নির্বাচিত কলাম
মুক্তস্বর
মুক্ত খালেদা জিয়ার বন্দিজীবন
কাফি কামাল
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, শুক্রবার
আইনমন্ত্রীর সে প্রশ্নের একটি উত্তর খুঁজে দেখা যেতে পারে। ‘আদালত খালেদা জিয়াকে বেইল দেননি, তাকে মুক্ত করা হয়েছে’ কথাটি খুবই কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক। এই বক্তব্যের অন্তর্নিহিত ভাব হচ্ছে, আদালত কর্তৃক জামিনপ্রাপ্তের যে অধিকার বা স্বাধীনতা রয়েছে, কথিত মহানুভবতায় মুক্তির মধ্যে সেটি নেই। সাজা স্থগিত করে মহানুভবতায় মুক্ত মানে যেকোনো সময় সাজা বহাল করে কারাগারে ফেরত নেয়া হতে পারে। এটি সরকার প্রধানের মর্জির উপর নির্ভর করে। খোদ প্রধানমন্ত্রী নিজেই একাধিকবার প্রকাশ্যে তেমন হুমকি দিয়েছেন। রাজনীতির বিশেষ পরিস্থিতিতে এই হুমকি-ধামকি দিয়ে বিএনপিকে কাবু করে ফেলার একটি সুযোগ এখানে আছে। আইনি প্রক্রিয়ায় আদালত জামিনে মুক্তি দিলে সে সুযোগ সঙ্কুচিত হয়ে যায়। সুতরাং মহানুভবতায় মুক্তির বিষয়টি দেখা যেতে পারে একটি নিশ্ছিদ্র ফাঁদ হিসেবে। যেখানে সরকারের খরচাপাতি নেই, সম্ভাব্য অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির দায়দায়িত্ব নেই, বরং অঘোষিতভাবে গৃহবন্দি করে রাখা যায়।
বিএনপি’র নেতাকর্মীরা যেমন ফাঁদটি চিহ্নিত করতে পেরেছেন, তেমনি বাংলাদেশের মানুষও বুঝতে পেরেছে এমন মুক্তির উদ্দেশ্য-বিধেয়। আর এই ফাঁদ থেকে খালেদা জিয়াকে বের করতে চায় বিএনপি। তাই দলটির নেতারা ‘কথিত মুক্ত’ খালেদা জিয়ার মুক্তি চাইছেন। তবে এই মুক্তি দাবির কৌশল ও কার্যকারিতা নিয়ে বিএনপি নেতারাও কি ইতিহাসের কাছে দায় এড়াতে পারবেন?বিজ্ঞাপন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কি মুক্ত, নাকি বন্দি? দৃশ্যত, এক অঘোষিত গৃহবন্দি জীবনযাপন করছেন তিনি। বিএনপি’র নেতারা প্রায়ই বক্তব্য-বিবৃতিতে তার মুক্তি দাবি করেন। সমপ্রতি আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের দেয়া এক বক্তব্য অনুযায়ী খালেদা জিয়া ‘মুক্ত-স্বাধীন’। প্রশ্ন হচ্ছে, কেমন সে মুক্ত জীবন? কেন মুক্ত খালেদা জিয়া বন্দি জীবনযাপন করেন? বিএনপি নেতারাই বা কেন তার মুক্তি দাবি করেন?
