প্রথম পাতা
৩৯ হাজার আসন ফাঁকা রেখেও শিথিল হচ্ছে না ভর্তি যোগ্যতা
পিয়াস সরকার
২২ মে ২০২২, রবিবার
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও এর অধিভুক্ত কলেজসমূহে স্নাতক প্রথম বর্ষে ফাঁকা রয়েছে ৩৯ হাজার আসন। ফের শুরু হচ্ছে ২০২২ সালে উত্তীর্ণ হওয়া শিক্ষার্থীদের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক পর্যায়ে মোট আসন ছিল ৪ লাখ ৩৬ হাজার। এর মধ্যে প্রথমবর্ষে ভর্তি হয়েছিল ৩ লাখ ৯৭ হাজার শিক্ষার্থী। ব্যাপক পরিমাণ আসন ফাঁকা থাকার পরও ভর্তি যোগ্যতা শিথিল না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন অনেক ভর্তি প্রত্যাশী। ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের জন্য আবেদনের যোগ্যতা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এতে বিজ্ঞান ও ব্যবসায় প্রশাসনের জন্য এসএসসি ও এইচএসসি উভয় ক্ষেত্রে চাওয়া হয়েছে ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫। আর মানবিক বিভাগের জন্য এসএসসি’তে ৩.৫ ও এইচএসসি’তে ৩.০। কিন্তু এই যোগ্যতা পূরণ না করতে পারায় অনেক শিক্ষার্থী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে পারছেন না। পূর্বে অনার্সে আবেদনের জন্য এসএসসি এবং এইচএসসি মিলিয়ে সর্বনিম্ন্ন ৫ (২.৫০+২.৫০) পয়েন্ট চাওয়া হয়েছিল।
তাহসেন বেন আলম নামে এক শিক্ষার্থী এসএসসি’তে পেয়েছেন ৩.৪৪ ও এইচএসসি’তে ৪.৬৭। তিনি বলেন, আমার স্বপ্নপূরণ হবে না। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকেও বড় হয়ে গেছে। রেহানা আক্তার এসএসসি’তে মানবিক বিভাগ থেকে পেয়েছেন এসএসসি’তে ৩.৪০ এবং এইচএসসি’তে একই বিভাগ থেকে ৩.৭০। তিনি বলেন, ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে আমাদের আবেদন করতে দেয়া হোক। সিট ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে আমাদের সুযোগ এলে আমরা ভর্তি হবো। কিন্তু আমরা যদি আবেদনই করতে না পারি তাহলে শিক্ষা জীবনের ইতি ঘটে যাবে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, আমরাতো অন্যের সিট চাইছি না। আমরা চাই ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে ভর্তি করানো হোক। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি আমরা না পড়তে পারি তবে আমাদের শিক্ষাজীবনের এখানেই ইতি ঘটবে। কারণ আমাদের সকলের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ নেই। তারা আরও বলেন, শিগগিরই আমরা আমাদের দাবি জানিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর বরাবর আবেদন জানাবো।
করোনার কারণে ২০২১ সালে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২০২২ সালে ফল প্রকাশ হয়। এই ফলে দেখা যায়, এই পরীক্ষার ফলে রেকর্ড সংখ্যক শিক্ষার্থী ১ লাখ ৮৯ হাজার ১৬৯ জন জিপিএ-৫ পান। নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলে সার্বিক পাসের হার ৯৫ দশমিক ২৬ শতাংশ। এতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ৭১ হাজার ৬৮১ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ১৩ লাখ ৬ হাজার ৭১৮ জন।
