেরি। যাই হোক যে বস্তুটি ঘরে ঘরে ফেরি করার প্রচার করা হয়েছে তা দিনে দিনে হয়ে ওঠেছে 'সোনার হরিণ'। আমরা কথায় কথায় বলে থাকি- 'অহংকার পতনের মূল'। কথাটা বলা যত সহজ, অহংকার থেকে বেঁচে থাকা তত সহজ নয়। ক্ষমতার অহংকার তো আছেই। ক্ষমতার সঙ্গে দাপট, দাপটের সাথে দাবড়িয়ে বেড়ানো এবং বাড়ি, গাড়ি, ধন-দৌলত এমনকি সন্তানসন্ততির অহংকার মানুষের মজ্জাগত। পরিণামে অহংকার ধ্বংস ডেকে আনে। ইতিহাসে এর ভুরি ভুরি নজির আছে। ইতিহাসের নির্মম পাঠ- মানুষ ইতিহাস থেকে শেখে না। ইতিহাসের এমন একটি ভয়াবহ শিক্ষা কুরআনুল কারিমে আল্লাহ তা'য়ালা ইরশাদ করেছেন ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে মানবজাতি যাতে নিরাপদ থাকতে পারে। "আর এমন কত জনপদ আমি ধ্বংস করে দিয়েছি যেখানকার লোকেরা তাদের সম্পদ-সম্পত্তির দম্ভ করতো। কাজেই দেখে নাও, ঐসব তাদের ঘরবাড়ি পড়ে আছে, যেগুলোর মধ্যে তাদের পরে কদাচিৎ কেউ বসবাস করেছে, শেষ পর্যন্ত আমিই হয়েছি উত্তরাধিকারী।" সূরা আল-ক্বাসাস, আয়াত:৫৮। অহংকারীর ধ্বংস অনিবার্য। অহংকারী ব্যক্তি অন্যকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে। "আর মানুষের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে কথা বলো না, পৃথিবীর বুকে চলো না উদ্ধত ভঙ্গিতে, আল্লাহ পছন্দ করেন না আত্মম্ভরী ও অহংকারীকে।" সূরা লুকমান, আয়াত:১৮। অহংকারীরা নিজেকে অন্যের তুলনায় শ্রেষ্ঠ ভাবে। এই শ্রেষ্ঠত্বের বদ্ধমূল ধারণা থেকে তারা কর্তৃত্ববাদী হয়ে ওঠে। ইবলিশ আদমের আ. চেয়ে নিজেকে শ্রেষ্ঠ মনে করেছিল। তার যুক্তি ছিল সে আগুনের তৈরি। আদম আ. মাটির তৈরি। তার এই ভাবনা তাকে আল্লাহর আদেশ পালন করতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। আল্লাহ ইবলিশকে আদেশ করলেন আদমকে আ. সিজদাহ্ করতে। আল্লাহর আদেশ তার ইগোতে লাগে। সে আল্লাহর আদেশ অমান্য করে। ফলে সে চিরকালের জন্য জাহান্নামের বাসিন্দা হয়ে যায়। অহংকারের পরিণতি এমনই হতাশাজনক হয়ে থাকে। আর, আমরা যখন অহংকারী হয়ে পড়ি তখন ইবলিশের ওই চরিত্র আমাদের ওপর ভর করে। আমরা ভাবতে থাকি, 'আমি ক্ষমতাবান, সম্পদশালী, কর্তৃত্বের অধিকারী, পক্ষান্তরে, যার ক্ষমতা ও সম্পদের স্তুপ নেই, কর্তৃত্ব করার হিম্মত নেই সে আমার চেয়ে নিকৃষ্ট এবং আমি তার চেয়ে শ্রেষ্ঠ'। "আর তোমরা সবাই আল্লাহর বন্দেগী করো। তাঁর সাথে কাউকে শরীক করো না। বাপ-মার সাথে ভালো ব্যবহার করো। নিকট আত্মীয় ও এতিম-মিসকিনদের সাথে সদ্ব্যবহার করো। আত্মীয় প্রতিবেশী, অনাত্মীয় প্রতিবেশী, পার্শ্বসাথী, মুসাফির এবং তোমাদের মালিকানাধীন বাদী ও গোলামদের প্রতি সদয় ব্যবহার করো। নিশ্চিতভাবে জেনে রাখো, আল্লাহ এমন কোন ব্যক্তিকে পছন্দ করেন না যে আত্মঅহংকারে ধরাকে সরা জ্ঞান করে এবং নিজের বড়াই করে।" সূরা আন-নিসা, আয়াত:৩৬। পরিণামে ইবলিশের মত আমাদের ওপরও আল্লাহর রোষানল ফেটে পড়ে। অহংকারে ডুবে গিয়ে আল্লাহর ইবাদত থেকেও মুখ ফিরিয়ে নিতে দ্বিধা হয়না। "এক ইলাহ্ই তোমাদের আল্লাহ্। কিন্তু যারা আখেরাত মানে না তাদের অন্তরে অস্বীকৃতি বদ্ধমূল হয়ে গেছে এবং তারা অহংকারে ডুবে গেছে। