ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অনলাইন

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের দীর্ঘ পথ

মানবজমিন ডিজিটাল

(১ বছর আগে) ১ এপ্রিল ২০২৩, শনিবার, ১:৫৪ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৮ পূর্বাহ্ন

mzamin

ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলার শুনানি থেকে নিউইয়র্কের গ্র্যান্ড জুরি কয়েক সপ্তাহ বিরতি নিয়েছিলো। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির আইনজীবীরা বুধবার বিকেল পর্যন্ত বিশ্বাস করেছিলেন হয়তো প্রতিকারের কোনো উপায় রয়েছে। ট্রাম্প নিজেও এই বিলম্বের প্রশংসা করেছেন। ম্যানহাটন জেলা অ্যাটর্নি অ্যালভিন ব্র্যাগের অবশ্য অন্য পরিকল্পনা ছিল। বৃহস্পতিবার বিকেলে, ব্র্যাগ গ্র্যান্ড জুরিকে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বলেন। এই প্রথমবার একজন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে অভিযোগের কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে। তবে ব্র্যাগের আশ্চর্যজনক পদক্ষেপটি তদন্তকে চূড়ান্ত মোড়ে দাঁড় করিয়েছে। গত সপ্তাহের শুরুর দিকে ট্রাম্প নিজে বলতে শুরু করেন তাকে "গ্রেপ্তার" করা হতে পারে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলিও একজন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিকে গ্রেপ্তার করার জন্য প্রস্তুত ছিল। কিন্তু আইনজীবী রবার্ট কস্টেলোর সাক্ষ্য দেওয়ার পরে- যিনি ট্রাম্পের প্রাক্তন অ্যাটর্নি এবং ফিক্সার মাইকেল কোহেনের বিশ্বাসযোগ্যতা হ্রাস করতে চেয়ে ট্রাম্পের পক্ষে হাজির হয়েছিলেন - ব্র্যাগ সেই পরিকল্পনায় জল ঢেলে দেন।

বিজ্ঞাপন
একাধিক সূত্র সিএনএনকে জানিয়েছে-কস্টেলোর সাক্ষ্য ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির অফিসকে পুনর্মূল্যায়ন করতে বাধ্য করেছিল যে কস্টেলোই শেষ সাক্ষী হওয়া উচিত কিনা। পরের দিন গ্র্যান্ড জুরির সাথে কস্টেলোর দেখা হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সেদিন বিচারকদের আসতে বারণ করা হয়। হাতে সময় পেয়ে ব্র্যাগ এবং তার শীর্ষ প্রসিকিউটররা একটি কৌশল নির্ধারণের জন্য সপ্তাহের বাকি সময় কাজে লাগান যাতে কস্টেলোর সাক্ষ্যকে তারা মোকাবেলা করতে পারেন। তারা আরও দুজন সাক্ষীকে ডেকেছে। ন্যাশনাল এনকোয়ারার প্রকাশকারী সংস্থার প্রাক্তন প্রধান ডেভিড পেকার সোমবার হাজির হন। অন্য সাক্ষী, যাঁকে এখনও শনাক্ত করা যায়নি, বৃহস্পতিবার গ্র্যান্ড জুরির সামনে ৩৫ মিনিটের সাক্ষ্য দিয়েছেন। ব্র্যাগ তার অভিযোগ বিচারকদের কাছে পুনর্বিবেচনা করার কথা বলতে পারে ভেবে, সকলেই সচেতন ছিলো। ট্রাম্পের কিছু উপদেষ্টা এমনকি গ্র্যান্ড জুরি বিরতি নিচ্ছে এমন সংবাদের পরে বুধবার পাম বিচ ত্যাগ করেছিলেন। কিন্তু পাশা পাল্টে যায়। অভিযুক্ত হওয়ার পরে, ট্রাম্প তার স্ত্রী মেলানিয়ার সাথে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাতের খাবার খেয়েছিলেন এবং তার মার-এ-লাগো ক্লাবে অতিথিদের অভ্যর্থনা জানানোর সময় হেসেছিলেন বলে শোনা যায়। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ম্যানহাটনের জেলা অ্যাটর্নির তদন্ত বছরের পর বছর ধরে চলছে, ব্র্যাগের পূর্বসূরি সাই ভ্যান্সও এর সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। ২০২০ সালের নির্বাচনকে উল্টে দেওয়ার প্রচেষ্টা এবং ফ্লোরিডায় তার শ্রেণিবদ্ধ নথিগুলি পরিচালনা উভয় বিষয়ে ওয়াশিংটন ডিসি এবং জর্জিয়াতে অতিরিক্ত তদন্তের মধ্যে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে ম্যানহাটন জেলা অ্যাটর্নির মামলাটি সবচেয়ে শক্তিশালী কিনা তা নিয়ে ট্রাম্প সমালোচকদের মধ্যেও প্রশ্ন রয়েছে। ট্রাম্প এখনও সেই তদন্তগুলিতেও অভিযোগের মুখোমুখি হতে পারেন, যা নিউ ইয়র্কের অভিযোগ থেকে পৃথক। কিন্তু ম্যানহাটনের অভিযোগ ২০১৬ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে করা অর্থপ্রদানের সাথে সম্পর্কিত, যা ২০২৪ সালে হোয়াইট হাউসের লড়াইয়ের আগে ট্রাম্পকে প্রথমবারের মতো ফৌজদারি অভিযোগের মুখোমুখি ফেলতে পারে।