বাতাস দেখা যায় না, কিন্তু অনুভূত হয়। বাতাসের অস্তিত্ব বাস্তব। সরকার প্রধানের মহানুভবতায় কারামুক্ত খালেদা জিয়ার গৃহবন্দিত্বটাও তেমনই এক অনানুষ্ঠানিক বাস্তবতা। তবে এ বাস্তবতা একবারে অদৃশ্য নয়, অনেকটাই দৃশ্যমান। সরকার প্রধান মহানুভবতার এমন শিকলে বেঁধেছেন যে, খালেদা জিয়া এখন কারাবন্দি জীবনের চেয়েও অবর্ণনীয় মানসিক যন্ত্রণায় দিন কাটাচ্ছেন। তার মুক্তির দাবিতে সংসদ উত্তপ্ত করার বাহানায় চার বছর এমপিত্বের স্বাদ নিয়েছেন কয়েকজন। অথচ তিনি রাজনীতিও করতে পারছেন না, বিদেশে গিয়ে উন্নত চিকিৎসাও নিতে পারছেন না। তার আইনজীবী ও দলের নেতাকর্মীরা আইনি প্রক্রিয়ায় মুক্তি দাবি করেছিলেন। আইনি লড়াই করেছিলেন। কিন্তু আইনি প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়ার জামিন মঞ্জুর হয়নি। আইনি প্রক্রিয়ায় মুক্তি পেলে তিনি রাজনীতি ও সামাজিকতায় অংশগ্রহণ এবং বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নিতে পারতেন। কিন্তু সরকার প্রধানের ‘কথিত মহানুভবতায়’- মুক্তির মাধ্যমে তাকে বন্দি করা হয়েছে লিখিত ও অলিখিত নানা শর্তের বেড়াজালে। এখন সে শর্তের ব্যাখ্যা করা হচ্ছে নিজেদের সুবিধামতো। সরকারের এই কৌশল সম্পর্কে কেবল বিএনপিই নয়, সারা দেশের সাধারণ মানুষও ওয়াকিবহাল। কিন্তু বিশেষ বিশেষ পরিস্থিতিতে সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা মানুষের চোখে ধুলো দিতে বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি করেন।
১৯শে ফেব্রুয়ারি ঢাকায় জুডিশিয়াল এডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (জেএটিআই) আয়োজিত এক ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন- ‘খালেদা জিয়ার মুক্তির আদেশে এমন কোনো শর্ত ছিল না যে, তিনি রাজনীতি করতে পারবেন না। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় প্রধানমন্ত্রী তার সাজা স্থগিত করেছেন। তিনি (খালেদা জিয়া) একজন স্বাধীন ব্যক্তি, তাই তার রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে কোনো বাধা নেই।’ আইনমন্ত্রীর এই কথাটি সত্য হলে বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য তা দারুণ এক স্বস্তির বিষয়। বিএনপি তথা বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের জন্য বিশাল আনন্দের ব্যাপার। কিন্তু আসলে কি তাই? পরের কয়েকটি বাক্যেই বিরোধী শিবিরের আনন্দে জল ঢেলে ও স্বস্তি তেলু হাওয়া বইয়ে দিয়েছেন তিনি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উল্টো সাংবাদিকদের প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে আইনমন্ত্রী বলেছেন- ‘মুক্তির সময় বলা হয়েছিল সুচিকিৎসা না হলে জীবন বিপন্ন হবে। আপনারাই বিচার করেন, যিনি অসুস্থ, তিনি কি রাজনীতি করতে পারেন? যদি আপনাদের বিবেচনায় মনে হয় তিনি রাজনীতি করতে পারেন, তাহলে আপনাদের বিবেচনা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে। তিনি অসুস্থ, তিনি রাজনীতি করতে পারবেন না, এটাই মনে হচ্ছে বেস্ট জাজমেন্ট।’ কী চমৎকার বিবেচনাবোধ!
প্রথিতযশা আইনজীবীর সন্তান আনিসুল হক নিজেও একজন লব্ধ প্রতিষ্ঠিত আইনজীবী। কথার কৌশল ও আইনের মারপ্যাঁচ যেহেতু আইনজীবীদের সাফল্যের চাবিকাঠি, সে হিসেবে উনি একজন সুদক্ষ বাক্-কুশলী। দেখা যাক, এই বাক্-কৌশলের মাধ্যমে রাষ্ট্রের একজন দায়িত্বশীল মানুষ কীভাবে দ্বিচারিতা করেন। মাত্র আড়াই মাস আগের কথা। ১০ই ডিসেম্বর রাজধানীতে বিএনপির গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজনীতির মাঠ তখন সরগরম। ঠিক সে সময় ২০২২ সালের ১লা ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জে বার ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আনিসুল হক বলেছিলেন- ‘আগামী ১০ই ডিসেম্বর বিএনপি’র সমাবেশে খালেদা জিয়া গেলে তাঁর দরখাস্তের লেখা মিথ্যা প্রমাণিত হবে।’ এই কথাটির মাধ্যমে আইনমন্ত্রী একটি ‘পরোক্ষ হুমকি’ বা ‘সতর্কবার্তা’ দিয়েছিলেন। অর্থাৎ, সমাবেশে যোগ দিলে খালেদা জিয়াকে কারাগারে যেতে হতে পারে। যদিও খালেদা জিয়া সে গণসমাবেশে যাবেন এমন কোনো সুনির্দিষ্ট ঘোষণা বা প্রস্তুতি ছিল না বিএনপি’র। তিনি সমাবেশে যানওনি। তারও দুই মাস পর ২৬শে জানুয়ারি জাতীয় সংসদে প্রেসিডেন্টের ভাষণের উপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি বলেছেন- ‘বিএনপি চেয়ারপাারসন খালেদা জিয়া রাজনীতি করবেন না, এমন মুচলেকা দেয়া হয়েছে। তার ভিত্তিতে তাঁকে বাসায় নেয়া হয়েছে।’ তার উপর সরকারের তরফে প্রথম থেকে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে যে, অসুস্থতার কারণে মুক্তি পাওয়া খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন না। এখন আইনমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন রাখা যেতে পারে- খালেদা জিয়া তাহলে রাজনীতিটা করতে পারছেন কীভাবে? সরকার যদি খালেদা জিয়াকে রাজনীতি করার সুযোগ দিতো, তবে কি দলের শীর্ষ ব্যক্তি হয়েও তিনি চার দেয়ালের মধ্যে নিষ্ক্রিয় বসে থাকতেন? দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা কি খালেদা জিয়ার ‘অঘোষিত বন্দিত্বের’ রূপকথা শুনে ঘুমিয়ে থাকতেন বা দলের শীর্ষ নেতারা তাদের ঘুমিয়ে রাখতে পারতেন?

