বিশ্বজমিন
বারানসিতে মসজিদ নিয়ে মামলা এবং...
মানবজমিন ডেস্ক
(১ মাস আগে) ১৬ মে ২০২২, সোমবার, ৫:০৪ অপরাহ্ন

ভারতের উত্তর প্রদেশের বারানসিতে একটি মসজিদকে কেন্দ্র করে আদালতে মামলা চলছে। হিন্দুত্ববাদী একটি নারীগ্রুপ দীর্ঘদিন ধরে ওই মসজিদ চত্বরে প্রার্থনা করার দাবি জানিয়ে আসছেন। এ নিয়ে মামলার এক পর্যায়ে জ্ঞানভাপি মসজিদ চত্বরে তিনদিনের জন্য ভিডিওগ্রাফি সার্ভের জন্য অনুমোদন দেয় কোর্ট। এ নিয়ে পরবর্তী শুনানির একদিন আগে জরিপ সম্পন্ন হয়। এতে হিন্দুত্ববাদী আবেদনকারীরা বিস্ময়কর এক দাবি করেন। তারা বলেন, ওই মসজিদ চত্বরে যে পুকুর আছে সেখানে একটি শিবলিঙ্গ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতায় বারানসির আদালত ওই এলাকা জনগণের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে। এ খবর দিয়েছে ভারতের অনলাইন এনডিটিভি। হিন্দুত্ববাদী নারী গ্রুপটির পক্ষে আইনজীবী সুভাষ নন্দন চতুর্বেদী আদালতকে সোমবার সকালে জানিয়েছেন যে, মসজিদ চত্বরে অবস্থিত পুকিরের পানি সেচে ফেলে দেয়ার পর তাতে একটি শিবলিঙ্গ পাওয়া গেছে।
মসজিদের মুসল্লিরা ওজু করার জন্য এই পুকুরের পানি ব্যবহার করতেন। সেখানে শিবলিঙ্গ পাওয়ার পর পুকুরটি সিল করে দিতে বা বন্ধ করে দিতে আদালতের কাছে অনুরোধ করেন আবেদনকারীরা।
তবে এর আগে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেন বারানসি ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট কৌশাল রাজ শর্মা। সে সময় ওই মসজিদ কমপ্লেক্সে শিবলিঙ্গ পাওয়ার বিষয় নিশ্চিত করেননি তিনি। বলেন, এ বিষয়ে যে কমিশন গঠন করা হয়েছিল তার কোনো সদস্যই জ্ঞানভাপি মসজিদে জরিপের বিস্তারিত প্রকাশ করেননি। জরিপের বিষয়ে কাস্টডিয়ান হলো আদালত। রোববার কয়েক মিনিটের জন্য কমিশন থেকে একজন সদস্যকে বাদ দেয়া হয়েছিল। পরে কমিশন এটা স্বীকার করে।
ঐতিহ্যবাহী কাশি বিশ্বনাথ মন্দিরের কাছেই অবস্থিত জ্ঞানভাপি মসজিদ। সেখানে বিভিন্ন স্থানে দৃশ্যমান ও অদৃশ্য যেসব দেবদেবীর প্রতিকৃতি আছে তাদের সামনে প্রতিদিন প্রার্থনা করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন ৫ হিন্দু নারী। স্থাপনাটি বর্তমানে বছরে একবারের জন্য প্রার্থনার জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে বারানসি সিভিল কোর্ট তিনটি ডোম, আন্ডারগ্রাউন্ড বেজমেন্ট এবং পুকুরে ভিডিও জরিপ চালানোর নির্দেশ দেয়। এ জন্য তারা একটি কমিশন গঠন করে দেয়।
এই জরিপ শুরু হয় ৬ই মে। কিন্তু মসজিদের ভিতরে ভিডিও ধারণ করা নিয়ে বিরোধে তা থমকে যায়। মসজিদ কমিটির দাবি, মসজিদের ভিতরে ভিডিও ধারণ করার নির্দেশ দেয়নি আদালত। আদালতের এই ভিডিও ধারণের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয় এলাহাবাদ হাইকোর্টে। এই আদালত এপ্রিলে মামলাটি খারিজ করে দেয়। কিন্তু হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয় সুপ্রিম কোর্টে। সুপ্রিম কোর্ট ভিডিও ধারণ বন্ধ করতে অস্বীকৃতি জানায়। মসজিদ কমপ্লেক্সের ভিতরে জরিপে যেসব জিনিস পাওয়া যায় তা বিবেচনায় নিতে সম্মত হয়।
পাঠকের মতামত
when blind religious people can drink cow urine then everything can possible with them
দারুণ বুদ্ধি! ভারতে প্রত্যেক মসজিদ, মুসলিমদের বাড়িঘরের নিচে, আশে পাশে, পুকুরে, নালা-নর্দমায় মুর্তি রেখে আসা যায়। ব্যাস, মামলা ঠুকে দিলে কথিত সন্ত্রাসী দ্বারা উপড়িয়ে ফেলা যায় সংখ্যালুগুদের। এর রেশ কী বাংলাদেশ, পাকিস্তানের হার্মাদদের উপর আসবে না?