এই ফল অনুযায়ী দেখা যায়, সব বিভাগ ও বোর্ড মিলিয়ে ৩.৫ থেকে ৩.০০ পেয়েছেন ৪ লাখ ৯৮৪ জন শিক্ষার্থী। ৩.০০ এর কম ফল পেয়েছেন ৫ লাখ ১ হাজার ৬৯১ জন। ২২.৩৯ শতাংশ উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য বিবেচনায় নেই। সেইসঙ্গে ৩.০০ থেকে ৩.৫০ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকেও বড় একটি অংশ যোগ্য বলে বিবেচনায় আসবে না। সব মিলিয়ে সাড়ে ছয় থেকে সাত লাখ শিক্ষার্থী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
এখন প্রশ্ন উঠছে বিশালসংখ্যক শিক্ষার্থীর আসন ফাঁকা রেখে ভর্তি যোগ্যতা শিথিল না করে লাভটা কি? ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে আসন ফাঁকা রেখেই শেষ হয়েছিল ভর্তি প্রক্রিয়া। সে সময় একাধিকবার শিক্ষার্থীরা দাবি জানালেও ফাঁকাই রাখা হয় আসন।
এ বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর মো. মশিউর রহমান বলেন, অনার্সে আমাদের কোনো কোনো সরকারি কলেজে ধরেন ২০০ বা ২৫০ সিট দেয়া হয়েছে। কিন্তু বেসরকারিতে একই পরিমাণ সিট দিলে শিক্ষার্থী পাওয়া যায় না। কিন্তু সরকারিতে ৪০০ থেকে ৫০০ জন আবেদন করেন। এই কারণে সিট ফাঁকা থাকে। বেসরকারি কলেজের সিট টেনে বেসরকারি কলেজে দেয়া যাবে না। এছাড়াও অনেক সময় শিক্ষার্থী চলে যায়। আমরা রিলিজ স্লিপের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করাই। তৃতীয় মেধা তালিকা দিয়ে আসন পূরণ করা সম্ভব কিন্তু ততদিনে অনেক ক্লাস হয়ে যায়। দুই মাস আগে ভর্তি করিয়ে ফাইনাল পরীক্ষা নেয়া হলে ঘাটতি রয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন আসে। যার কারণে আমরা যোগ্যতা সামান্য বাড়িয়েছি। আমরা হিসাব করে দেখেছি কম ফল নিয়ে মাত্র দুই থেকে তিন হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। বাকিরা ভালো ফল নিয়েই ভর্তি হয়। সে কারণে এতোসংখ্যক শিক্ষার্থী আবেদন করবে। যদিও ২৫০ টাকা বেশি হয় কিন্তু অকারণে কেন দেবে টাকাটা। আর তাদের শিক্ষা জীবন শেষ হয়ে যাচ্ছে না। তারা চাইলে ডিগ্রি কিংবা প্রফেশনাল কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন।
পাঠকের মতামত
প্লিজ আমাদের জীবনকে নষ্ট করে দিবেন না অনেক স্বপ্ন আমাদের এভাবে ভেঙ্গে দিবেন না এখনো সময় আছে আপনাদের এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করুন প্লিজ এস এস সি তে 3.00 করা হোক প্লিজ
(SSC 3.44) HSC 3.75অনার্সে আবেদন না করতে পরলে আত্মহত্যা করব আর কিছু না
আমি এসএসসি পরিক্ষায় ৩.৪৪ পেয়েছি, এইচএসসি পরীক্ষায় ৪.০০পেয়েছি। আমার খুব ইচ্ছা স্বপ্ন ছিল,অনার্স করবো,কিন্তু আজ আমি ও পরিস্থিতির শিকার হয়ে আছি,। প্লীজ, #যোগ্যতার_নোটিশ_পরিবর্তন_চাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।-ভর্তি ইচ্ছুক ছাত্রছাত্রী। হঠাৎ করে একটা নতুন নিয়ম নিয়ে এসে আমাদের লাইফটা এভাবে আপনার নস্ট করতে পারেন না।সবার পক্ষে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া সম্ভব না।আগের পয়েন্ট দিয়ে এবার ভতির নীতিমালা করা হউক।
এই সিদ্ধান্ত আমাদের পক্ষে মানা সমম্ভ নয়।এই সিদ্ধান্ত আগে নেওয়া উচিৎ ছিল।এখন আমাদেরকে ভর্তির সুযোগ করে দেয়া হউক তা না হলে অনেক ছাত্র ছাত্রীদের জীবন শেষ হয়ে যাবে মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী কি সেটা চায়?
**জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি নির্দেশিকা** *জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে বিষয় নির্বাচনের পূর্বে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখা জরুরী* বিষয় নির্বাচনে আকাশ-কুসুম চিন্তা করবেন না। *আপনার এসএসসি এবং এইচএসসি ফলাফলের সাথে সমন্বয় করে বিষয় নির্বাচন করুন।* কেননা বিষয় নির্বাচনে একটু ভুল হলেই জীবন থেকে চলে যেতে পারে মূল্যবান একটি বছর। *বর্তমান চাকুরীর বাজারকে খুব ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করুন, দেখুন কোন বিষয়গুলোর সরকারী চাকুরীর বাজার ব্যতিত আলাদা এবং নিজস্ব চাকুরীর বাজার রয়েছে।* ‘প্রতিষ্ঠিত’ বিষয়গুলোতে ভর্তি হয়ে অযথাই চাকুরীর বিশাল প্রতিযোগিতায় না গিয়ে বরং খেয়াল করুন যে কোথায় কম প্রতিযোগিতায় ভালো কিছু করা সম্ভব। দিন দিন চাকুরীর বাজার ঝুঁকছে উন্নয়ন এবং গবেষণা সংস্থার দিকে। *যেকোন বিষয়ে পড়লেই আপনি সরকারী চাকুরীতে আবেদন করতে পারছেন, কিন্তু যেকোন বিষয় পড়লেই আপনি উন্নয়ন এবং গবেষণা সংস্থার চাকুরীতে আবেদনই করতে পারছেন না।* চাকুরী পাওয়ার ঝুঁকি এড়াতে এমন বিষয় নির্বাচন করুন যাতে আপনার কোন সুযোগই হাতছাড়া না হয়। *যেমন ধরুন যাদের ফলাফল এসএসসি এবং এইচএসসি মিলিয়ে ৫ থেকে ৬.৫ বা ৭ এর মধ্যে তারা আবেদন করতে পারেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগে যা বাংলাদেশে শুধুমাত্র বোরহানুদ্দীন কলেজেই রয়েছে। কলেজ কোডঃ ৬৪২৫ এবং বিষয় কোডঃ ৪০০১।* আপনার সন্তানকে যে বিভাগে ভর্তি করতে যাচ্ছেন সে বিভাগের শিক্ষা এবং সহশিক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কে জেনে নিন। *আপনার সময়োপযোগী সিদ্ধান্তই পারে এই পরিবর্তিত চাকুরীর বাজারে আপনার সন্তানকে সার্বিকভাবে প্রস্তুত করতে।*
এখন এই কথা মনে পড়ে!! কেনো যখন গতবছর অটোপাস করা শিক্ষার্থীদের অনার্স ভর্তি করা হয়েছে তখন এসব কথা, চিন্তা কই ছিল। আমার তো তার পর পরিক্ষা দিয়ে পাশ করেছি হোক সেটা শর্ট সিলেবাস কিন্তু পরিক্ষা তো দিয়ে পাশ করেছি।
আমি SSC তে ২.৫০পেয়েছি মানছি মে আমার তেমন ভালো না। কিন্তু আমার HSC তে ৩.৩৩ এসেছে আগের তুলনায় একটু ভালো করেছি। আসা করেছিলাম এবার আরো ভালো করবো । কিন্তু এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলে আমার এতো দিনের ইচ্ছা, ইচ্ছাই রয়ে গেলো। আমি অনুরোধ করছি আগের নিয়মে পরিণত করা হোক। না হয় তো লাখো শিক্ষার্থীর লেখাপড়া ইতি ঘটবে।
আপনাদের মাধ্যমেই আমাদের কষ্ট বুঝানো সম্ভব। আমি ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ছাত্র। আমি SSC তে GPA 3.22 পেয়েছি HSC তে GPA 4.33 পেয়েছি এখন যদি অনার্স এ ভর্তি হতে না পারি তাহলে আমার ৩ বছরের কষ্টের দাম রইল কোথায় করোনার কারনে ১ বছর বেশি লাগছে। দয়াকরে সিদ্ধান্তটা পরিবর্তন করেন।
