ঝিনাইদহে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট

ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজলের নির্বাচনী অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। গত রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঝিনাইদহ শহরের গার্লস স্কুলের সামনে অবস্থিত কিংশুক বিপনী ও হিজলের নির্বাচনী অফিসের সামনে দিয়ে নৌকার মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় একদল যুবক হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এ সময় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে থাকা কিংশুক বিপনীর পিকাপ ভ্যানের গ্লাস ও বাড়ির জানালার গ্লাস ইট পাটকেল ছুড়ে ভাঙচুর করে। কিংশুক বিপনীর কর্মচারীরা জানান, তাদের দোকানের মধ্যে ঢুকে ক্যাশ থেকে প্রায় ১৫ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে হামলাকারীরা। হামলার সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী কাইয়ুম শাহরীয়ার জাহেদী হিজল শহরের মধ্যে নির্বাচনী প্রচারণায় ছিলেন। খবর পেয়ে তার শত শত সমর্থক নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। বাসায় ফিরে তিনি তাৎক্ষণিক এক সাংবাদ সম্মেলনে কাইয়ুম শাহরীয়ার জাহেদী হিজল অভিযোগ করে বলেন, নৌকার মিছিল থেকে কতিপয় সমর্থক এই হামলা চালায়। বলেন, আমার পিতা মুছা মিয়া একজন ভাষা  সৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি জীবনবাজী রেখে দেশ স্বাধীন করেছেন। হিজল বলেন, আমার পিতা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

বঙ্গবন্ধু আমাদের বাড়িতে এসেছেন। অথচ আমি ভোটে দাঁড়িয়ে কী দোষ করেছি যে আমার বাড়িতে হামলা করা হলো? তিনি বলেন, আমি আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন থেকে পিছ পা হবো না। এদিকে হিজলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করে যাওয়ার সময় পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজুর রহমান ইপিয়ার ও আওয়ামী লীগ সমর্থক লেপ তোষক ব্যবসায়ী আসলামকে জামে মসজিদের সামনে তার নিজ দোকানের মধ্যে পিটিয়ে হাত ভেঙে জখম করা হয়। তাদের দুইজনকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শেখ সোহেল রানা বলেন, হামলার পর আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। স্বতন্ত্র প্রার্থী কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করেছে। দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।