ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শিক্ষাঙ্গন

ইবিতে র‌্যাগিং কাণ্ড, সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার নিয়ে ধূম্রজাল!

মুতাছিম বিল্লাহ রিয়াদ, ইবি থেকে

(১ বছর আগে) ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, সোমবার, ১০:৩০ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:৪২ অপরাহ্ন

mzamin

সম্প্রতি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে এক ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনার দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়েছে। এই ঘটনায় ১৮ই ফেব্রয়ারি তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও হল কর্তৃপক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত কমিটির ডাকে শনিবার ক্যাম্পাসে আসেন ভুক্তভোগী ছাত্রী ফুলপরি। প্রায় চার ঘণ্টাব্যাপী সে রাতে ঘটে যাওয়া ঘটনার বর্ণনা শুনেন উভয় তদন্ত কমিটি। এছাড়া ভুক্তভোগীকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। তদন্তের স্বার্থে ২০শে ফেব্রুয়ারি অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রী ও তার সহযোগীকে ক্যাম্পাসে ডেকেছে কর্তৃপক্ষ। সকাল ১০টায় তারা ক্যাম্পাসে আসবেন বলে জানিয়েছে সূত্র।

এদিকে নির্যাতনের ঘটনার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনও সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। মনিটর সচল থাকলেও বায়োসের ব্যাটারী নষ্ট হওয়ায় ফুটেজ আছে কি না তা নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক হল কর্তৃপক্ষের কাছে সিসিটিভি ফুটেজ চান। শনিবার ফুটেজ উদ্ধার করতে গিয়ে বিপাকে পড়েন কর্তৃপক্ষ।

বিজ্ঞাপন
পরে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের দুই টেকনিশিয়ানের শরণাপন্ন হন। তারাও ফুটেজ উদ্ধারে সক্ষম হয়নি। সিসিটিভি দেখতে গিয়ে ফুটেজে ১৯৭০ সালের সময় দেখা যায়। বায়োসের ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ফুটেজে এতো পুরাতন সময় দেখা গেছে।

রবিবার (১৯শে ফেব্রুয়ারি) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. আহসানুল আম্বিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এরকম প্রত্যেকটা ডিভাইসে সাধারণত এক ধরনের বায়োসের ব্যাটারি লাগানো থাকে। যন্ত্রটি বন্ধ রাখার পরও যেন টাইমিংটা ঠিক থাকে সেজন্য এই ব্যাটারি লাগানো হয়। সিসি ক্যামেরা ও এর যন্ত্রপাতি হল কর্তৃপক্ষ নিজেরাই ইনস্টল করেছিলো। কবে বায়োসের ব্যাটারি নষ্ট হয়েছে তা হয়তো তারা বুঝতে পারেনি। কারণ এই ব্যাটারি নষ্ট থাকলেও মনিটরে সিসি ফুটেজ দেখা যায়। তিনি আরও বলেন, ওই ব্যাটারির মাধ্যমে সিসি ফুটেজে তারিখ ও সময় দেখা যায়। সেটি নষ্ট থাকায় ইনিশিয়াল ডেট এ চলে গেছে। ফুটেজ হার্ডডিস্কে থাকার কথা। সেখান থেকে আমরা ফুটেজ রিকভারি করার চেষ্টা করছি।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডল বলেন, ওই রাতে আসলে কি ঘটেছিলো সেই তথ্য উদঘাটনে সিসিটিভি ফুটেজ চাওয়া হয়েছিলো। হল কর্তৃপক্ষ তা সরবরাহ করতে পারেনি। তারা কিছুদিন সময় নিয়েছে। ফুটেজ আমাদের তদন্তের জন্য সহায়ক হবে বলে মনে করছি।

দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেন, হলের প্রধান ফটক, অফিস ও করিডোরসহ মোট ১২টি সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে। টেকনিক্যাল ত্রুটির কারণে আমরা এখনো ফুটেজ সংগ্রহ করতে পারিনি। হার্ডডিস্কে সমস্যা হওয়ায় ফুটেজ দেখা যাচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। দুই-একদিনের মধ্যে সব পাওয়া যাবে বলে আশা রাখছি। হলের সিসিটিভি কারা দেখভাল করে জানতে চাইলে হল প্রভোস্ট বলেন, এগুলোও আমরাই দেখি। তবে আমরা তো এসবে অতটা দক্ষ না। এজন্য মাঝেমধ্যে আইসিটি সেলের কাছে শরণাপন্ন হতে হয়।

শিক্ষাঙ্গন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

শিক্ষাঙ্গন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status