খেলা
ঢাকা টেস্টে নাঈম-মিরাজ নেই মোসাদ্দেকেই ভরসা!
স্পোর্টস ডেস্ক
২২ মে ২০২২, রবিবার
কী এক বিপদ! অফস্পিনার পাচ্ছে না বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজ ছিলেন না আগেই। চট্টগ্রাম টেস্ট খেলে ছিটকে গেছেন নাঈম হাসান। বিশেষজ্ঞ অফস্পিনার হিসেবে স্কোয়াডে নতুন করে কাউকে যোগও করা হয়নি। নাঈম-মিরাজের অভাব পূরণ করতে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ওপর ভরসা রাখছে দল।
অফস্পিন অলরাউন্ডার হলেও জাতীয় দলে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের মূল ভূমিকা ব্যাটারের। তিন টেস্টে ১৫ ওভার বল করেছেন তিনি। উইকেট পাননি একটিও। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে মোসাদ্দেকের ৪২ ম্যাচে ২৯ উইকেট রয়েছে। তাকে দিয়েই আগামীকাল মিরপুরে শুরু হতে যাওয়া সিরিজ নির্ধারণী দ্বিতীয় টেস্টে কাজ চালিয়ে যেতে চাইছে বাংলাদেশ। বিসিবি’র ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস গতকাল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ঢাকা টেস্টে কোনো বিকল্প নেই (নাঈমের)। মোসাদ্দেক আছে স্কোয়াডে। দল আগেই দেয়া হয়েছে। নতুন কোনো স্পিনার যুক্ত করা হচ্ছে না স্কোয়াডে। নাঈম নেই। মিরাজ ইনজুরিতে। স্পিনার সংকট। এখন আর কিছু করার নেই। দ্বিতীয় টেস্টের স্কোয়াড থেকেই স্পিনারের ঘাটতি পূরণ করতে হবে।’
চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নেন অফস্পিনার নাঈম। ঢাকার উইকেটে তিনি হতে পারতেন ট্রাম্পকার্ড। চোট পেয়ে খেলতে পারছেন না। প্রথম পছন্দ মিরাজও নেই। প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি জাতীয় দলে খেলার মতো অফস্পিনার শুধু দু’জনই? নাঈমের বিকল্প হতে পারতেন ঘরোয়া লীগে ভালো খেলা শুভাগত হোম চৌধুরী। লীগের শেষ ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়ে ঢাকা বিভাগকে শিরোপা জেতান শুভাগত। বিসিএলের ফাইনালে দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করার পাশাপাশি নিয়েছেন ৩ উইকেট। চলতি মৌসুমে প্রথম শ্রেণিতে প্রায় ৬০ গড়ে রান করেছেন শুভাগত। বল হাতে শিকার ২৬ উইকেট। তবুও কেন তাকে নেয়া হলো না? জালাল ইউনুস বলেন, ‘শুভাগতকে নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। তবে সে এখন কলকাতায়। হুট করে ঢাকায় ফেরা কঠিন। তাছাড়া সে অনেকদিন আমাদের সিস্টেমের বাইরে। তাই আলোচনা বেশিদূর আগায়নি। আশা করি মোসাদ্দেক ভালো করবে। সাকিব যখন কোভিডের কারণে ছিটকে গেলো তখন মোসাদ্দেকই আমাদের ভরসা ছিল। অভিজ্ঞতা আছে অনেক। আশা করি পারবে।’