প্রথম পাতা
আমেরিকায় না গেলে কিচ্ছু আসে যায় না- প্রধানমন্ত্রী
স্টাফ রিপোর্টার
৪ জুন ২০২৩, রবিবার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা নিজের পায়ে চলবো। কারো মুখাপেক্ষি হয়ে না। কে আমাদের ভিসা দেবে না, কে আমাদের স্যাংশন দেবে ও নিয়ে মাথাব্যথা করে কোনো লাভ নাই। ২০ ঘণ্টা প্লেন জার্নি করে, আটলান্টিক পার হয়ে ওই আমেরিকায় না গেলে কিচ্ছু আসে যায় না না। গতকাল তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের নবনির্মিত কার্যালয় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীতে অনেক মহাসাগর আছে, মহাদেশ আছে। সেই মহাদেশে আমরা যাতায়াত করবো, বন্ধুত্ব করবো। আমাদের অর্থনীতি আরও মজবুত হবে। আরও উন্নত হবে। আরও চাঙ্গা হবে। যারা ভোট চুরি করে, ভোট নিয়ে যারা খেলছে, জনগণের ভাগ্য নিয়ে যারা খেলছে, কানাডার হাইকোর্ট যাদের সন্ত্রাসী দল হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে।
প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারবো বলেই আমরা এই বাজেট দিয়েছি। অথচ কিছু জ্ঞানী-গুণী টকশোতে ফাটায়ে ফেলছে- আমরা নাকি এটি বাস্তবায়ন করতে পারবো না। প্রতিবারই বাজেটের পর তারা এর বিরোধিতা করে। এবারও সেটা করছে। কিন্তু আমরা মানুষের উন্নয়নে আমাদের কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বেই অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। আমরা এর মধ্যেও দেশের অর্থনীতি ঠিক রেখেছি। যার কারণে করোনা মহামারি ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পরও বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। শেখ হাসিনা বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট। এটা কঠিন কাজ ছিল। কারণ করোনা মহামারি, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং স্যাংশন-পাল্টা স্যাংশনের কারণে সারা বিশ্বে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে। এমনকি লন্ডনসহ ইউরোপ-আমেরিকায় হিটার ব্যবহার বন্ধ রাখতে হয়েছে একটা সময়। ৬টার বেশি ডিম কেনা যায়নি। ৩টার বেশি টমেটো কেনা যায়নি। ইউরোপ-আমেরিকাসহ সারা বিশ্বই হিমশিম খাচ্ছে। তার মধ্যেও আমরা আমাদের অর্থনীতির চাকা গতিশীল রেখেছি। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে জন্য প্রণোদনা দিয়েছি। ভর্তুকি দিয়েছি।
তিনি বলেন, গ্রামকে অর্থনৈতিকভাবে ঠিক রাখা আমাদের লক্ষ্য। যার কারণে আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশে দারিদ্র্যতার হার ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে নেমেছে। হতদরিদ্রের হার ৫ দশমিক ৭ শতাংশে নামিয়ে আনতে পেরেছি। ৭ লাখ মানুষকে ঘর দিয়েছি। সাক্ষরতার হার বেড়েছে। মাথাপিছু আয় বেড়েছে। লোডশেডিংয়ের কারণে মানুষের কষ্ট হচ্ছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ নিশ্চিত করেছি। এরপরও বৈশ্বিকভাবে তেল, গ্যাস, কয়লার দাম বাড়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এখন কয়লাই পাওয়া যাচ্ছে না। আমাদেরও পেতে সমস্যা হচ্ছে। আগে যারা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরোধিতা করেছে এখন তারাও কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতে নজর দিয়েছে। আমি জানি গরমে অনেকের কষ্ট হচ্ছে। আমরা তো লোডশেডিং দূরই করে দিয়েছিলাম। করোনা আর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ না হলে এ সমস্যা হতো না। আমরা ইতিমধ্যে কাতার ও ওমানের সঙ্গে চুক্তি করেছি। যেন বিদ্যুতের কারণে মানুষের কষ্ট লাঘব করতে পারি। কারণ তারা ইতিমধ্যে সারাক্ষণ বিদ্যুতের মধ্যে থেকে অভ্যস্থ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে অনেক খরচ হয়। এতে সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে। যাতে সাধারণ মানুষ থেকে বড় লোকেরা সুবিধাভোগী বেশি হচ্ছে। তাই আমাদের বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের ওপর বারবার আঘাত, হামলা হয়েছে। আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে। ইয়াহিয়া খান চেষ্টা করেছে, জিয়াউর রহমান চেষ্টা করেছে, এরশাদ-খালেদা জিয়াও চেষ্টা করেছে আওয়ামী লীগকে কীভাবে ধ্বংস করা যায়। আওয়ামী লীগ এদেশের মানুষের সংগঠন হিসেবে গড়ে উঠেছে। তাই এই সংগঠনকে কেউ ধ্বংস করতে পারেনি, পারবেও না।
প্রতিকূল অবস্থায় চলতে চলতে আওয়ামী লীগ আজ সরকার গঠন করেছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ শুধু একটি দল নয়, আওয়ামী লীগ ইনস্টিটিউটের মতো। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে এদেশের উন্নতি হয়, এটাই বাস্তব।
তেজগাঁও শিল্প এলাকায় অবস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের নবনির্মিত কার্যালয়টি ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যালয় এবং জাতীয় নির্বাচনের সময় নির্বাচনী সমন্বয় কেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহার হবে বলে ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।
পাঠকের মতামত
She is the most stupid pm in the world.
