ঢাকা, ৮ মে ২০২৪, বুধবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাংলারজমিন

ধামরাইয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা

ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি
২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

ঢাকার ধামরাইয়ে মারা যাওয়া স্বামীর পেশনের টাকা ও জমি আত্মসাৎ করতে জালিয়াতির মাধ্যমে জীবিত শাশুড়িকে মৃত্যু দেখিয়ে ও পালক সন্তানকে নিজের সন্তান বানিয়ে ওয়ারিশ সনদপত্র সংগ্রহ করেন স্ত্রী। আর এ জালিয়াতি সনদপত্র দিয়েছেন স্থানীয় ইউপি মেম্বারের সুপারিশে বালিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আহাম্মদ হোসেন। তিনি আসন্ন ধামরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন। এ ঘটনায় নিহতের বোন বাদী হয়ে ভাবী, ইউপি মেম্বার ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। জানা গেছে, ধামরাইয়ের বালিয়া ইউনিয়নের পাবরাইল গ্রামের মৃত সামছুল হকের ছেলে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য বাবুল হোসেন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার সময় তার মা জুলেখা বেগম ও স্ত্রী নাজমা বেগম ওয়ারিশ রেখে যান। এ সময় তার ব্যাংকে পেনশনের টাকা ও অনেক জমি ছিল। আর এ জমি ও টাকা এককভাবে ভোগ করতে স্ত্রী নাজমা বেগম কৌশলে স্থানীয় ইউপি মেম্বার জিয়াউর রহমান ও বালিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আহাম্মদ হোসেনের সহযোগিতায় গর্ভধারণী মা জুলেখা জীবিত থাকা সত্ত্বেও তার নাম বাদ দিয়ে নাজমা বেগমের ভাই আলতাফ হোসেনের ছেলে মুশফিকুর রহমান এরিকে আপন সন্তান বানিয়ে দুই জনের নামে ওয়ারিশ সনদ নেন। আর এ সনদ দিয়ে স্ত্রী নাজমা বেগম ও ভাইয়ের ছেলে এরিক মিলে জমি নামজারি ও ব্যাংকের টাকা তোলেন। আর বৃদ্ধ শাশুড়িকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। তার মা মেয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন।

বিজ্ঞাপন
এ ঘটনা জানতে পেরে নিহত সেনা সদস্যের বোন অজুফা বেগম বিষয়টি জানতে চাইলে সাবেক চেয়ারম্যানের একটি ওয়ারিশন সনদ দেন তাকে। তিনি তখনই বাদী হয়ে ভাবী, মেম্বার জিয়াউর রহমান ও সাবেক চেয়ারম্যান আহাম্মদ হোসেনের নামে আদালতে মামলা দায়ের করেন। এ ব্যাপারে বালিয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মজিবর রহমান জানান, আমি যাচাই-বাছাই করে মারা যাওয়া সেনা সদস্য বাবুল হোসেনের রেখে যাওয়া ওয়ারিশ তার মা জুলেখা ও স্ত্রী নাজমা বেগমের নামে সনদ দিয়েছি। সাবেক চেয়ারম্যান আহাম্মদ হোসেন জানান, টিকার কার্ড থেকে তার ছেলে মুশফিকুর রহমান এরিক ও স্ত্রী নাজমার নামে ওয়ারিশ সনদ দিয়েছি। মা জীবিত কিনা তা তারা বলে নাই। যার কারণে ওয়ারিশ সনদে তার মার নাম দেয়া হয় নাই। স্থানীয়রা জানান, কৌশল অবলম্বন করে চেয়ারম্যান আহাম্মদ হোসেন মাকে ওয়ারিশ থেকে বাদ দিয়ে সনদ দিয়েছে। এতে মা চরমভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছে। আহাম্মদ হোসেন আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে প্রচারণা করছেন বলে জানান তারা। মামলার বাদী অজুফা জানান, আর্থিক সুবিধা নিয়ে চেয়ারম্যান-মেম্বার জালিয়াতি করে ওয়ারিশ সনদ দিয়েছেন। এতে আমাদের চরম ক্ষতি হয়েছে। বর্তমানে মামলাটি পিবিআই তদন্ত করছে বলে জানান তিনি।

বাংলারজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

বাংলারজমিন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status