প্রথম পাতা
পাচার করা টাকাই রেমিট্যান্স হয়ে ফিরে আসছে: সিপিডি
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
২৮ মে ২০২৩, রবিবার
যুক্তরাষ্ট্র থেকে হঠাৎ রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়ে যাওয়াকে অস্বাভাবিক বলে মনে করছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। এতদিন মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব থেকে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এলেও বর্তমানে সে জায়গা আমেরিকার দখলে। শনিবার ধানম-িতে সিপিডি কার্যালয়ে ‘স্টেট অব দ্য বাংলাদেশ ইকোনমি’ শীর্ষক সভায় রেমিট্যান্স প্রবাহের চিত্র তুলে ধরে সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, এটা একেবারেই অস্বাভাবিক, কখনোই হয় না। কারণ, আমরা জানি আমাদের বেশির ভাগ রেমিট্যান্স কোথা থেকে আসে। গত ১০ মাসে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ৯ দশমিক ২২ লাখ মানুষ গেছে। সেখান থেকে প্রত্যাশা মতো রেমিট্যান্স আসছে না। লোক যাওয়া ও রেমিট্যান্সের মধ্যে মিসম্যাচ হচ্ছে। এতদিন সৌদি আরব থেকে বেশি রেমিট্যান্স এলেও যুক্তরাষ্ট্র এখন সে জায়গা দখল করেছে।
সিপিডি জানায়, ২০২১-২২ অর্থবছরের ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) সৌদি থেকে ৩ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এলেও চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে এসেছে ৩ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে (জুলাই-এপ্রিল) আমেরিকা থেকে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার, চলতি বছরের একই সময়ে তা বেড়ে ৩ দশমিক ০৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
ফাহমিদা খাতুন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে যারা যায় তাদের বেশির ভাগই হোয়াইট কালার জব করে।
সভায় অকটেন, জ্বালানি তেলের দাম নিয়ে আলোচনা হয়। সিপিডি জানায়, পেট্রোল, ডিজেলসহ জ্বালানির দাম গ্রাহক পর্যায়ে প্রতি লিটারে এখন ৫ থেকে ১০ টাকা কমানোর সুযোগ আছে। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে তেল কেনার পর বর্তমানে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) প্রতি লিটার ডিজেলে ৫ টাকা এবং প্রতি লিটার অকটেনে ১৩ টাকা মুনাফা করে। সিপিডি বলেছে, ২০১৫-১৬ থেকে ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত এই ৭ বছরে বিপিসি মোট ৪৩ হাজার ৮০৪ কোটি টাকা লাভ করেছে। কর দেয়ার পর নিট মুনাফা ৩৬ হাজার ৭৪ কোটি টাকা। আর এই সময়ে ৭ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা কর দিয়েছে বিপিসি।
এ বিষয়ে সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, সরকার দীর্ঘদিন ধরে জ্বালানি খাতে বেশি ভর্তুকি দিয়েছে। এখানে এখন কিছু করা যেতে পারে। যখন আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়ে, তখন দেশের বাজারে দাম বাড়িয়ে দেয়া হয়। কিন্তু যখন আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমে, তখন স্থানীয় বাজারে দাম কমানো হয় না।
সভায় সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, সাধারণ মানুষ ব্যবহার করে এমন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের শুল্ক সাময়িকভাবে কমানো হলে তারা স্বস্তি পাবে। সেক্ষেত্রে বাজার মনিটরিং প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম নি¤œমুখী হলেও দেশের বাজারে এর প্রভাব দেখা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, দরিদ্রদের প্রত্যক্ষ সহায়তার আওতা বাড়ানো দরকার। সঠিক ব্যক্তিরা সহায়তা পাচ্ছে কিনা, সেটাও নিশ্চিত করা প্রয়োজন। রপ্তানি বৃদ্ধির হার ইতিবাচক নয়। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হচ্ছে। মে ও জুন মাসে তা ৪১ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে হবে। যেটা খুবই কষ্টসাধ্য। তৈরি পোশাকবহির্ভূত পণ্য কম রপ্তানি হচ্ছে। টাকার অবমূল্যায়নের কারণে প্রতিযোগিতা বাড়ছে।
পাঠকের মতামত
খুব ভাল খবর। কপাল খুলে গেলে এমনিই হয়। বিনা মেঘে বৃষ্টি।
ইনসেনটিভ তথা বোনাস নিয়ে আবার পাচার নয়তো।
এক তরফা দৃষ্টিকোণ থেকে এই মন্তব্য বলে আমার বিশ্বাস। যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান নীতি এখানে বিবেচনা করা হয়নি । আমেরিকায় বহু দেশের অবৈধ অভিবাসীদের বসবাস। কাজ ও করে অবৈধ অভিবাসীরা । কিন্ত ইদানিং যুক্তরাষ্ট্র অবৈধ অভিবাসীদের ধরে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে । ব্যাংক গুলিও দেউলিয়া হচ্ছে তাই ব্যাংকে টাকা রাখা যেমন অনিরাপদ তেমনি বৈধ আত্মীয়দের কাছে রাখা ও নিরাপদ নয়। তাই অবৈধ অভিবাসীরা আপন দেশে টাকা রাখাই নিরাপদ মনে করে টাকা পাঠাচ্ছেন আমার বিশ্বাস।
So what. The money went out and now it is coming back. Our country needs it. Think about any inquiry later.