গোপনে ১ লক্ষ ৩০ হাজার ডলার প্রদান

২০১৬ সালের নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে যখন ট্রাম্পের তৎকালীন আইনজীবী কোহেন প্রাপ্তবয়স্ক চলচ্চিত্র অভিনেত্রী স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ট্রাম্পের সাথে একটি অভিযোগ সম্পর্কে নীরব থাকার জন্য ১ লক্ষ ৩০ হাজার ডলার প্রদান করেছিলেন। কোহেনকে পরবর্তীতে ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের দ্বারা৪ লক্ষ ২০ হাজার ডলার ফেরত দেওয়া হয়েছিল, বোনাস সমেত। সেই অর্থপ্রদান তদন্তের মূল বিষয়। ন্যাশনাল এনকোয়ারারের প্রকাশককে ১ লক্ষ ৫০ হাজার ডলার প্রদান করেছিলেন কোহেন  যাতে কারেন ম্যাকডুগালের সাথে ট্রাম্পের ১০ মাসের সম্পর্ক নিয়ে লেখা বই প্রকাশিত না হয়। ২০১৮ সালে নিউইয়র্কে ফেডারেল প্রসিকিউটররা যখন কোহেনকে অভিযুক্ত করেছিলেন তিনি  দোষ স্বীকার করেন এবং জানান  ট্রাম্পের নির্দেশেই এই কাজ করেছিলেন। ২০২১সালে, ট্রাম্প হোয়াইট হাউস ছেড়ে যাওয়ার পরে, নিউইয়র্কের দক্ষিণ জেলার প্রসিকিউটররা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সেই সময়ে, ফেডারেল প্রসিকিউটররা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে তারা একজন বর্তমান রাষ্ট্রপতিকে চার্জ করার বিরুদ্ধে মার্কিন বিচার বিভাগের প্রবিধানের কারণে  ট্রাম্পকে অভিযুক্ত  প্রমাণ করতে পারবেন না।কিন্তু ততদিনে ম্যানহাটন জেলা অ্যাটর্নি ভ্যান্সের দল ইতিমধ্যেই চুপচাপ অর্থ প্রদানের তদন্ত শুরু করেছে এবং সম্ভাব্য রাষ্ট্রীয় আইন লঙ্ঘনের দিকে নজর দেওয়া শুরু করেছে। ২০১৯ সালের গ্রীষ্মের মধ্যে, তারা ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের অন্যান্য সাক্ষীদের কাছে সাবপোনা পাঠিয়েছিল এবং কোহেনের সাথে দেখা করেছিল, যিনি তিন বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন।নিউইয়র্কের প্রসিকিউটররা তার দীর্ঘকালীন অ্যাকাউন্টিং ফার্ম মাজারস ইউএসএ থেকে ট্রাম্পের ট্যাক্স রেকর্ডের জন্য একটি সাবপোনা কার্যকর করতে দুবার সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন।ভ্যান্স ২০২১ সালের শেষের দিকে গ্র্যান্ড জুরির কাছে প্রমাণ উপস্থাপন করার জন্য দলের অ্যাটর্নিদের অনুমোদন করেছিলেন, শেষমেষ মামলা চালিয়ে যাবার দায়িত্ব তিনি সদ্য নির্বাচিত জেলা অ্যাটর্নি ব্র্যাগের কাছে ছেড়ে দেন।