amar onek sopnoh silo ami honour porbo kinto amar sob sopnoh nosto kore dilo akhn jodi point komano nh hoi amar poralekha continue kora hobe nhhh plz amader kotha cinta koren ato guli manos jivon nosto korben nh agulah bableh chokhe pani ayshe pore a hoiya silo plz ssc point 3 kora hok
হিসাবটা আসলেই দুঃখজনক
আমি গত ২০১৯ সালে এসএসসি তে ২.৮৩ নিয়ে পাস করেছি এবং ২০২১ সালে এইচএসসি তে ৩.৬৮নিয়ে পাস করেছি। আমার স্বপ্ন ছিলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এ পড়বো।তাই ছোট বেলা থেকে অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করতেছি। একটা সিদ্ধান্তে আমার স্বপ্ন,ইচ্ছা,আশা সব নষ্ট হয়ে গেলো।এখন আমাকে লেখাপড়া ছাড়তে হবে। হয়তো আমার মতো অনেকের লেখাপড়া বাদ দিতে হবে । নষ্ট হবে হাজারো ছাত্র– ছাত্রীর জীবন। আমার ও আমাদের সবার জীবন নষ্ট হওয়া থেকে সবাইকে বাচান।আমাদের সবাইকে লেখাপড়া করার একটা সুযোগ দিন।আগের পয়েন্ট দিয়ে এবার ভতির নীতিমালা করা হউক। আগে যেমন এসএসসি তে ২.৫০ ও এইচএসসি তে ২.৫০ এই পয়েন্ট নিয়ে এবার ভর্তি কার্যক্রম বহাল থাকুক। মোঃ আল আমিন ভূইয়া
অনার্সে আবেদন না করতে পরলে আত্মহত্যা করব আর কিছু না
আমি এসএসসি পরিক্ষায় একটা সমস্যার কারনে ৩.৩৩ পেয়েছি, এইচএসসি পরীক্ষায় ৪.৩৩ পেয়েছি। আমার খুব ইচ্ছা স্বপ্ন ছিল,অনার্স করবো,কিন্তু আজ আমি ও পরিস্থিতির শিকার হয়ে আছি,। প্লীজ, #যোগ্যতার_নোটিশ_পরিবর্তন_চাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।-ভর্তি ইচ্ছুক ছাত্রছাত্রী। হঠাৎ করে একটা নতুন নিয়ম নিয়ে এসে আমাদের লাইফটা এভাবে আপনার নস্ট করতে পারেন না।সবার পক্ষে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া সম্ভব না।আগের পয়েন্ট দিয়ে এবার ভতির নীতিমালা করা হউক।
Jibon ta sas hoya galo.....ke ar hoba ai jebon rakha....jebon a ja sopno gelo sob askar sas hoya galo...
হাজার- লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের শুধুমাত্র SSC রেজাল্ট এর জন্য অনার্স করা আর হবে না! হয়তো অনেকের পড়া-লেখাই শেষ হয়ে গেলো, স্বপ্ন, আশা-ভরসা সব শেষ হয়ে গেলো! আজকের দিনটা হয়তো অনেকের জন্য একটা ভয়ংকর দিন যাচ্ছে! এভাবে শিক্ষার্থীদের পড়ার অধিকার কেড়ে নিলো?? শিক্ষা ব্যবস্থা তো শিক্ষার্থীদের ভালোর জন্য, সবার ভালোর জন্য তাহলে এ কেমন সিদ্ধান্ত? বাহ, অনেক সুন্দর উপহার দিয়েছে শিক্ষার্থীদের! আরেকবার বাংলাদেশের প্রতি অনেক রাগ ক্ষোভ হচ্ছে, সব শিক্ষার্থী ভাই-বোনদের জন্য! ফেসবুক ভরা শুধু তাদের হাহাকার! এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করার জোর দাবি জানাচ্ছি!! এটা কিভাবে মেনে নেওয়া যায়!!!
