বিনোদন
রুচি ও মূল্যবোধের ভীষণ অবক্ষয় চলছে, মামুনুর রশীদের সঙ্গে একমত অভিনয় শিল্পী সংঘ
স্টাফ রিপোর্টার
(২ মাস আগে) ৩০ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১২:৩০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৭:০৯ অপরাহ্ন

এখন রুচির দুর্ভিক্ষ চলছে। এর মধ্য দিয়েই হিরো আলমের উত্থান হয়েছে- সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেছিলেন নাট্যকার, অভিনেতা ও সংগঠক মামুনুর রশীদ। যা নিয়ে নেট দুনিয়া রীতিমত তোলপাড়। এমন মন্তব্যের জন্য নাট্যাঙ্গনের বেশীরভাগ মানুষের কাছে বাহবা পেলেও কিছু মানুষ কড়া সমালোচনা করছেন। হিরো আলম নিজেও ফেসবুকে লাইভে এসে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন! নাট্যজন মামুনুর রশিদের বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে নাটকের শিল্পীদের সংগঠন অভিনয় শিল্পী সংঘ। একটি লিখিত বিবৃতিতে তারা জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের অগ্রজ নাট্যজন, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, আমাদের সবার প্রিয় শ্রদ্ধার ভালোবাসার অভিনয়শিল্পী, অভিনয়শিল্পী সংঘ বাংলাদেশের সম্মানিত উপদেষ্টা জনাব মামুনুর রশীদ একটি সাক্ষাৎকারে সাম্প্রতিক সময়ের আমাদের দেশের শিল্পসাহিত্য, রাজনীতি, সমাজনীতি, অর্থনীতি সহ নানান বিষয়ে বিশদ আলোচনা করেন। বিশেষ করে আমাদের শিল্প সাহিত্য নাটক ও চলচ্চিত্রে সাম্প্রতিক রুচির যে অবনমন, যে ধরনের বিষয়বস্তু প্রাধান্য পাচ্ছে ও আলোচিত হচ্ছে তা নিয়ে তিনি শংকিত হয়ে বলেছেন, আমাদের রুচির দুর্ভিক্ষ চলছে, উদাহরণ হিসেবে প্রতিকী অর্থে একটি নাম বলেছেন। তিনি কোনোভাবেই কোনো ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করে বলেননি বলেই আমরা বিশ্বাস করি। বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বিকাশে একজন মামুনুর রশীদ এর অবদান অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি তার সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেছেন বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বিকাশে।
পাঠকের মতামত
‘রুচি ও মূল্যবোধের ভীষণ অবক্ষয় চলছে। অদ্ভুত এক আঁধার পৃথিবীতে আজ!’ এর কারন হলো, মামুনুর রশীদদের মতো লোকদের ঘৃণ্য দালালী! দেশে একটা সাক্ষাৎ ভোটচোর ক্ষমতা দখল করে বসে আছে আর এই দালালেরা নিশ্চুপ। সেই ভোটচোর যখন রুচিহীন খিস্তি-খেউড় করে তখন এরা নির্বাক। ঐসব খিস্তি-খেউড়ে এদের রুচিতে টোকা লাগে না। অথচ হিরো আলম এদের কাছে ‘রুচিহীন’, কারন এই ক্ষীন শীর্ণ কদাকার হিরো আলম এদের ভাত মেরেছে! মামুনুররা হিরো আলমের কাছে পরাজিত!
মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণেই কারও প্রতিভাকে মূল্য দিতে কষ্ট লাগে।
একজন চা বিক্রেতা যদি প্রধানমন্ত্রী হতে পারে তাহলে হিরো আলম কেন হিরো আলম হতে পারবে না। হিরো আলম মোটে আওলীগের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে আর সিলেকশন নির্বাচন এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে এটাই তার অপরাধ। হিরো আলমের সততা আছে সে মামুনের মত সত্বা বিক্রি করে না।
এক কথায় হিরো আলম বাংলার হিরো ভন্ডদের চেয়ে হিরো আলম অনেক অনেক ভালো হিরো আলমের প্রতি শুভ কামনা রইলো
মামুনুর রশিদের কপি করা (যেটা তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন যে, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের কথা) বক্তব্য ঠিক ছিল শুধু মাত্র দেশের মানুষের দুর্নীতির দুর্ভিক্ষের কথা কিন্তু সঠিক ছিলনা সেই দুর্ভিক্ষের রং হিরো আলমের গায়ে মেখে তাকে দাঁড় করা ? দেশে দুর্নীতির দুর্ভিক্ষ চলছে কিন্তু সেটা যাঁদের কারণে দুর্ভিক্ষের দুর্নীতি চলছে তাদের বিরুদ্ধে তিনি কথা বলতে পারছেন না কিন্তু বোঝা চাপাচ্ছেন হিরো আলমকে দিয়ে, কারণ সে দুর্বল বিধায় ? এই সমাজে নাগরিক অধিকার সবাইর সমান কি হিরো আলম কি মামুনুর রশীদ ? সাধা কালো মেঘে সবাই জড়িত কেউ বেশি কেউ কম। তিনি নাম না নিয়েও কিন্তু কথা গুলো বলতে পারতেন ? কিন্তু সরাসরি একজন ব্যাক্তিকে আঘাত করা এটা মোটেই গ্রহণ যোগ্য হতে পারে না এবং অধিকার নেই। মানবিক অধিকারে হিরো আলম কিন্তু মামলাও করতে পারেন, সে অধিকার একজন ব্যাক্তি হিসাবে তার আছে ? হিরো আলম যে সমাজ থেকেই আসুন না কেন, সে মানুষ এটা ভুললে চলবে না ! শিল্প সংঘের বর্তমান পরিস্থতিতে তাদের ব্যাবসা বাণিজ্যের দুর্ভিক্ষ চলছে, একথা অস্বীকার করা যাবে না কিন্তু সে জন্য শুধু হিরো আলমকে দোষারোপ করা যাবে না ? এজন্য দায়ী আধুনিক ডিজিটাল যুগ যে যুগে মানুষ টেলিফোনের ভিতর হাজার রকম বিনোদন পান। এযুগের উঠি বয়স্ক যুবক যুবতীরা গুটি কয়েক অভিনয় শিল্পী, অভিনেত্রী,নাট্যকার, নাট্যশিল্পীর বা পরিচালকের ছবি না দেখে বিনোদন বিকেন্দ্রীকরণের দিক ঘুরিয়ে দিচ্ছেন। হিরো আলমের চেয়ে এমন কিছু অপসংস্কৃতি ডিজিটাল যুগে আবির্ভাব হয়েছে যে গুলো অল্প বয়স্ক ছেলেমেয়েদের আকৃষ্ট করে। আমরা যদি এককভাবে হিরো আলমকে দোষ করি তাহলে বুঝা যাবে এই সমস্ত বিখ্যাত মণীষীদের হিরো আলমের কাছে হার মানতে হয়েছে ? আপনাদের (মণীষীদের) মধ্যে যদি এমন কিছু বিনোদন বিকেন্দ্রীকরণের উপকরণ থাকে সেগুলো উপস্থাপন করুন,দেখবেন হিরো জিরোতেই থাকবে কিন্তু তা না করে অসুলভমুলক কথা বলে নিজেদেরকেই ছোটো করছেন ? আপনাদের এই চলচ্চিত্রে জগতে এখন সেই পরিচালক, লেখক,লেখিকা,সুরকার, নায়ক নায়িকা এবং অন্যান্যরা সবাই ভাল্লুক করে জড়িত, তাই সমাজ আজ আপনাদের ঘৃনা করে সমাজ আপনাদের চরিত্রকে ঘৃনা করে,অবজ্ঞা করে, যুব সমাজ আপনাদের পদচারণে নিমগ্ন হতে পারে,যেটা ভবিৎসত প্রজন্মকে ধ্বংস করতে পারে। হিরো আলমকে নিয়ে না ভেবে আপনাদেরকে নিয়ে ভাবুন। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালু কোন ভেঙ্গে গেলেও কিছু হয়না কিন্তু পাহাড় পর্বত ভেঙ্গে গেলে সবই ধ্বংস হয়।
সত্য আর সততা যেখানে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় সেখানে রুচির খোঁজ করা নিতান্তই হাস্যকর
সুশীল সমাজ কি এর দায় এড়াতে পারেন। দেশের মূর্খ মানুষের রুচিসম্মত বিনোদন উপহার দিয়ে রুচির উন্নয়ন করেছেন কি ?
অবক্ষয় না হলে ভোট ডাকাতরা ক্ষমতায় থাকতে পারত?
নীতি আর আদর্শের নাটকে অভিনয় করলেই নীতিবান হওয়া যায়না । মুখোশ পরা বক ধার্মিক লোকের মুখোশ উন্মোচন হলে তার কথা মূল্যহীন ।
মানুষের ক্ষোভের জায়গাটা সম্ভবত তার এই মন্তব্যের জন্য নয় বরং উনার মত ব্যক্তিত্বরা সমাজের সব অসংগতি নিয়ে সোচ্চার থাকেন কেন? এটাই বেশীর ভাগ মানুষের বক্তব্য ।
মামুনুর রশীদ আর হিরো আলম দুজনেই আমার খুব প্রিয় । কোন দিকে যাই। সৃষ্টির সেরা জীব কে নিয়ে মন্তব্য করার দুঃসাহস।।। অসম্ভব । সবাই ভালো থাকুন। পৃথিবীতে অস্থায়ী জীবন নিয়ে আর কতদিন।