কলকাতা কথকতা
হাসিনা-মোদি মৈত্রী পাইপলাইন উদ্বোধন করবেন শনিবার, কাঁটা শুধু মমতার তিস্তা নিয়ে সিদ্ধান্তে
বিশেষ সংবাদদাতা, কলকাতা
(৫ দিন আগে) ১৭ মার্চ ২০২৩, শুক্রবার, ১০:৫০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৬:০৪ অপরাহ্ন

আগামীকাল বিকেলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে মৈত্রী ডিজেল পাইপলাইনের উদ্বোধন করবেন। মৈত্রীর এই বাতাবরণে অস্বস্তির কাঁটা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এর তিস্তা নিয়ে এক সিদ্ধান্তে। ভারত-বাংলাদেশ তিস্তা চুক্তি দীর্ঘদিন ধরে সম্পাদিত হতে পারেনি মমতার আপত্তিতেই। আবার তাঁর সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত অনিশ্চয়তার কালো মেঘের সঞ্চার ঘটিয়েছে তিস্তা চুক্তিতে। পানিবন্টন চুক্তিকে কার্যত বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে মমতা সরকার জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে দুটি ক্যানেল খননের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিস্তার পানি প্রবাহকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করা হবে দুটি হাইড্রো পাওয়ার প্রজেক্ট। এর ফলে বাংলাদেশের দিকে তিস্তার পানি প্রবাহ কমবে। ঢাকা অবশ্য এই ব্যাপারে বসে নেই। বাংলাদেশের পানি সম্পদ বিভাগ ও যৌথ নদি কমিশন এই বিষয়ে একটি পেপার তৈরি করছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র সহেলি সাবরিন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দিল্লির ভূমিকা এই ব্যাপারে কী হয়, তার দিকে তাঁর তীক্ষè নজর রেখেছেন। এই অবস্থায় মৈত্রী পাইপলাইন উদ্বোধনে একটা কালো ছায়া পড়েছে।
পাঠকের মতামত
ব্যবসা করবে ভারত কিন্তু ক্যাপিটাল বাংলাদেশের
তিস্তা ছাড়াও ৪৮ টি নদীর উজানে বাঁধ দিয়ে ভারত সরকার পানি প্রত্যাহার করার কারণে আমাদের ১৩০০ নদ নদীর ১০০০ নদ নদী মৃত্যু বরণ করেছে। এই ৪৮ নদীর পানি বন্টন নিয়ে ভারত সরকারের উপার চাপ প্রয়োগ করছেনা কেন বাংলাদেশ সরকার? আর আমাদের দেশের পত্রিকা গুলো শুধু তিস্তার কথাই লিখে যাচ্ছে। অন্য নদীগুলোর পানি বন্টন নিয়ে কোন খবরই ছাপাতে দেখিনা শুধু মমতার উপর দোষারোপ করে দায় খালাস করে। রাজ্য সরকারকে অসন্তুষ্ট করে কেন্দ্রীয় সরকার কখনো তিস্তার সমাধান করবে না। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার চাইলে তিস্তার সমাধান করতে পারে।