খেলা
‘বাকিদের নিয়ে হতাশা, দীপুকে নিয়ে প্রত্যাশা’
স্পোর্টস রিপোর্টার
২৬ মে ২০২৩, শুক্রবার
ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ‘এ’ দলের বিপক্ষে দুটি চারদিনের ম্যাচ খেলছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও স্বাগতিক ব্যাটারদের ব্যর্থতা চোখে পড়ার মতো। ‘এ’ দলের ব্যাটারদের নিয়ে হতাশ বিসিবি নির্বাচক প্যানেলের অন্যতম সদস্য হাবিবুল বাশার সুমনও। এই দলটাতে জাতীয় দলের কিছু খেলোয়াড় থাকায় তাদের প্রতি প্রত্যাশাও বেশি ছিল তার। কিন্তু সেই প্রত্যাশা মেটেনি জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়কের।
গতকাল শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সুমন বলেন, ‘এক্সপেকটেশন একটু বেশি। এই দলে কিন্তু কিছু কারেন্ট প্লেয়ার খেলছেন। কিছু ফিউচার প্লেয়ার খেলছেন। তাদের কাছে ফোর ডে ম্যাচের ব্যাটিং প্রত্যাশা একটু বেশি ছিল। অবশ্যই বলতে হবে, আমরা যথেষ্ট পাই নাই। বাট আরও একটা ইনিংস ম্যাচ বাকি আছে।
বাকি ব্যাটারদের ব্যর্থতার ভিড়ে নজড় কাড়েন শাহাদাত হোসেন দীপু। দুই ম্যাচে অসাধারণ ধৈর্য্য ও বল ছাড়ার দক্ষতা দেখান তিনি। চলতি ম্যাচেও দুই ইনিংসেই দীপুর ব্যাট থেকে আসে পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস। তাকে নিয়ে প্রশংসা ঝড়ে হাবিবুল বাশার সুমনের কণ্ঠে। দীপু অবশ্য বেশ লম্বা সময় ধরেই ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফর্ম করছেন। সেটাও উঠে আসলো সুমনের কথায়। সুমন বলেন, ‘হি লুকড অর্গনাইজড। লঙ্গার ভার্সনে যে রকম ব্যাটিং করতে হয়, দিপুকে দেখে ওই রকম মনে হয়েছে। ভেরি অরগানাইজড, টেকনিকেও বেশ ভালো। ওর ব্যাটিং বেশ ইমেপ্রসিভ।’
তিনি বলেন, ‘উইকেটটা কিন্তু অত সহজ ছিল না। কারণ, সিলেটে দুই ম্যাচেই ৬ মিলি গ্রাস রেখেছি। বেশ সিমিং কন্ডিশন। এই কন্ডিশনে কে কেমন ব্যাটিং করে দেখার বিষয় ছিল। দিপু তো ভালো ব্যাটিং করছে অনেক দিন ধরেই। আমাদের ফাস্ট ক্রিকেটেও ভালো ব্যাটিং করেছেন। সিমস লাইক, এইভাবে কন্টিনিউ করতে পারলে ভালো প্লেয়ার হতে পারে ফিউচারের জন্য।’
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের প্রথম ইনিংসেও ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। সেখানেও দীপু ছিলেন উজ্জ্বল। তার ৭৩ রানের ইনিংসই মান বাচায় স্বাগতিকদের। এরপর বোলিংয়ে নেমে ক্যারিবিয়ানদের ৩৪৫ রানে গুটিয়ে দেয় স্বাগতিকরা। বাংলাদেশের হয়ে চার উইকেট নিয়ে সেরা বোলার পেসার তানজিম হাসান সাকিব। এছারা জোড়া উইকেট নেন সাইফ হাসান। ১০৮ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দলীয় ৩০ রানে ফেরেন ওপেনার জাকির হাসান। ২১ রানের ব্যবধানে সাইফ হাসানও ফিরলে চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। এরপর মোহাম্মদ নাঈমকে নিয়ে হাল ধরেন আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম। দুজনে মিলে গড়েন ৫৬ রানের জুটি। দলীয় ১০৭ রানে ফেরার আগে ২৮ রান করেন নাঈম।
দারুণ খেলতে থাকা সাদমান বিদায় নেন দলীয় ১৭৫ রানে। এই ইনিংসে তার ব্যাট থেকে আসে ৭৪ রানের ঝলমলে ইনিংস। সাদমান ফেরার পর মাত্র পাঁচ রানের ব্যবধানে ফেরেন অধিনায়ক আফিফ হোসেনও। এরপর ইরফানকে নিয়ে নতুন জুটি গড়েন দীপু। তবে দলীয় ২০৯ রানে ফিরতে হয় তাকে। ক্যারিবিয়ান বোলার সিনক্লেয়ারের বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়ে ফেরার আগে করেন ঠিক ৫০ রান। এরপর নাঈম হাসানকে নিয়ে দিনের বাকি সময় পার করেন ইরফান। দিনশেষে ইরফান ৬৪ ও নাঈম অপরাজিত আছেন ১৪ রানে। আজই ম্যাচের শেষদিন।