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাদের সমস্ত কার্যকলাপ জানেন, যা তারা গোপন করে এবং যা প্রকাশ করে। তিনি তাদেরকে মোটেই পছন্দ করেন না যারা আত্মগরিমায় ডুবে থাকে।" সূরা আন্-নহল, আয়াত:২২-২৩। অহংকার ধীরে ধীরে আল্লাহকে অস্বীকার করার প্ররোচনা দেয়। অহংকার এত মারাত্মক ব্যাধি। "এরা ছিল এমন সব লোক যখন এদেরকে বলা হতো, “আল্লাহ ছাড়া আর কোন মাবুদ নেই” তখন এরা অহংকার করতো।" সূরা আস-সাফ্ফাত, আয়াত:৩৫। ইবলিশ যেভাবে অহংকারের পরিণতিতে আল্লাহর আদেশ পালন বা দাসত্ব করা থেকে বিরত থাকা সঙ্গত মনে করেছিল, তেমনি অহংকারী মানুষের অবস্থাও। তাদের পরিণাম ইবলিশের মতই। "তোমাদের রব বলেনঃ আমাকে ডাকো। আমি তোমাদের দোয়া কবুল করবো। যেসব মানুষ গর্বের কারণে আমার দাসত্ব থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় তারা অচিরেই লাঞ্ছিত ও অপমানিত হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।" সূরা আল-মু’মিন, আয়াত:৬০। "এখন যাও, জাহান্নামের দরজা দিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়ো, ওখানেই তোমাদের থাকতে হবে চিরকাল।” সত্য বলতে কি, অহংকারীদের এই ঠিকানা বড়ই নিকৃষ্ট।" সূরা আন্-নহল, আয়াত:২৯। "বলা হবে, জাহান্নামের দরজার মধ্যে প্রবেশ করো, তোমাদেরকে চিরকাল এখানেই থাকবে হবে। অহংকারীদের জন্য এটা অত্যন্ত জঘন্য ঠিকানা।" সূরা আয-যুমার, আয়াত:৭২। অহংকার থাকে বাঁচার উপায়: *বন্দেগির অনুভূতি: ক. ফরজ সালাতে যত্নবান হওয়া। "আমিই আল্লাহ, আমি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই, কাজেই তুমি আমার ইবাদত করো এবং আমাকে স্মরণ করার জন্য নামায কায়েম করো।" সূরা ত্ব-হা, আয়াত:১৪। "কল্যান লাভ করেছে ওই মুমিনরা, যারাঃ নিজেদের নামাযে বিনয়াবনত হয়।" সূরা আল-মু’মিনূন, আয়াত১-২। আল্লাহর বন্দেগির তীব্র অনুভূতি থাকলে নামাজ কঠিন কোন কাজ নয়। "সবর ও নামায সহকারে সাহায্য নাও। নিঃসন্দেহে নামায বড়ই কঠিন কাজ, কিন্তু সেসব অনুগত বান্দাদের জন্য কঠিন নয়। যারা মনে করে, সবশেষে তাদের মিলতে হবে তাদের রবের সাথে এবং তাঁরই দিকে ফিরে যেতে হবে।" সূরা আল-বাক্বারাহ, আয়াত:৪৫-৪৬। আল্লাহর প্রতি ঈমান আনার পর একমাত্র নামাজই হচ্ছে তার বাস্তব প্রমাণ। তাই ঈমানের বাস্তব প্রমাণ হিসেবে নামাজকে গণ্য করা হয়। "তাদেরকে তো এছাড়া আর কোন হুকুম দেয়া