শিক্ষাঙ্গন
ইবিতে ছাত্রী নির্যাতন
জড়িতদের স্থায়ী বহিষ্কার চান ভুক্তভোগী, সিদ্ধান্ত আজ
ইবি প্রতিনিধি
(২ বছর আগে) ৪ মার্চ ২০২৩, শনিবার, ১২:২১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৫ পূর্বাহ্ন

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত পাঁচ ছাত্রীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আজ শনিবার দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান জানান, ‘বহিষ্কারের বিষয়ে আজ শনিবার দুপুর ১২টায় শৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। হাইকোর্টের নির্দেশনার ভিত্তিতেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’ ভিসি অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের সভাপতিত্বে শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
এদিকে আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফের ক্যাম্পাসে এসেছে ভুক্তভোগী ছাত্রী ফুলপরী। পরে প্রক্টরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি। আজ পছন্দমতো হলে আবাসিকতা বরাদ্দের জন্য তিনি আবেদন করবেন বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, সার্বিক নিরাপত্তা দিয়ে ফুলপরীকে ক্যাম্পাসে নিয়ে আসা হয়েছে। ক্যাম্পাসে অবস্থানকালীন বর্তমানে ও ভবিষ্যতে তার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সচেষ্ট আছি।
নির্যাতনের শিকার ফুলপরী বলেন, আমার সঙ্গে যারা এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের স্থায়ী বহিষ্কার চাই। পরবর্তীতে কেউ যেন আর ক্যাম্পাসে এমন অরাজকতা সৃষ্টি না করতে পারে সেটাই আমার চাওয়া।
ফুলপরীর বাবা আতাউর রহমান বলেন, আমার মেয়েকে তারা তো মেরেই ফেলতো। আমরা চাই জড়িতদের যেন সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হোক, যাতে আর কেউ কারোর সঙ্গে এমন কিছু করার সাহস না করে।
প্রসঙ্গত, গত ১১ ও ১২ই ফেব্রুয়ারি দুই দফায় হলের গণরুমে এক নবীন ছাত্রীকে রাতভর র্যাগিং, শারীরিকভাবে নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে ছাত্রলীগ নেত্রী অন্তরাসহ তার সহযোগীরা। ভুক্তভোগী ফুলপরী খাতুন ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী। ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১৫ই ফেব্রুয়ারি পৃথকভাবে তিনটি তদন্ত কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, সংশ্লিষ্ট হল কর্তৃপক্ষ ও শাখা ছাত্রলীগ। এছাড়া হাইকোর্টের নির্দেশেও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন। গত পহেলা মার্চ জড়িত পাঁচ ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কার করার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় ইতোমধ্যে তাদের ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার ও হলের আবাসিকতা বাতিল করা হয়েছে। ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতরা হলেন, পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের সানজিদা চৌধুরি অন্তরা, চারুকলা বিভাগের হালিমা আক্তার ঊর্মি, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মিম, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম ও একই বিভাগের মুয়াবিয়া জাহান। তারা চারজনই ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।