প্রথম পাতা
লক্ষ্মীপুরে স্বামীকে শিকল দিয়ে বেঁধে স্ত্রীকে ধর্ষণ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
১০ মার্চ ২০২৩, শুক্রবার
লক্ষ্মীপুরে ইটভাটায় স্বামীকে শিকল দিয়ে বেঁধে নির্যাতন ও স্ত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণকারীরা ওই নারীর ডান হাতে সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়েছে। গতকাল বিকালে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করে ভুক্তভোগী নারী এ অভিযোগ করেন। বিকালে তিনি সদর মডেল থানায় উপস্থিত হয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিনকে ঘটনাটি জানিয়েছেন।
এদিকে ৯৯৯-এ কল পেয়ে সদর থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর চররমনী গ্রামের বনফুল ব্রিক্স অ্যান্ড কোম্পানিতে (বিবিসি) অভিযান চালায়।
নির্যাতিত স্বামী ভোলা জেলার বাসিন্দা ও তার স্ত্রী বাগেরহাট জেলার মেয়ে। তাদের সংসারে আড়াই বছরের একটি শিশু সন্তান রয়েছে। তারা চট্টগ্রাম আজিমপাড়ায় ছিলেন। প্রায় ৩ মাস আগে ইটভাটাতে শ্রমিক হিসেবে কাজের উদ্দেশ্যে তারা লক্ষ্মীপুরের উত্তর চররমনী গ্রামের বিবিসি ইটভাটাতে আসে। ইটভাটার পাশেই তারা একটি ঘরভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন।
নির্যাতিতা নারী জানান তার স্বামী চট্টগ্রামে আজিমপাড়া এলাকায় দিনমজুর হিসেবে কাজ করতেন। দূর সম্পর্কের একজনের সঙ্গে ৩ মাস আগে তিনি লক্ষ্মীপুরে ইটভাটায় কাজ করতে আসেন।
এ ছাড়া টাকা না দিতে পারলে তাদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য কুপ্রস্তাব দেয়া হয়। পরে তিনি বাসায় চলে যান। এরপর গভীর রাতে জামাল মাঝি, নিজাম মাঝি ও দিনাজ ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। এরপর আরও ৬ জন গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে তারাই তার ডান হাতে সিগারেটের আগুন লাগিয়ে ছ্যাকা দেয়।
নির্যাতিতা নারী বলেন, আমরা অগ্রীম কোনো টাকা নিইনি। তবুও তারা আমার স্বামীকে বেঁধে রেখে নির্যাতন করেছে। আমি ছাড়াতে গেলে তারা আমাকে ধর্ষণ করে। নিরুপায় হয়ে ৯৯৯-এ কল দিয়ে ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় ঘটনাটি পুলিশকে জানাই। তারা ঘটনাস্থল পৌঁছে আমার স্বামীকে বাঁধা অবস্থায় পেয়েছে।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, ভুক্তভোগী নারীর কাছ থেকে ঘটনাটি শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পাঠকের মতামত
ধনি গরিবের মধ্যে যে বিচারের পার্থক্য আছে তা বুঝা যাচ্ছে এই নিউজের মাধ্যমে। প্রভাবশালী কিংবা ধনী কোন ব্যাক্তির এই ঘটনা হলে ১ ঘন্টার মধ্যে পুলিশ আসামিকে গ্রেফতার করতো
Police er 'Bonkeh' kau 'touch' karle' police er ''Action '' ki ki ? r police er 'Boon' na hoile tahader kau 'nirjatito' hoile , police ki ki ''Action'' naan??
Country is led by league. League has never heard of Aad and Thamud.
এদের সর্বনিম্ন শাস্তি ওদেরকে হাত পা বেঁধে পাগলা কুকুর দিয়ে কামড়িয়ে হত্যা করা।
নোয়াখালী অঞ্চলটি সারা দেশের মধ্যে সর্বাধিক অপরাধ প্রবণ। অন্যান্য জেলার তুলনায় নোয়াখালীর থানা গুলোতে পুলিশের পরিমাণ দ্বিগুণ করা হোক।
দেশ চলছে মদিনার সনদে।
জয় বাংলা।আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসলে মানুষ কিছু পায়।
সামাজিক অবক্ষয়। সারাদেশে এই ধরণের ঘটনা অহরহ ঘটছে, সমাজে বসবাস এবং মান সম্মানের কথা চিন্তা কেউ মুখ খোলেনা। আমাদের পার্শবর্তী ইউনিয়নে "চোরপাড়া" নামে একটি গ্রাম আছে মুরুব্বীদের কাছে শুনেছি ৬০ এর দশকে এই পাড়ায় তিনজন শিঁদেল চোর ছিলেন, এরা বহুবার ধরা খেয়েছে, যেখানে ধরা খাইত সেই এলাকাবাসী তাদের বউ বাচ্চার করা চিন্তা করে উত্তম মাধ্যম দিয়ে ছেড়ে দিতেন। সেই থেকে আজ পর্যন্ত ঐ গ্রামের নাম চোরপাড়া। নিজের সমাজে লজ্জিত হবে ভয়ে এই গ্রামের সাথে কেউ আত্মীয়তা করতে চায় না। ঠিক একইভাবে কোনো পাড়া মহল্লার মেয়ে যখন ক্ষতিগ্রস্ত হয় তখন সবাই মিলে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে যাতে গ্রামের বদনাম না হয়ে যায়।
অন্তত এমন একটা ঘটনায় এই ধর্ষকদের প্রকাশ্যে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে তাৎক্ষনিক বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া গেলে নারীর প্রতি এমন অপরাধ কমে আসতো।
ব্যবস্থা তরা নিতে পারবি না। এই ব্যবস্থাই তোদের উপর এসে পরবে। সময় তোদেরকে ছাড়বে না।
আওয়ামী শাসন কাল