হয়নি যে, তারা নিজেদের দ্বীনকে একমাত্র আল্লাহর জন্য নির্ধারিত করে একনিষ্ঠভাবে তাঁর ইবাদাত করবে, নামায কায়েম করবে ও যাকাত দেবে, এটিই যথার্থ সত্য ও সঠিক দ্বীন।" সূরা আল-বাইয়েনাহ, আয়াত:৫। নামাজ যাবতীয় অশ্লীল কাজকর্ম থেকে মানুষের রক্ষাকবচ। মানুষের কল্যানের জন্য যে মহাগ্রন্থ কুরআনুল কারিম অবতীর্ণ করা হয়েছে নামাজে সেই আল কুরআন থেকে তিলাওয়াত বাধ্যতামূলক। তাই নিয়মিত নামাজ আদায় করলে কুরআন থেকে আল্লাহর আদেশ নিষেধ জানা যায় এবং তা মেনে চলা যায়। "(হে নবী!) তোমার প্রতি অহির মাধ্যমে যে কিতাব পাঠানো হয়েছে তা তেলাওয়াত করো এবং নামায কায়েম করো, নিশ্চিতভাবেই নামায অশ্লীল ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে। আর আল্লাহর স্মরণ এর চাইতেও বড় জিনিস। আল্লাহ জানেন তোমরা যা কিছু করো।" সূরা আল-আনকাবুত, আয়াত:৪৫। খ. ফরজ সিয়াম পালন করা: "হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোযা ফরয করে দেয়া হয়েছে যেমন তোমাদের পূর্ববর্তী নবীদের অনুসারীদের ওপর ফরয করা হয়েছিল। এ থেকে আশা করা যায়, তোমাদের মধ্যে তাকওয়ার গুণাবলী সৃষ্টি হয়ে যাবে।" সূরা আল-বাক্বারাহ, আয়াত:১৮৩। মূলত গর্ব ও অহংকার থেকে আত্মরক্ষা এবং মনের রিপু দমনে সিয়াম অদ্বিতীয় ব্যবস্থা। সিয়ামের মাধ্যমে তাকওয়ার গুণাবলী সৃষ্টি হয়। তাকওয়ার সাধারণ অর্থ হচ্ছে আল্লাহকে ভয় করে সকল কাজ আঞ্জাম দেয়া। যে হৃদয়ে আল্লাহর ভয় থাকে সেখানে অহংকার থাকতেই পারেনা। গ. দান করা। দানের মধ্যে ফরজ দান হচ্ছে জাকাত। "নামায কায়েম করো, যাকাত দাও এবং যারা আমার সামনে অবনত হচ্ছে তাদের সাথে তোমরাও অবনত হও।" সূরা আল-বাক্বারাহ, আয়াত:৪৩। ঘ. ফরজের পর নফল নামাজ, রোজা , দানসাদাকা ও কুরআন অধ্যয়ন মনের গর্ব ও অহংকার থেকে আত্মরক্ষার জন্য উত্তম ব্যবস্থা। "নামায কায়েম করো সূর্য ঢলে পড়ার পর থেকে নিয়ে রাতের অন্ধকার পর্যন্ত এবং ফজরে কুরআন পড়ারও ব্যবস্থা করো। কারণ ফজরের কুরআন পাঠ পরিলক্ষিত হয়ে থাকে। আর রাতে তাহাজ্জুদ পড়ো এটি তোমার জন্য নফল। অচিরেই তোমার রব তোমাকে “প্রশংসিত স্থানে” প্রতিষ্ঠিত করবেন।" সূরা বনী ইসরাঈল, আয়াত:৭৮-৭৯। অহংকারের ধ্বংসাত্মক পরিণতি থেকে আল্লাহ তায়ালা সবাইকে হেফাজত করুন।
বিদ্যুত কেন্দ্র আছে , বিদ্যুৎ নেই। বিদ্যুত কেন্দ্র আছে, জ্বালানি নেই। সারা দুনিয়ায় জ্বালানির দাম কমেছে, কিন্তু সেটা কেনার মতো বৈদেশিক মুদ্রা আমাদের নেই। বিদ্যুতের দায়িত্বে আছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী মর্যাদার একজন উপদেষ্টা এবং একজন প্রতিমন্ত্রী। এই ব্যর্থতার দায় নিয়ে কেউ পদত্যাগ করছেন না। কারো কোন জবাবদিহিতা নেই। বিনা ভোটে ক্ষমতায় আসার বোধহয় এটাই মজা !
