ঢাকা, ২২ মার্চ ২০২৩, বুধবার, ৭ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, ২৯ শাবান ১৪৪৪ হিঃ

কলকাতা কথকতা

হাসিনা-মোদি মৈত্রী পাইপলাইন উদ্বোধন করবেন শনিবার, কাঁটা শুধু মমতার তিস্তা নিয়ে সিদ্ধান্তে

বিশেষ সংবাদদাতা, কলকাতা

(৫ দিন আগে) ১৭ মার্চ ২০২৩, শুক্রবার, ১০:৫০ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ৬:০৪ অপরাহ্ন

mzamin

আগামীকাল বিকেলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে মৈত্রী ডিজেল পাইপলাইনের উদ্বোধন করবেন। মৈত্রীর এই বাতাবরণে অস্বস্তির কাঁটা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এর তিস্তা নিয়ে এক সিদ্ধান্তে। ভারত-বাংলাদেশ তিস্তা চুক্তি দীর্ঘদিন ধরে সম্পাদিত হতে পারেনি মমতার আপত্তিতেই। আবার তাঁর সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত অনিশ্চয়তার কালো মেঘের সঞ্চার ঘটিয়েছে তিস্তা চুক্তিতে। পানিবন্টন চুক্তিকে কার্যত বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে মমতা সরকার জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে দুটি ক্যানেল খননের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিস্তার পানি প্রবাহকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করা হবে দুটি হাইড্রো পাওয়ার প্রজেক্ট। এর ফলে বাংলাদেশের দিকে তিস্তার পানি প্রবাহ কমবে। ঢাকা অবশ্য এই ব্যাপারে বসে নেই। বাংলাদেশের পানি সম্পদ বিভাগ ও যৌথ নদি কমিশন এই বিষয়ে একটি পেপার তৈরি করছে।

বৃহস্পতিবার ঢাকায় পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র সহেলি সাবরিন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দিল্লির ভূমিকা এই ব্যাপারে কী হয়, তার দিকে তাঁর তীক্ষè নজর রেখেছেন। এই অবস্থায় মৈত্রী পাইপলাইন উদ্বোধনে একটা কালো ছায়া পড়েছে।

বিজ্ঞাপন
১৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পাইপ লাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে হাই স্পিড ডিজেল যাবে দেশের উত্তরের সাতটি জেলায়। এতদিন পর্যন্ত ট্রেন পরিবহণে এই ডিজেল সরবরাহ হত। ১৩০ কিলোমিটারের মধ্যে ১২৫ কিলোমিটার পাইপ লাইন পড়েছে বাংলাদেশে। অন্যদিকে পাঁচ কিলোমিটার পড়েছে ভারতে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে মোট ব্যায় হয়েছে ৩৭৭ কোটি টাকা। বাংলাদেশে এই পাইপলাইন তৈরি করতে ২৫৫ কোটি টাকা লেগেছে, যার আর্থিক সহায়তা করেছে ভারত। ২০১৭ সালে শেখ হাসিনা এবং তাঁর কাউন্টারপার্ট নরেন্দ্র মোদির মধ্যে মৈত্রী পাইপ লাইন বসানোর ব্যাপারে চুক্তি হয়। ছয় বছর সময় লাগলো প্রকল্প রূপায়নে। মৈত্রীর ফুলে একটিই কাঁটা-তিস্তা পানিপ্রকল্প নিয়ে মমতা বন্দোপাধ্যায় এর সিদ্ধান্তটি।                                        
 

পাঠকের মতামত

ব্যবসা করবে ভারত কিন্তু ক্যাপিটাল বাংলাদেশের

মোঃ হেদায়েত উল্লাহ
১৭ মার্চ ২০২৩, শুক্রবার, ৬:২৩ পূর্বাহ্ন

তিস্তা ছাড়াও ৪৮ টি নদীর উজানে বাঁধ দিয়ে ভারত সরকার পানি প্রত্যাহার করার কারণে আমাদের ১৩০০ নদ নদীর ১০০০ নদ নদী মৃত্যু বরণ করেছে। এই ৪৮ নদীর পানি বন্টন নিয়ে ভারত সরকারের উপার চাপ প্রয়োগ করছেনা কেন বাংলাদেশ সরকার? আর আমাদের দেশের পত্রিকা গুলো শুধু তিস্তার কথাই লিখে যাচ্ছে। অন্য নদীগুলোর পানি বন্টন নিয়ে কোন খবরই ছাপাতে দেখিনা শুধু মমতার উপর দোষারোপ করে দায় খালাস করে। রাজ্য সরকারকে অসন্তুষ্ট করে কেন্দ্রীয় সরকার কখনো তিস্তার সমাধান করবে না। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার চাইলে তিস্তার সমাধান করতে পারে।

মিলন আজাদ
১৭ মার্চ ২০২৩, শুক্রবার, ১২:৩২ পূর্বাহ্ন

কলকাতা কথকতা থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

কলকাতা কথকতা সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2023
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status