ব্র্যাগ দায়িত্ব নেওয়ার পর পদত্যাগ

ডেমোক্র্যাট ব্র্যাগ ২০২২ সালের জানুয়ারিতে অফিসের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার মেয়াদের দুই মাসেরও কম সময়ে, ভ্যান্সের অধীনে ট্রাম্পের মামলায় কাজ করা দুই শীর্ষ প্রসিকিউটর মতবিরোধের জেরে  হঠাৎ পদত্যাগ করেন। ২০২২ সালের ২২ফেব্রুয়ারি ব্র্যাগ প্রসিকিউশন দলকে জানিয়েছিলেন যে তিনি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুমোদন করতে প্রস্তুত নন। প্রসিকিউটর কেরি ডান এবং মার্ক পোমেরান্তজ এর পরের দিন পদত্যাগ করেন। তার পদত্যাগ পত্রে, পোমেরান্তজ বলেছিলেন যে তিনি বিশ্বাস ট্রাম্প অসংখ্য অপরাধের জন্য দোষী। ব্র্যাগের সেই সময়ে   অভিযোগ নিয়ে এগিয়ে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত "ভুল" এবং "বিচারের গুরুতর ব্যর্থতা"-কে প্রমাণিত করে। সেই মুহুর্তে, তদন্তটি ট্রাম্পের আর্থিক বিবৃতি এবং তার সম্পত্তির মূল্য সম্পর্কে মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদানের ওপরদৃষ্টি নিক্ষেপ করেছিলো। তিনি জেনেশুনে ঋণদাতা, বীমাকারী এবং অন্যদের বিভ্রান্ত করেছেন কিনা তা। খতিয়ে দেখা হচ্ছিলো। সেইসময়ে ডান এবং পোমেরান্তজ মিথ্যা ব্যবসায়িক রেকর্ডের মামলায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার জন্য চাপ দিয়েছিলেন, কিন্তু কিছু  প্রসিকিউটর সহ অন্যরা সন্দিহান ছিলেন যে ট্রাম্পের অপরাধমূলক অভিপ্রায় প্রমাণ করতে অসুবিধার কারণে উল্টে তারা বিচারে দোষী সাব্যস্ত হতে পারে।

চাপের মুখে ব্র্যাগ
ট্রাম্পের মামলায় প্রসিকিউটরদের পদত্যাগ সত্ত্বেও, ব্র্যাগের অফিস সেই সময়ে পুনর্ব্যক্ত করেছিল যে তদন্ত চলছে। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ব্র্যাগের ফৌজদারি তদন্ত গত বছর দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার একই সময়ে, ট্রাম্প সংস্থার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা  সামনে আসে। ডিসেম্বরে দুই ট্রাম্প অর্গানাইজেশনকে ১৭ টি মামলার  বিচারে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল এবং পরবর্তী মাসে ১.৬ মিলিয়ন ডলার জরিমানা প্রদানের আদেশ দেওয়া হয়েছিল।ওই মামলায় ট্রাম্পকে ব্যক্তিগতভাবে অভিযুক্ত করা হয়নি। তবে এটি ব্র্যাগের দলকে ট্রাম্প এবং নীরব অর্থ প্রদানের দিকে তাদের ফোকাস তীক্ষ্ণ করার জন্য উত্সাহিত করেছে। ম্যানহাটনের প্রসিকিউটরদের সাথে দেখা করার জন্য কোহেনকে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। তদন্ত চলাকালীন কোহেন এর আগে ১৩ বার জেলা অ্যাটর্নির অফিসে প্রসিকিউটরদের সাথে দেখা করেছিলেন। কিন্তু জানুয়ারির বৈঠকটি এক বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে প্রথম ছিল এবং প্রসিকিউটররা কোন দিকে এগোচ্ছেন তার একটি স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলছিলো। তদন্তকারীরা ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করার জন্য ব্র্যাগকে চাপের মুখে ফেলেন। প্রসিকিউটর পোমেরান্তজ পদত্যাগ করার পর তদন্ত সম্পর্কে একটি বই প্রকাশ করেছিলেন। যাতে তিনি লিখেছিলেন  ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করা উচিত এবং তা করতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য ব্র্যাগের সমালোচনা করেন তিনি । ব্র্যাগের দ্বিধা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, পোমেরান্তজ বলেছিলেন: "আমি তার মনের মধ্য দিয়ে কী হয়েছিল সে সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে পারবো না। সেই সময়ে কী ঘটেছিল এবং মামলার শক্তি সম্পর্কে তার সন্দেহের কারণে তিনি যে বিবৃতি দিয়েছিলেন তা থেকে আমি কিছুটা অনুমান করতে পারি।”যদিও ব্র্যাগ একটি বিবৃতিতে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন যে মামলাটি নিয়ে আরও কাজ করা দরকার। ন্যাশনাল এনকোয়ারার প্রকাশকারী আমেরিকান মিডিয়া ইনকর্পোরেটেডের প্রাক্তন প্রধান পেকার সহ প্রসিকিউটররা সাক্ষীদের আনা অব্যাহত রেখেছে।ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের  নিয়ন্ত্রক জেফরি ম্যাককনি গ্র্যান্ড জুরির সামনে সাক্ষ্য দিয়েছেন। কেলিয়ান কনওয়ে এবং হোপ হিকস সহ ট্রাম্পের ২০১৬ প্রচারাভিযানের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।কোহেন, প্রসিকিউটরদের সাথে তার অসংখ্য বৈঠকের পরে, অবশেষে মার্চ মাসে গ্র্যান্ড জুরির সামনে সাক্ষ্য দেন।