আমি এসএসসি পরিক্ষায় একটা সমস্যার কারনে ৩.৩৩ পেয়েছি, এইচএসসি পরীক্ষায় ৪.০৮ পেয়েছি। আমার খুব ইচ্ছা স্বপ্ন ছিল,অনার্স করবো,কিন্তু আজ আমি ও পরিস্থিতির শিকার হয়ে আছি,। প্লীজ, #যোগ্যতার_নোটিশ_পরিবর্তন_চাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।-ভর্তি ইচ্ছুক ছাত্রছাত্রী। হঠাৎ করে একটা নতুন নিয়ম নিয়ে এসে আমাদের লাইফটা এভাবে আপনার নস্ট করতে পারেন না।সবার পক্ষে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া সম্ভব না।আগের পয়েন্ট দিয়ে এবার ভতির নীতিমালা করা হউক।
আমি এসএসসি ২০১৯ইং ৩.০০ ও এইচএসসি২০২১ইং ৪.৪৪ পেয়ে পাশ করি। করোনায় দেড় বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে পড়াশোনা না করিয়ে ৩ টা সাব উপর পরীক্ষা নিয়েছেন। হঠাৎ করে এমন একটা সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া উচিত হয়নি। শিক্ষার মান যদি বাড়াতেই তাহলে কেন আমাদের দেড় বছর আমাদের ক্লাস না দিয়ে বঞ্চিত করা । কেন হঠাৎ করে জিপিএ বাড়িয়ে দিতে হবে তাহলে আমাদের পাবলিক ভার্সিটি গুলোর মতো করে পরীক্ষার ব্যবস্হা করে দেন। আমরা পরীক্ষা দিয়েই নিজের আসন নিজে গড়ে তুলবো। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকেও কি বড়ো হয়ে গেছে
এ কোন দেশে জন্ম নিলাম যেখানে হাজার হাজার শিক্ষাথীর সপ্নগুলোকে ভেংগে দিচ্চে।তারা কি আমাদের মানুষ হতে দিবে না। ধিক্কার জানাই এই শিক্ষা ব্যবস্থাকে। আমার বিনীত অনুরোধ আমাদের সপ্নগুলোকে এই ভাবে ভেংগে দিবেন না। আমাদের বাচার সুযোগ করে দিন।
বিশ্বের নানান দেশে উচ্চ শিক্ষা উচ্চ ব্যায়ের মাধ্যমে হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়র গ্রাজুয়েটদের বেশিরভাগই বেকার। আমাদের পুঁথিগত শিক্ষার বিষয়গুলো কমিয়ে আনা উচিত।
#যোগ্যতার_নোটিশ_পরিবর্তন_চাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।-ভর্তি ইচ্ছুক ছাত্রছাত্রী। হঠাৎ করে একটা নতুন নিয়ম নিয়ে এসে আমাদের লাইফটা এভাবে আপনার নস্ট করতে পারেন না।সবার পক্ষে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া সম্ভব না।আগের পয়েন্ট দিয়ে এবার ভতির নীতিমালা করা হউক।
আমি গত ২০১৯ সালে এসএসসি তে ৩.২৮ নিয়ে পাস করেছি এবং ২০২১ সালে এইচএসসি তে ৪.৮৩ নিয়ে পাস করেছি। আমার স্বপ্ন ছিলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এ পড়বো।তাই ছোই বেলা থেকে অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করতেছি। একটা সিদ্ধান্তে আমার স্বপ্ন,ইচ্ছা,আশা সব নষ্ট হয়ে গেলো।এখন আমাকে লেখাপড়া ছাড়তে হবে। হয়তো আমার মতো অনেকের লেখাপড়া থেকে ভালোবাসা উঠে যাবে। নষ্ট হবে হাজারো ছাত্র– ছাত্রীর জীবন। আমার ও আমাদের সবার জীবন নষ্ট হওয়া থেকে সবাইকে বাচান।আমাদের সবাইকে লেখাপড়া করার একটা সুযোগ দিন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হাজার হাজার নিম্নমানের শিক্ষার্থী এখানে ভর্তি হয়। ক্লাসে উপস্থিত হয়না,তাদের কোন আগ্রহ থাকে না। সময় ও কোটি কোটি টাকা র অপচয় হয়।এরূপ সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে ধন্যবাদ।
উনারা তো এখন শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে খেলা করতেছে। হাজারো শিক্ষার্থীর স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার করে দিতাছে। যেমন তাদের মধ্যে আমিও একজন। আর আমাদের দেশে বড় বড় পত্রিকা থাকা সত্বেও তারা এরকম নিউজ জনগণের সামনে নিয়ে আসছে না। আপনাদেরকে ধন্যবাদ আপনারা এত গুরুত্বপূর্ণ একটি খবর সবার সামনে নিয়ে আসার জন্য।