অঘোষিত গৃহবন্দিত্বের পাশাপাশি খালেদা জিয়াকে সহ্য করতে হচ্ছে সরকার প্রধানের নির্বাহী আদেশে মুক্তির গ্লানি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা ও সরকারের মন্ত্রীরা কথায় কথায় খালেদা জিয়ার প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহানুভবতার কথা উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী নিজেই প্রায়শ এই নিয়ে খোঁটা ও খোঁচা দেন। এমন কি মুক্তির পর খালেদা জিয়ার পোশাক, সাজগোজও অসুস্থতার কারণ নিয়েও নানা বক্তব্য দিয়েছেন। স্বভাবতই সেগুলো খালেদা জিয়া ও তাঁর দলের নেতাকর্মীদের পক্ষে গ্রহণ করা কঠিন। পাশাপাশি এটি দলের শীর্ষ নেতাদের প্রতি তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে তৈরি করে সন্দেহ ও অবিশ্বাস। বিএনপি এখন সরকারেও নেই, সংসদীয় বিরোধীদলও নয়। তার উপর দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বর্তমান সরকারের বিচার ব্যবস্থায় দণ্ডিত হয়েছেন। সুতরাং তার পুলিশী নিরাপত্তা পাবার কথা নয়। আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি সেটা পানও না। কিন্তু অনানুষ্ঠানিকভাবে সবসময় কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীতে ঘেরা রয়েছে তার বাসভবন ফিরোজা। বাসার মূলফটক থেকে দুইদিকে বিশ গজের মধ্যেই চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি অব্যাহত রেখেছে পুলিশ। গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনও সতর্ক পাহারায় সর্বক্ষণ। বিএনপির সিনিয়র নেতারা দুই ঈদ ছাড়া চেয়ারপারসনের সাথে দেখা করতে পারেন না। মহাসচিব সে সুযোগটি পান বছরে দু তিনবার। তাহলে খালেদা জিয়া কীভাবে রাজনীতি করবেন- আইনমন্ত্রীর কাছে সে প্রশ্নটির পুনরাবৃত্তি করা যেতে পারে। এছাড়া সাধারণত এই ধরনের চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের হাতে থাকে শটগান। আর খালেদা জিয়ার বাসার সামনে চেকপোস্টের পুলিশ সদস্যদের হাতে দেখা যায় সেভেন পয়েন্ট সিক্সটি টু চাইনিজ রাইফেল। সরকারের ভাষায় যিনি একজন দণ্ডিত অপরাধী এবং বয়স ও অসুস্থতাজনিত কারণে যাকে মানবিক বিবেচনায় মুক্তি দেয়া হয়েছে তার বাসার সামনে কেন পুলিশি চেকপোস্ট, এমন প্রশ্ন করা কি দোষের হবে?