আমেরিকায় যা পাচার হয়েছিল তার আশা ত্যাগ করলে সেখানে না গেলেও কোন সমস্যা নাই। শুনলাম ৫২ জনের ভিসা বাতিল করেছে, সেখানে নাকি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিও রয়েছে। আজ থেকে নতুন গন্তব্য নিয়ে চিন্তা করতে হবে।
Your son joy & his family living in USA
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি আমেরিকার ভিসার ব্যাপারে যে বক্তব্য দিয়েছেন আমি আপনার বক্তব্য সমর্থন করি আমি যেভাবেই বলি না কেন দেশের অভিভাবক হিসেবে আপনার এই সাহসী বক্তব্য কে হয়তো অনেকে সমর্থন করিবে বা অনেকে না-ও করিতে পারে কিন্তু দেশের জনগণের উদ্দেশ্য আপনাকে ক্লিয়ারলি বলিতে হবে কারণ প্রতিদিন পত্রিকার পাতায় দেখিবেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সংঘটনের পদ-পদবী ব্যবহার করে অনেক নেতা-কর্মীরা নিরীহ মানুষের উপর সামান্য কারণে বিভিন্ন ধরনের অমানবিক অত্যাচার নির্যাতন নিপীড়ন চালাইতেছে যে কারণে মানুষ অতিষ্ট হয়ে বাংলাদেশের ক্ষমতার পালাবদল চাই সুতরাং এখন থেকে আপনি দলের নেতা-পাতিনেতা দের বিরুদ্ধে জনগণের সাত্ত্বে কঠোর অবস্থান নিন।
তাহলে আপনার ছেলে আমেরিকায় কেন তাকে ফিরিয়ে আনুন
Moner kotha mone Rakhai valo chilo.
এই কথার অর্থ তারা একতরফা নির্বাচন করবে। আমেরিকা যদি আমাদের তৈরী পোষাকের উপর আমদানী নিষেধাজ্ঞদের তাহলে আমাদের গার্মেন্টস শিল্পের কি অবস্থা হবে একরার ভাবুন। আওয়ামীলীগ তো তত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করেছে, উচ্চ আদালত পর পর দুইবার তত্ত্বাবধােোকর অধিনে নির্বানের কথা বললেও ক্ষমতা হারানোর ভয়ে তা বাতিল করেছেন।
যারা দেশের টাকা পাচার করে আমেরিকা গিয়েছে তাদের ফিরিয়ে আনুন।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের অর্থ ? সুষ্ঠু নির্বাচন করব না, তাই যুক্তরাষ্ট্রে যাব না
মন্ত্রী ও তাদের বাচ্চারা এবং উচ্চ পর্যায়ের যারা আমেরিকা বসবাস করছে তাদের ফিরিয়ে আনুন। শুধু মেধাবী ছাত্র ছাত্রীরা যারা নিজেদের ক্ষমতা বলে আমেরিকা যেতে পারে, তারাই শুধু আমেরিকাতে যাক।
আমেরিকায় না গেলে কিচ্ছু আসে যায় না, সবচাইতে বড় কথা হলো আমাদের ক্ষমতায় থাকতে হবে যে কোন মূল্যে।
এই বক্তব্যের অর্থ কি? আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন করব না, তাই আমরা যুক্তরাষ্ট্রে যাব না
আপনার বক্তব্যর মাঝে ফুটে উঠেছে আপনি কতটুকু বেসামাল অবস্থায় আছেন। এক আমেরিকান ভিসা রিস্টিকেশনে এই অবস্থা ? আমেরিকান ভিসা রেস্টিকেশনে বুঝা যাচ্ছে যে এটা সরকারি দলের উপরে একটা আল্লাহর গজব ছাড়া আর কিছু নয় ? ছেলে, মেয়ে, আত্মীয়-স্বজন, নেতাকর্মী মন্ত্রী মিনিস্টার আমলা কামলা সবাই তো আমেরিকাতে আছে, আগে ওদের ফিরিয়ে আনুন, তারপর বক্তৃতা দিবেন। উন্নয়নের গুতাগুতিতে দেশের মানুষের রসাতল অবস্থা। কারেন্ট নাই পানি নাই গ্যাস নাই দ্রব্যমূল্যের উদ্যোগ গতি মানুষ খাইতে পারেনা ।
Bring back you son from the USA to Bangladesh first and then preach others because a good leader leads by example, which others will follow.
আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতি সহমত পোষন করছি