চূড়ান্ত সাক্ষী এবং একটি ঐতিহাসিক ভোট

মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে, প্রসিকিউটররা ইঙ্গিত দিয়েছিলো যে তদন্তটি শেষের দিকে - তারা ট্রাম্পকে গ্র্যান্ড জুরির সামনে উপস্থিত হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে। নিউ ইয়র্কের অপরাধী আইন অনুসারে চার্জ গঠনের পর একটি গ্র্যান্ড জুরির সামনে আসামিকে হাজির হওয়া প্রয়োজন।পর্দার আড়ালে থেকে ট্রাম্পের অ্যাটর্নি সুসান নেচেলেস সিএনএনকে বলেছিলেন যে তিনি নিউইয়র্কের প্রসিকিউটরদের সাথে দেখা করেছিলেন। 

কেন ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করা উচিত নয় সেই বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছিলেন এবং প্রসিকিউটররা জানান যে নির্দিষ্ট অভিযোগগুলি উঠেছে তা তারা বিবেচনা করছেন। ট্রাম্প, ইতিমধ্যে বিপদ বুঝতে পেরে সোশ্যাল মিডিয়ায় উপস্থিত যান। ১৮ মার্চ ব্র্যাগকে আক্রমণ করা একটি পোস্টে, ট্রাম্প বলেছিলেন যে "নেতৃস্থানীয় রিপাবলিকান প্রার্থী এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিকে আগামী সপ্তাহের মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করা হবে।" 

ট্রাম্প ব্র্যাগের বিরুদ্ধে মৌখিক অপমান অব্যাহত রেখেছিলেন, তাকে " সাইকোপ্যাথ" বলে অভিহিত করেছিলেন। সবচেয়ে শক্তিশালী হাউস কমিটির চারজন রিপাবলিকান চেয়ারম্যান ব্র্যাগকে সাক্ষ্য দিতে বলেছিলেন, যা এই তদন্তকে ধারে ও ভারে অভূতপূর্ব পর্যায়ে নিয়ে যায় ।

অভিযুক্ত হওয়ার পরে বিক্ষোভের জন্য ট্রাম্পের আহ্বান জেলা অ্যাটর্নির অফিস, নিউ ইয়র্ক পুলিশ বিভাগ এবং নিউইয়র্ক স্টেট কোর্ট অফিসারদের  বৈঠকে বসতে বাধ্য করে। ম্যানহাটনের ফৌজদারি আদালত ভবনে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। ট্রাম্পের আইনজীবীরাও  অভিযোগ ঠেকানোর জন্য শেষ চেষ্টা করেছিলেন। এর মধ্যেই একটি সন্দেহজনক সাদা পাউডার এবং ব্র্যাগের মৃত্যুর হুমকি সম্বলিত একটি খাম সেই বিল্ডিংয়ে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল যেখানে গ্র্যান্ড জুরি মিলিত হয়েছিল। গ্র্যান্ড জুরি সোমবার২৭ মার্চ পর্যন্ত আর দেখা করবে না বলে জানিয়ে দেয়। কিন্তু মিডিয়ার নজর এড়িয়ে পেকারকে একটি সরকারি গাড়িতে গ্র্যান্ড জুরির কাছে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। পেকার, ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের বন্ধু। তিনি ন্যাশনাল এনকোয়ারারে থাকাকালীন তথাকথিত "ক্যাচ অ্যান্ড কিল" চুক্তি করার ইতিহাস গড়েছিলেন।  তিনি শুরু থেকেই ড্যানিয়েলসের চুক্তির সাথে জড়িত ছিলেন।পেকারের সাক্ষ্য দেওয়ার দুই দিন পরে, একাধিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিলো   যে গ্র্যান্ড জুরি এপ্রিলে একটি পূর্ব-পরিকল্পিত বিরতিতে যাচ্ছে। গ্র্যান্ড জুরির  বৃহস্পতিবার দেখা করার কথা ছিল তবে ট্রাম্প মামলার শুনানি হবে বলে আশা করা হয়নি।
গ্র্যান্ড জুরি বৃহস্পতিবার সবাইকে অবাক করে দিয়ে ট্রাম্প মামলার একজন শেষ সাক্ষীর কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য  শুনেছেন, যার পরিচয় এখনও অজানা। এরপরেই  গ্র্যান্ড জুরি একজন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এবং২০২৪ সালের হোয়াইট হাউসের প্রার্থীকে অভিযুক্ত করার জন্য ভোট দিয়ে আমেরিকান রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে নাড়িয়ে দিয়েছেন।

সূত্র : সিএনএন

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status