প্রথম পাতা
ইভিএম নিয়ে অন্ধকারে ইসি
স্টাফ রিপোর্টার
২১ মার্চ ২০২৩, মঙ্গলবার
নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, ইভিএম নিয়ে কী হবে না হবে জানি না। উই আর ইন ডার্ক (আমরা অন্ধকারে)। সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। আনিছুর রহমান বলেন, গত ১৫ই মার্চের কমিশন বৈঠকে আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটা চিঠি দেয়ার জন্য বলেছি। ১ লাখ ১০ হাজার ইভিএম মেরামতের জন্য ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকার মতো লাগবে। সেটা পাওয়া যাবে কিনা নিশ্চিত করার জন্য আমরা একটি চিঠি দিতে বলেছি। চিঠিটি প্রস্তুত রয়েছে। আগামীকাল (আজ মঙ্গলবার) চিঠিটি দেয়া হতে পারে।
কেন এই চিঠি দিচ্ছেন-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা এখনো টাকার নিশ্চয়তা পাইনি। কাজেই টাকার নিশ্চয়তা না হলে আমরা চিঠি দেবো। টাকার নিশ্চয়তা যদি পাওয়া যায়, আমরা এই অর্থবছরে অর্ধেক দেয়ার জন্য ও পরবর্তী অর্থবছরে বাকিটা দেয়ার জন্য একটা প্রস্তাব পাঠাচ্ছি। যদি অর্থ বিভাগ টাকার সংস্থান করে তাহলে আমরা ইভিএমের ব্যাপারে সিদ্ধান্তে উপনীত হবো। অন্যথায় যদি টাকা না পাওয়া যায় তাতেও আমাদের সিদ্ধান্তে আসতে হবে কী করবো। মানে ব্যালটে কতো আসনে নির্বাচন করবো বা আদৌ ইভিএমে নির্বাচন করবো কিনা। সবটাই নির্ভর করবে অর্থ প্রাপ্তির ওপর।
কবে নাগাদ এই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা তো একেবারে অনির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বসে থাকতে পারবো না। ইভিএম প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) বলেছে যে, মেরামত করার জন্য তাদের ছয় মাস সময় দিতে হবে। কাজেই আমরা তো মনে করি এখনই হাই টাইম। তিনি বলেন, টাকা পাওয়া বা না পাওয়ার (চিঠির জবাব) ব্যাপারটি যদি আমরা আগামী কিছুদিনের মধ্যে কিংবা আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে নিশ্চিত হতে পারি তাহলে হাতে ছয় মাস সময় পাবো। অন্যথায় কিন্তু সময় পাবো না। ছয় মাস সময়ের পরে টাকা দিলে তো আমাদের লাভ হবে না। কারণ ১ লাখ ১০ হাজার মেশিন যদি আমরা ব্যবহারযোগ্য করতে পারি তাহলে ৭০-৮০ আসনে ইভিএমে নির্বাচন করতে পারবো। তা না হলে তো পারবো না। সেক্ষেত্রে কী করা হবে তখন সিদ্ধান্ত নেবো। আশা করছি, সরকার হয়তো টাকার ব্যবস্থা করবে।
সরকার কোনো বরাদ্দ না দিলে কী করবেন-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তখন আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। এটা আবার কমিশনে আসবে, কমিশন তখন যে সিদ্ধান্ত নেবে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে। সেটা এখন বলার সুযোগ নেই।
এদিকে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণের খসড়ার ওপর দাবি ও আপত্তি-সম্পর্কিত ১৮০টি আবেদন পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ইসি আনিছুর রহমান। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ১৮০টি আবেদন জমা পড়েছে। ইসি’র বিভিন্ন দপ্তরে খোঁজ নেয়া হচ্ছে আরও কোনো আবেদন আছে কিনা। এখন আবেদনগুলো আসনভিত্তিক বিন্যাস করা হবে। কোন আসনে কতোটি আবেদন পড়েছে, তখন তা জানা যাবে। এক আসনে একাধিক আবেদন থাকতে পারে। আনিছুর রহমান বলেন, আসনভিত্তিক বিন্যাস করতে কয়েকদিন সময় লাগবে। আবেদনগুলো আসনভিত্তিক বিন্যাসের পর কমিশন শুনানির ব্যবস্থা করবে।