বিদ্যুতের চাহিদা ১৫,০০০ মেগাওয়াট। বিদ্যুত কেন্দ্র করা হয়েছে ২৫,০০০ মেগাওয়াটের উপরে । তার পরও বিদ্যুৎ নাই। এই অতিরিক্ত বিদ্যুৎ কেন্দ্র করতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অপচয় করা হয়েছে। আজকে বসিয়ে বসিয়ে তাদের ক্যাপাসিটি চার্জ দেয়া হচ্ছে। দূর্নীতি আর লুটপাটের উদ্দেশ্যে এসকল রাষ্ট্র বিরোধী কাজগুলো যারা করেছেন তাদের বিচার একদিন হবে আশা করি।
খুবই স্বাভাবিক গরমের সাথে লোডশেডিং বাড়বে এটাই তো হয়ে আসছে। কতটা অবলীলায় আমাদের বিদ্যুত প্রতি মন্ত্রী বলে দিচ্ছেন অথচ দায়িত্ব বোধ বলে কিছু নেই!!! স্বাভাবিক ভোটের আয়োজন করলে বুঝতে পারতেন আপনাদের কতটা বেহাল দশা, যা বুঝতে পারছি আপনাদের চেষ্টা থাকবে নোংরামি করে ক্ষমতায় থাকার।
সাংসদ বিদ্যুৎ ফেরিওয়ালী কোথায় ? দেশের বড় বড় বুলিয়ারীরা এখন কোথায় যারা উন্নয়নের জোয়ার দেশ ভাষিয়ে দিয়েছেন। এ রকম উন্নয়ন আমাদের কোন দরকার নেই । রাতে ঘুমানো যাচ্ছে না একটু পর পর বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে । বিদ্যুৎ মন্ত্রীর ন্যূনতম দায়িত্ববোধ থাকলে বর্তমান বিদ্যুতের এই বেহাল অবস্থার কারনে অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত ।
আওয়ামীলিগ এখন অভিশপ্ত দল, এই দল টিকে থাকলে দেশ-জাতি বাচবে না। তাই তাদের রাজনীতিতে বেচে থেকে লাভ কি?
পৃথীবিতে জলে স্থলে যে বিপর্যয় ঘটিতেছে,ইহা মানুষের কৃতকর্মের ফল-কুরানের বানী। অতএব পাপ কর্ম-অন্যায়-অবিচার-জুলুম করা থেকে বিরত থাকতে হবে।সর্বক্ষমতার অধিকারি সৃস্টি কর্তার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে,আমীন।
একটার পর একটা বিদ্যুত কেন্দ্র তো হচ্ছে । বলা যাবে উন্নয়ন এর জোয়ার চলছে। বিদ্যুত উৎপাদন হউক বা না ই হউক।
জনগণের মত যদি আপনাদের নুন্যতম দেশপ্রেম থাকত,তাহলে আজ এই অবস্থা হতো না। আর সেই ফেরিওয়ালা কোথায়, যে বলেছিল "...... বিদ্যুতের এমন অবস্থা করে ছাড়বে, যে বিদ্যুতের জন্য ফেরি করা লাগবে।বিদ্যুৎ লাগবে! বিদ্যুৎ!! "
পেট্রোবাংলাকে গ্যাস ও তেল উত্তোলনের কাজে লাগানো হোক। সময় লাগে লাগুক। ব্যাপকভাবে খনন করা হোক। আশা করি তারা সফল হবে। ধন্যবাদ।।
Good ,none can sell electricity by ferrying? But with out electricity every thing will collapse , ....per flat service charge increases from bdt 1000/- to ....upwards per month