শেষের পাতা
মেয়েকে ঢাকায় পৌঁছে দেয়া হলো না পিতার
হায়দার আলী, শিবচর (মাদারীপুর) থেকে
২১ মার্চ ২০২৩, মঙ্গলবার
গোপালগঞ্জ সদরের পাঁচুরিয়া এলাকার মো. মাসুদ মিয়া। এসেনশিয়াল ড্রাগসের নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কর্মরত তিনি। তার মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সুইটিকে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন ঢাকায়। রোববার ভোরে গোপালগঞ্জ থেকে উঠেছিলেন ইমাদ পরিবহনের বাসটিতে। দুর্ঘটনায় তিনি বেঁচে গেলেও হারিয়েছেন মেয়েকে। শোকে বিহ্বল পিতা মাসুদ মিয়া বাকরুদ্ধ যেন। আহতাবস্থায় শিবচরের পাঁচ্চর ইসলামিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
তিনি জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মেয়েকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল তার। মেয়ে সুইটি ইংরেজি বিভাগের ২য় বর্ষে পড়তেন। ঢাকার মিরপুরে একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন মেয়ে। মো. মাসুদ মিয়া আহাজারি করতে করতে বলেন, ‘মেয়েকে ঢাকায় পৌঁছে দেয়া হলো না! আমাকে ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে গেলো।
বিজ্ঞাপন
এদিকে দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে বের করতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিএম) পল্লক কুমার হাজরাকে প্রধান করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিতে জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রতিনিধিরা থাকবে। আগামী দুই কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে দুর্ঘটনার মূল কারণ, কাদের গাফিলতিসহ বিস্তারিত অনুসন্ধান করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে কয়েকজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। নিহতরা হলেন, গোপালগঞ্জ সদরের গোপীনাথপুরের হেদায়েত মিয়া (৪৫), সদরের পাঁচুরিয়া গ্রামের মাসুদ মিয়ার মেয়ে সুইটি (২০), গোপালগঞ্জ পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক অনাদি রঞ্জন মজুমদার, মুকসুদপুর উপজেলার আদমপুরের আমজাদ আলীর ছেলে মাসুদ, পূবালী ব্যাংকের কর্মকর্তা খুলনার সোনাডাঙ্গার শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন (৪০), নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার চন্দ্রাপাড়ের বকু শিকদারের ছেলে ফরহাদ, গোপালগঞ্জ সদরের বনগ্রামের সামশু মিয়ার ছেলে মোস্তাক শেখ ও গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার নিলফা গ্রামের শেখ কবির হোসেন।
মন্তব্য করুন
শেষের পাতা থেকে আরও পড়ুন
শেষের পাতা সর্বাধিক পঠিত
৪
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন/ বেলা যত গড়াচ্ছে আওয়ামী লীগের টেনশন তত বাড়ছে
৭