অনলাইন
কিশোরগঞ্জে হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড
স্টাফ রিপোর্টার, কিশোরগঞ্জ থেকে
(২ বছর আগে) ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, মঙ্গলবার, ৩:৩৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৫৪ পূর্বাহ্ন

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে চাঞ্চল্যকর রফিকুল ইসলাম ওরফে রতন ভূঁইয়াকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় মো. ফোরকান ভূঁইয়া, মো. শাহেদ ভূঁইয়া ও মো. এংগু ভূঁইয়া নামে তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মামলার অপর আসামি মো. মোস্তফা ভূঁইয়া (৪৭) কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। অন্যদিকে মামলা চলাকালে মো. জমশেদ ভূঁইয়া নামে এক আসামির মৃত্যু হয়েছে। মামলায় মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত আসামিদের মধ্যে মো. ফোরকান ভূঁইয়া কটিয়াদী উপজেলার মধ্য ভাট্রা গ্রামের মৃত সিন্দু ভূঁইয়ার ছেলে, মো. শাহেদ ভূঁইয়া একই গ্রামের মৃত জমশেদ ভূঁইয়ার ছেলে ও মো. এংগু ভূঁইয়া একই গ্রামের মৃত ধলু ভূঁইয়ার ছেলে। এছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত মো. মোস্তফা ভূঁইয়া একই গ্রামের মৃত জমশেদ ভূঁইয়ার ছেলে। অন্যদিকে নিহত রফিকুল ইসলাম ওরফে রতন ভূঁইয়া মধ্য ভাট্রা গ্রামেরই মৃত ইনু ভূঁইয়ার ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, পূর্ব বিরোধের জের ধরে ২০১৩ সালের ২৯ আগস্ট রাত ৯টার দিকে রফিকুল ইসলাম ওরফে রতন ভূঁইয়া অন্যদের সাথে ভাট্রা নতুন বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হন। সাতদিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় নিহত রতন ভূঁইয়ার চাচাতো ভাই আনার ভূঁইয়া বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে কটিয়াদী মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কটিয়াদী মডেল থানার এসআই রাখাল দেবনাথ ২০১৪ সালের ৮ জানুয়ারি আদালতে অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় আহাম্মদ ভূঁইয়া ছাড়া বাকি পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশীট দাখিল করেন। সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শেষে প্রায় সাড়ে ৯ বছর পর মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক মামলার রায় ঘোষণা করেন।