কলকাতা কথকতা
কুস্তিগিরদের সমর্থনে ক্রীড়াবিদদের সঙ্গে রাজপথে পদযাত্রায় মমতা
বিশেষ সংবাদদাতা, কলকাতা
(১ বছর আগে) ৩১ মে ২০২৩, বুধবার, ৬:২৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৩০ অপরাহ্ন

কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের গ্রেপ্তারের দাবিতে বুধবার কলকাতায় এক পদযাত্রায় হাঁটলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তিনবারের বিজেপি সংসদ সদস্য ব্রিজভূষণ তার পদমর্যাদার সুযোগ নিয়ে মহিলা কুস্তিগিরদের যৌন নির্যাতন করছেন, তাই তাকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়ে কুস্তিগিররা দিল্লির যন্তর মন্তরে অবস্থান করেছেন। সংসদের নতুন ভবন উদ্বোধনের দিন প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে পুলিশের দ্বারা নিগৃহীত হয়েছেন। সক্ষী মালিকের মতো রিও অলিম্পিকে পদকজয়ী, বিনেশ ফগতের মতো এশিয়ান গেমসে পদকজয়ী, বজরং পুনিয়ার মতো আন্তর্জাতিক পদকজয়ী মঙ্গলবার হারিদ্বারে তাদের পদক বিসর্জন দিতে চেয়েছিলেন। কৃষক আন্দোলনের নেতা রাকেশ টিকায়েত তাদের পাঁচদিন অপেক্ষা করতে বলেন। এই পাঁচদিনের প্রথম দিনেই কলকাতার বুকে আছড়ে পড়লো ক্রীড়াবিদদের মিছিল।
হাজরা মোড় থেকে রবীন্দ্র সদন এই কয়েক কিলোমিটার পথ ফুঁসে ওঠে খেলোয়াড়দের মিছিলে। মমতা বন্দোপাধ্যায় নিজে মিছিলের সঙ্গে পা মেলান ভবানীপুর থেকে। ছিলেন মিছিলের মূল উদ্যোক্তা রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। আরও ছিলেন প্রাক্তন ফুটবলার, ক্রিকেটারসহ সব স্তরের ক্রীড়াবিদ ও কর্মকর্তারা।
মমতা বন্দোপাধ্যায় মঙ্গলবার নবান্ন থেকে এই মিছিলের ঘোষণা করেছিলেন। রবীন্দ্র সদনে মিছিলের সমাপ্তি ঘোষণা করে মমতা জানান, যে কুস্তিগিররা দেশের জন্য আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা থেকে অনন্য সম্মান নিয়ে এসেছেন, তারা আজ হরিদ্বারে পদক বিসর্জন দিতে চাইছেন। কারণ, লম্পট-অত্যাচারী এক কর্মকর্তাকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার রক্ষাকবচ দিচ্ছে বলে। আজ বাংলার সব ক্রীড়াবিদ রাস্তায় নেমে কুস্তিগিরদের এই প্রতিবাদ ও দাবিকে সমর্থন করেছে। কাল থেকে ময়দানে গোষ্ঠ পাল মূর্তির পাদদেশে অবস্থান হবে। এভাবেই বাংলা প্রতিবাদী, পদকজয়ী কুস্তিগিরদের পাশে থাকবে। এদিনের সমাবেশে ব্রিজভূষণের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে বিভিন্ন ক্রীড়াবিদ ভাষণ দেন। মোহনবাগান অধিনায়ক প্রীতম কোটাল টুইট করেন কুস্তিগিরদের পাশে থাকবেন জানিয়ে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই দিল্লি থেকে জানাচ্ছে যে, দিল্লি পুলিশ অভিযুক্ত ব্রিজভূষণ সম্পর্কে এমন কোনও প্রমাণ পায়নি যার জন্য তাকে গ্রেপ্তার করা যেতে পারে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে তারা সুপ্রিম কোর্টের কাছে একটি রিপোর্ট দেবে যেটিকে চার্জশিট বলে ধরা যেতে পারে।