ঢাকা, ৩০ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১৫ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, ৭ রমজান ১৪৪৪ হিঃ

অনলাইন

সাদ্দাম হোসেনের ইয়ট এখন জেলেদের পিকনিক স্পট

মানবজমিন ডিজিটাল

(১ সপ্তাহ আগে) ১৮ মার্চ ২০২৩, শনিবার, ১:৪৩ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১১:৪৯ পূর্বাহ্ন

mzamin

দক্ষিণ ইরাকের একটি নদীতে ডুবে যায় সাদ্দাম হোসেনের মালিকানাধীন একটি ইয়ট। মরচে পড়ে যাওয়া এই ইয়টটি তার কঠোর শাসনের প্রতীক হিসেবে গণ্য করা হয়। দুই দশক আগে মার্কিন আক্রমণে এই  ইয়টটি ধ্বংস হয়ে যায়। ১২১ মিটারের ইয়টটির নাম "আল মনসুর"। এটি সাদ্দামের সম্পদ এবং ক্ষমতার প্রতীক। ১৯৮০-এর দশকে ইয়টটি নির্মিত হয়েছিল। মরচে পড়ে যাওয়া এই ইয়টটি এখন জেলেদের বেশ পছন্দের জায়গা। কারণ মাছ ধরতে বেরিয়ে এখানে বসেই তারা দিব্যি চা পান করে। 'যখন এটি প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির মালিকানাধীন ছিল, তখন কেউ এটির ধারে কাছেও আসতে পারেনি," বলছেন জেলে হুসেইন সাবাহি। এখন সেই  ইয়টের  ধ্বংসস্তূপের উপরে বসেই এক কাপ চা নিয়ে বেশ কিছুটা সময় কাটাতে কাটাতে হুসেইন বলে ওঠেন ‘’আমি বিশ্বাস করতে পারছি না যে এটি সাদ্দামের ছিল এবং এখন আমি এটির চারপাশে ঘুরছি''।

বিজ্ঞাপন
যদিও সাদ্দাম ইয়টটিতে কখনো চড়েননি তবুও ২০০৩ এর ২০ মার্চ ইরাকে আক্রমণ শুরু হওয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ইয়টটিকে মুরিং ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু এটি বেশিদূর যেতে পারেননি। তার আগেই মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনী দ্বারা লক্ষ্যবস্তুর শিকার হয়। পরে এটি ক্ষয়ে যাওয়ায় শাট আল আরব জলপথের কাছে উল্টে যায়। সাদ্দামের পতনের পর ইয়টটি খালি হয়ে যায় এবং এতে ব্যাপক লুটপাট চালানো হয়। ঝাড়বাতি এবং আসবাবপত্র থেকে শুরু করে এর ধাতব কাঠামোর কিছু অংশ খুলে নিয়ে চলে যায় লুটেরারা। সাদ্দামের মালিকানাধীন তিনটি ইয়টের মধ্যে এটি ''আল মনসুর'' একটি ছিলো। ইয়টটিতে ২০০ জন অতিথি থাকতে পারে এবং এটি একটি হেলিপ্যাড দিয়ে সজ্জিত ছিল। মার্কিন কর্মকর্তারা ২০০৩ সালে অনুমান করেছিলেন যে সাদ্দাম এবং তার পরিবার অবৈধভাবে ৪০ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করেছেন। বসরায় তার আরেকটি ইয়টকে হোটেলে পরিণত করা হয়েছে। যদিও কিছু ইরাকি দাবি করেছেন যে ধ্বংসাবশেষ সংরক্ষণ করা উচিত ছিলো, কিন্তু পরবর্তী সরকারগুলি এটি পুনরুদ্ধারের জন্য তহবিল বরাদ্দ করেনি। ইরাকি পরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক নৌ আধিকারিক  জাহি মুসা বলেছেন -''এই ইয়টটি একটি মূল্যবান রত্ন। আমরা দু:খিত যে এটি এখন এই অবস্থায় পড়ে আছে। ''

সূত্র : gulfnews.com
 

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

ওয়াশিংটনে রাইট টু ফ্রিডমের আলোচনা/ নির্বাচনে কী পদক্ষেপ নেয়া যায়, ভাবছে আমেরিকা

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: news@emanabzamin.com
Copyright © 2023
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status