নারায়ণগঞ্জে আইনমন্ত্রী ‘কিছুটা ব্যাখ্যা দিয়ে, কিছুটা বিস্ময় প্রকাশ করে’ বলেছিলেন- “প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতায় ৪০১ ধারায় তাঁর দণ্ডাদেশ স্থগিত রেখে দুটি শর্তে তাঁকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। উচ্চ আদালত, আপিল বিভাগ খালেদা জিয়াকে বেইল দেননি, তাকে মুক্ত করা হয়েছে। বিএনপি নেতারা এখনো তার মুক্তি দাবি করেন। বেইল চান। আপনারাই বলেন, মুক্ত মানুষকে কোর্ট কীভাবে বেইল দেয়? একজন মুক্ত মানুষকে কীভাবে মুক্তি দেয়া যায়?” এবার আইনমন্ত্রীর সে প্রশ্নের একটি উত্তর খুঁজে দেখা যেতে পারে। ‘আদালত খালেদা জিয়াকে বেইল দেননি, তাকে মুক্ত করা হয়েছে’ কথাটি খুবই কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক। এই বক্তব্যের অন্তর্নিহিত ভাব হচ্ছে, আদালত কর্তৃক জামিনপ্রাপ্তের যে অধিকার বা স্বাধীনতা রয়েছে, কথিত মহানুভবতায় মুক্তির মধ্যে সেটি নেই। সাজা স্থগিত করে মহানুভবতায় মুক্ত মানে যে কোনো সময় সাজা বহাল করে কারাগারে ফেরত নেয়া হতে পারে। এটি সরকার প্রধানের মর্জির উপর নির্ভর করে। খোদ প্রধানমন্ত্রী নিজেই একাধিকবার প্রকাশ্যে তেমন হুমকি দিয়েছেন। রাজনীতির বিশেষ পরিস্থিতিতে এই হুমকি-ধামকি দিয়ে বিএনপিকে কাবু করে ফেলার একটি সুযোগ এখানে আছে। আইনি প্রক্রিয়ায় আদালত জামিনে মুক্তি দিলে সে সুযোগ সঙ্কুচিত হয়ে যায়। সুতরাং মহানুভবতায় মুক্তির বিষয়টি দেখা যেতে পারে একটি নিশ্ছিদ্র ফাঁদ হিসেবে। যেখানে সরকারের খরচাপাতি নেই, সম্ভাব্য অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির দায়দায়িত্ব নেই, বরং অঘোষিতভাবে গৃহবন্দি করে রাখা যায়। বিএনপির নেতাকর্মীরা যেমন ফাঁদটি চিহ্নিত করতে পেরেছেন, তেমনি বাংলাদেশের মানুষও বুঝতে পেরেছে এমন মুক্তির উদ্দেশ্য-বিধেয়। আর এই ফাঁদ থেকে খালেদা জিয়াকে বের করতে চায় বিএনপি। তাই দলটির নেতারা ‘কথিত মুক্ত’ খালেদা জিয়ার মুক্তি চাইছেন। তবে এই মুক্তি দাবির কৌশল ও কার্যকারিতা নিয়ে বিএনপি নেতারাও কি ইতিহাসের কাছে দায় এড়াতে পারবেন?
পাঠকের মতামত
দেশে তাহলে আইন ও আছে এখনো ??? কোথায় ??? নৈতিকতা আছে কি ?? টা কোথায় ?? বড়ো বিচিত্র রে
মন্ত্রীরা যা বলছেন তা ফাঁদে ফেলার জন্যই বলছেন। যে অভিযোগে খালেদা জিয়াকে আবারো জেলে নেয়া যায় সে অভিযোগটি করার অস্ত্র এখন সরকারের হাতে নাই। তাই আইনমন্ত্রীর কথায় আস্থা রেখে খালেদা জিয়া রাজনীতিতে সক্রিয় হলে তাকে আবারো জেলে নেয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়। কারণ সরকারের নির্বাহী জানেন খালেদা জিয়া রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে সভা সমাবেশ করলেই বিএনপির জন্য যথেষ্ট,নির্বাচন না করলেও কোন সমস্যা নাই। তাতে বিএনপি লাভের খাতায় কোন হেরফের হবেনা। খালেদা জিয়া বন্ধী জীবন যাপন করলেও তার জনপ্রিয়তা কমেনি বরং অনেকগুণ বেড়েছে।
যারা জনগণের মৌলিক অধিকার নিয়ে বিচারকের নাম করে হাইকোর্ট সুপ্রিমকোর্ট বসে আছে তারা একদিন এ সমাজের সবচেয়ে ঘৃনার পাত্র হবে ওদের সন্তানরা যদি মানুষ হয়ে থাকে তাদের কর্মকান্ডের জন্য তাদের বাবা-মা কে ঘৃনার চোখে দেখবে।
