ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শেষের পাতা

ইসি গঠনে ৩২২ জনের নাম

প্রস্তাবক কারা জানতে চেয়েছেন ড. বদিউল আলম মজুমদার

স্টাফ রিপোর্টার
২৪ মে ২০২২, মঙ্গলবার

নির্বাচন কমিশনে নিয়োগের জন্য গঠিত অনুসন্ধান কমিটির কাছে জমা পড়া ৩২২ জন ব্যক্তির নাম কে প্রস্তাব করেছে তা জানতে চেয়েছেন সুজন সমপাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। তথ্য কমিশনে তার করা আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে সোমবার। শুনানিতে প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমদ, মন্ত্রিপরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ আসাদুল হক, মন্ত্রিপরিষদের আপিল কর্মকর্তা মো.  সামসুল আরেফীন এবং ড. বদিউল আলম মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।  
শুনানিতে ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমার চাহিত তথ্য প্রদানে অপারগতা প্রকাশের দুটি কারণ প্রদর্শন করেছেন: (১) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব অনুসন্ধান কমিটির সদস্য নন; এবং (২) আমার চাহিত তথ্য সরবরাহ করার এখতিয়ার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নেই। আমি মনে করি যে, মন্ত্রিপরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার এ দুটি যুক্তিই অপ্রাসঙ্গিক এবং সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য। 
তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯-এর দুটি উদ্দেশ্য রয়েছে: (১) তথ্যের অবাধপ্রবাহ- অর্থাৎ বাধাহীন প্রবাহ- নিশ্চিত করা; এবং (২) জনগণের তথ্যের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করা। লক্ষণীয় যে, আইনের উদ্দেশ্য ও ভাষায় কোনোরূপ অস্পষ্টতা নেই, বরং এগুলো সুস্পষ্ট এবং এতে সুনির্দিষ্ট ফলাফল বা আউটকাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। ফলে কোনোরূপ টেকনিক্যালিটি ব্যবহার করে বা অজুহাতের আশ্রয় নিয়ে তথ্যের প্রবাহ রুদ্ধ করা এবং জনগণকেও তাদের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হবে আইনের উদ্দেশ্যের সঙ্গে সম্পূর্ণরূপে সাংঘর্ষিক। উপরন্তু জনগণ রাষ্ট্রের মালিক, তাই মালিকের জানার অধিকার কোনোভাবেই খর্ব করা যায় না। আমি মালিকের অবস্থান থেকেই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে তথ্য দাবি করেছি। আমি তথ্য চেয়েছি, যাতে নাগরিক হিসেবে আমি রাষ্ট্র পরিচালনায় ভূমিকা রাখার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে পারি।

বিজ্ঞাপন
এ ছাড়াও আমার তথ্য চাওয়ার উদ্দেশ্য ছিল সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সরকারের অঙ্গীকার এবং সকল নাগরিকেরই কাম্য। তাই আমার চাওয়া তথ্য না দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯-এর উদ্দেশ্যই নগ্নভাবে লঙ্ঘন করেছে।
শুনানিতে ড. বদিউল আলম মজুমদারের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা ড. মজুমদার কর্তৃক চাহিত তথ্য রাষ্ট্রীয় গোপনীয় তথ্য এবং এ তথ্য প্রদান করলে এর সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সম্মানহানি হবে বলে যুক্তি তুলে ধরেন। 
ড. মজুমদারকে এক সপ্তাহের মধ্যে তার লিখিত বক্তব্য তথ্য কমিশনে জমা দিতে বলা হয়। জুনের ৬ কিংবা ৭ তারিখ শুনানির ফলাফল ঘোষণা হবে বলেও অবহিত করা হয়।

 

শেষের পাতা থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

শেষের পাতা সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status