কলকাতা কথকতা
কলকাতার ‘লিটল বাংলাদেশ’র রেস্তোরাঁয় যত আয়োজন
বিশেষ সংবাদদাতা, কলকাতা
(২ বছর আগে) ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, রবিবার, ১:২৩ অপরাহ্ন
কাঁসার থালায় জুঁই ফুলের মতো ভাত। পাতের পাশে এক টুকরো পাতি লেবু। ভাতের মধ্যেখানে গর্ত করে সামান্য হিরণ্যপ্রভা ঘি। বোটাওয়ালা বেগুন ভাজা, জামবাটি ভর্তি সুক্তো। ঝুরো আলুভাজা, মাছের মাথা দিয়ে মুগডাল, কাতলার সোনালি ঝোল, কচি পাঁঠার মাংস। শেষ পাতে খেজুরের চাটনি আর মিঠে পয়ধি। সবার শেষে মনভোলানো পান। কলকাতার পার্ক স্ট্রিট, মির্জা গালিব স্ট্রিট, মারকুইস স্ট্রিট, সদর স্ট্রিট জুড়ে লিটল বাংলাদেশ। যেমনটি সিঙ্গাপুরের সেরাঙ্গুন স্ট্রিট এর লিটল ইন্ডিয়া। বাংলাদেশের পর্যটকের কল কাকলিতে ভরে যায় এই লিটল বাংলাদেশ। সারি সারি টুরিস্ট অফিস, গেস্টহাউস আর হোটেল মাথাচাড়া দিয়েছে। মানি এক্সচেঞ্জের পাশাপাশি অসংখ্য রেস্তোরাঁ। পান্ডেমিক এর সময় বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো আমি বাঙালি নামের রেস্তোরাঁ চেনটি। আবার শুরু হলো মারকুইস স্ট্রিটের মোড়ে। বাংলাদেশের কচু পাতায় চিংড়ি ভাঁপা, চিতল মাছের মুইঠা যেমন মিলবে তেমনই মিলবে বাংলাদেশের নিজস্ব তেল কই, মৌরি কই কিংবা ডিম মাগুর। পাঙ্গাস মাছ পাওয়া যাবে এখানে। মিলবে বোয়াল মাছের ঝাল কারি। বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশের তো হরেক প্রিপারেশন গোটা লিটল বাংলাদেশ জুড়েই- ইলিশ ভাঁপা, জিরে কাঁচালঙ্কা দিয়ে ইলিশের সাদা ঝোল, দই ইলিশ, আফতাব সাহেবের ইলিশ কোফতা, সর্ষে ইলিশ আরও কত কী! ভুনা এই লিটল বাংলাদেশের বৈচিত্র্য- চিংড়ি ভুনা, ইলিশ ভুনা, মাংসের ভুনা, সব মেলে এখানে। আমি বাঙালি শাখা খুলেছে বাঘা যতীন, সল্ট লেক, পুরুলিয়া, আসানসোল, জোরহাট, দিল্লিতে। পরিকল্পনা আছে পুরী, বাঁকুড়া প্রভৃতি জায়গায় শাখা খোলার। আসলে বাংলাদেশের খাবারের কদর এপার বাংলায় খুব বেশি। তাই লিটল বাংলাদেশ পান্ডেমিকের পর আবার সুগন্ধের খুসবু ছড়াচ্ছে ম ম করে।