যেহেতু খালেদা জিয়া আইনগতভাবে মুক্ত নন, নির্বাহী আদেশে মুক্তি হলো ক্ষণস্থায়ী। আর প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যে হুমকি দিয়েছেন প্রয়োজনে খালেদা জিয়াকে আবার জেলে নেবেন। সুতরাং এখন মন্ত্রীরা যা বলছেন তা ফাঁদে ফেলার জন্যই বলছেন। যে অভিযোগে খালেদা জিয়াকে আবারো জেলে নেয়া যায় সে অভিযোগটি করার অস্ত্র এখন সরকারের হাতে নাই। তাই আইনমন্ত্রীর কথায় আস্থা রেখে খালেদা জিয়া রাজনীতিতে সক্রিয় হলে তাকে আবারো জেলে নেয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়। কারণ সরকারের নির্বাহী জানেন খালেদা জিয়া রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে সভা সমাবেশ করলেই বিএনপির জন্য যথেষ্ট,নির্বাচন না করলেও কোন সমস্যা নাই। তাতে বিএনপি লাভের খাতায় কোন হেরফের হবেনা। খালেদা জিয়া বন্ধী জীবন যাপন করলেও তার জনপ্রিয়তা কমেনি বরং অনেকগুণ বেড়েছে।
আমরা কিছুদিন যাবত দেখছি ফ্যাসিস্ট সরকারের মন্ত্রীরা খালেদা জিয়াকে নিয়ে নানান ধরনের কথা বলছেন। ওদের মতো নির্লজ্য বেহায়া আর নেই।একজন অসুস্থ এবং বয়োবৃদ্ধ মানুষকে নিয়ে যারপর নাই বলেই যাচ্ছে। খালেদা জিয়ার এই ভদ্রতা ওদেরকে আরো পতনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে যা বিগত দিনের চেয়েও অনেক বেশী খারাপ হবে। যারা জনগণের মতকে উপেক্ষা করে আমরা স্বাধীনতার পর থেকেই দেখে আসছি সুখকর নয়। তারপরও আমরা নির্লজ্য বেহায়ার মতো সকলের সাথে এধরনের আচরণ করছি। যারা জনগণের মৌলিক অধিকার নিয়ে বিচারকের নাম করে হাইকোর্ট সুপ্রিমকোর্ট বসে আছে তারা একদিন এ সমাজের সবচেয়ে ঘৃনার পাত্র হবে ওদের সন্তানরা যদি মানুষ হয়ে থাকে তাদের কর্মকান্ডের জন্য তাদের বাবা-মা কে ঘৃনার চোখে দেখবে। নতুবা এক সময় না এক সময় প্রায়শ্চিত্ত করতেই হবে। যারা ১/১১ এর কুশীলব ছিলেন তারা কিন্তু এ দেশে আসার সুযোগ পাচ্ছে না। কারন ওদের পাপের বোঝা এতোই ভারী যে জনগনের সামনে মাথা তুলে চলতে পারবেনা। তাই সবাইকে বলি আবার তোরা মানুষ হ।
Ex PM Khaleda Zia was PM for two terms. During her tenure, she never tried to make judiciary independent, thinking that her power would stay for ever. Now the power is gone and she got stuck in her own system which she had a chance to overhaul. Similarly the present PM thinks her power will be forever, but everything changes. Nobody thought that dictator like Gaddafi or Hosni Mubarak would depart. The main thing is that our politicians do not have any career other than politics. Without public position there is no respect or authority for them. That's why they want to cling to the position of power. Besides they do not know how to enjoy a retirement life. In West, PMs and President steps down and enjoy their life in a sailing boat or busking in the sun lying on a beach without the anxiety of critical decision making.
ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা প্রয়োগ হয়েছে সম্ভবত প্রয়োজনের অনিবার্যতায় । অন্তরীন বা বন্দী অবস্থায় কোন গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তির প্রান সংশয়ের মত আতংক সৃষ্টিকারি পরিস্থিতির উদ্ভব হলে অন্য আইনে যাহাই থাকুক দেশের প্রধান নির্বাহীকে ক্ষমতা প্রয়োগের অধিকার দেয়া হয়েছে। বিরাজমান অবস্থার গুরত্ব বিবেচনা করে ও অনভিপ্রেত ঘটনার দায় এড়াতে প্রধান নির্বাহী তাঁর উপর অর্পিত ক্ষমতা যথাযথ ভাবে প্রয়োগ করেছেন।এখন যদি বলা হয় বা হয়ে থাকে যে মুক্তির অন্তর্নিহিত শর্ত ভঙ্গ হলে পূর্ব বর্তী অবস্থায় ফেরৎ নেয়া হবে সে ক্ষেত্রে মহানুভবতার প্রসঙ্ঙ্গটি ক্ষীন সূতায় ঝুলানো এক প্রকার রাজনৈতিক কৌশল হয়ে যাবে।