প্রথম পাতা
মধ্যরাতে নাটকীয়তা
স্টাফ রিপোর্টার
১০ ডিসেম্বর ২০২২, শনিবারবৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তৎপরতা শুরু। বিএনপি’র ৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল ডিএমপি কার্যালয়ে যায় সমাবেশের অনুমতির বিষয়ে আলোচনা করতে। প্রায় আড়াই ঘণ্টার আলোচনা শেষে রাতেই জানানো হয় নয়াপল্টনের বিকল্প হিসেবে কমলাপুর স্টেডিয়াম ও মিরপুর বাঙলা কলেজ মাঠের প্রস্তাব এসেছে। মাঠ পরিদর্শন করে সিদ্ধান্ত হবে কোথায় সমাবেশ হবে। এই খবর প্রচারের পর অনেকটা স্বস্তি ফিরে আসে। সরকারের সঙ্গে বিএনপি সমঝোতা হয়েছে এমনটা ধরে নেন অনেকে। রাতেই মাঠ পরিদর্শনে বের হন বিএনপি নেতারা। অন্যদিকে সমাবেশের বিষয়ে গুলশানে নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রাত দেড়টায় তিনি উত্তরার বাসায় ফেরেন। মিরপুর বাঙলা কলেজ মাঠ দেখে কমলাপুর স্টেডিয়াম পরিদর্শন করে গভীর রাতে বাসায় ফিরেন মির্জা আব্বাস।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার বৈঠকে যে স্বস্তির খবর এসেছিল মধ্যরাতে দুই নেতার গ্রেপ্তারের খবরে তা উবে যায়। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দেয় দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে। নেতাকর্মীরা বলছেন, মাঠের বিকল্প প্রস্তাব ও আলোচনা পুলিশের কৌশল ছিল। নেতাদের গ্রেপ্তারের পরিকল্পনা ছিল আগে থেকেই। বিএনপি মহাসচিব পতœী রাহাত আরা বেগম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মির্জা ফখরুল গুলশানে যখন দলীয় কাজে ব্যস্ত, বিএনপি নেতারা যখন ডিএমপি কার্যালয়ে বৈঠক করছিলেন তখন থেকেই তাদের উত্তরার বাসার আশপাশে গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা অবস্থান নেন। মির্জা ফখরুল বাসায় যাওয়ার কিছু সময়ের মধ্যেই তারা বাসায় প্রবেশ করে। মির্জা ফখরুল বাসায় পোশাক পরিবর্তন করার আগেই তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। দলীয় কর্মীরা বলছেন, মির্জা ফখরুল বৃহস্পতিবার আদালতে হাজিরা দিয়েছেন। নয়া পল্টনে গেছেন। মির্জা আব্বাসও প্রকাশ্যে ছিলেন। নেতাদের নিয়ে দু’টি মাঠ পরিদর্শন করেছেন। গ্রেপ্তার করতে হলে তখনতো করতে পারতো। তা না করে তাদের কেন গভীর রাতে বাসা থেকে তুলে নেয়া হলো। মধ্য রাতের এই নাটকীয় গ্রেপ্তারের সঙ্গে দিনভর নানা নাটক হয়েছে। শীর্ষ দুই নেতাকে ডিবি কার্যালয়ে রেখেই বিএনপি’র সঙ্গে আলোচনা চালিয়েছে ডিএমপি। দুপুরের পর দলটির একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করে গোপীবাগের সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়। বিএনপিও সেখানে সমাবেশ করার ঘোষণা দেয়। এরপর সন্ধ্যা থেকেই সেখানে নেতাকর্মীদের ঢল নামে। গোপীবাগে সমাবেশের ঘোষণার পর দীর্ঘ নাটকীয়তার অবসান হয়।